খলিলুর রহমান ফয়সাল

২৬ ডিসেম্বর, ২০১৫ ২১:৫৯

কৃষিতেই সুযোগ বেশি

মেডিক্যাল বা বুয়েটে চান্স না পেয়ে পোলাপান কৃষি পড়তে আসে”- এই কথার বিপরীতে আমি বলতে চাই- “বাংলাদেশের মানুষ খাইয়ে বাঁচিয়ে রেখেছে কৃষিতে পড়ুয়া গ্র্যাজুয়েটরাই” । সত্যি বলতে কি বাংলাদেশে বিশ্ববিদ্যালয়গুলো যদি কিছু দিয়ে থাকে তাহলে কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়গুলোই দিয়েছে। ৭ কোটি মানুষের দেশে খাদ্যের অভাব ছিলো, ১৬ কোটি মানুষ ভালো মতই খেয়ে আছে।

"বাবাকে দেখেছি রোদে পুরে, বৃষ্টিতে ভিজে হাল চাষ করতে। আর আশানুরূপ ফসল ফলাতে না পেরে মন খারাপ করে ঘরে বসে থাকতে। আমার কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়তে আসা মূলত বাবার মতো কৃষিজীবী মানুষকে উন্নত কৃষি ফর্মুলা দিয়ে সাহায্য করার জন্যই”।


কথাগুলো বলছিলেন কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়তে আসা এক ছাত্র। হ্যাঁ পাঠক, বাংলাদেশ একটা কৃষি প্রধান দেশ। তাই কৃষিবিদ ও কৃষক একটা বড় যোগসূত্র। এক সময় চাষাভুষা বলে অবহেলা করা হলেও বর্তমানে কৃষিতে উচ্চ শিক্ষা ও পেশা হিসেবে গ্রহণ করছে আধুনিক তরুণেরা। বিশ্বজুড়ে কৃষিকে বলা হচ্ছে সম্ভাবনাময় সবুজ পেশার ক্ষেত্র। ইতোমধ্যে সবুজ অর্থনীতি গড়ার কারিগর হিসেবে দেশের গণ্ডি পেড়িয়ে বাংলাদেশের কৃষি বিজ্ঞানীরা আন্তর্জাতিক খ্যাতি অর্জন করেছে। কৃষি বিষয়ক সাবজেক্টগুলো পড়লে দেশেও চাকুরীর অভাব নাই। কৃষিতে পড়াশোনা করে সরকারি ও বেসরকারি প্রতিষ্ঠানে অনেক ভালো চাকরি পাওয়া যায়। রয়েছে দেশের বাইরে কৃষি নিয়ে কাজ করার অপার সুযোগ।
 
ভালো ফল করলে বিশ্ববিদ্যালয়ে শিক্ষকতার সুযোগ থাকছে। অনেকেই সরকারি কলেজেও শিক্ষকতা করছেন। বিসিএস ক্যাডারদের পরিসংখ্যান করে দেখুন- কৃষিবিদদের জয় জয়াকার। বাংলাদেশ কর্ম কমিশনের (বিসিএস) পরীক্ষায় কৃষিবিদেরা টেকনিক্যাল ও সাধারণ উভয় ক্যাডারে আবেদনের সুযোগ পাওয়ায় দেশের সব কর্মক্ষেত্রে যোগ দিতে পারবেন। তা ছাড়া কৃষি ব্যাংকগুলোতে অগ্রাধিকারসহ দেশের সরকারি ও বেসরকারি সব ব্যাংকে চাকরি করছেন কৃষিবিদেরা। বিভিন্ন সরকারি ট্রেনিং ইন্সটিটিউটে লেকচারার হয়ে যোগ দেওয়া যায়। আরেকটা কথা সরকারী চাকুরেদের বেতন কিন্তু বাড়ছে।

 


কৃষি অনুষদ থেকে পাস করা শিক্ষার্থীরা বিসিএসের মাধ্যমে উপজেলাগুলোতে কৃষি সম্প্রসারণ কর্মকর্তা হয়ে যোগ দেন। এই কৃষিবিদদের খুবই পছন্দের জায়গা হলো সরকারি কৃষি গবেষণা প্রতিষ্ঠান। বাংলাদেশ কৃষি গবেষণা ইন্সটিটিউট, বাংলাদেশ পরমাণু কৃষি গবেষণা প্রতিষ্ঠান, বাংলাদেশ ধান গবেষণা ইন্সটিটিউট, বাংলাদেশ ইক্ষু গবেষণা ইন্সটিটিউট, বাংলাদেশ তুলা গবেষণা ইন্সটিটিউট, মৃত্তিকা গবেষণা উন্নয়ন প্রতিষ্ঠান, বাংলাদেশ পাট গবেষণা ইন্সটিটিউট, বাংলাদেশ বন গবেষণা ইন্সটিটিউট এবং বাংলাদেশ চা গবেষণা ইন্সটিটিউটে বৈজ্ঞানিক কর্মকর্তা হয়ে যোগ দিচ্ছেন।

এ ছাড়া অনেক কৃষিবিদ উন্নয়নমূলক প্রতিষ্ঠানে কাজ করছেন। বাংলাদেশ পল্লী উন্নয়ন বোর্ড, বাংলাদেশ একাডেমী ফর রুরাল ডেভেলপমেন্ট, পল্লী উন্নয়ন একাডেমী, বাংলাদেশ বিজ্ঞান ও শিল্প গবেষণা কাউন্সিলেও কৃষিবিদরা কাজ করছেন।

কিছু আন্তর্জাতিক প্রতিষ্ঠান যেমন কৃষি গবেষণা কাউন্সিল (বিএআরসি), আন্তর্জাতিক ধান গবেষণা ইন্সটিটিউট (ইরি), আন্তর্জাতিক খাদ্য নীতি গবেষণা ইন্সটিটিউট (IFPRI), আন্তর্জাতিক ফসল গবেষণা ইন্সটিটিউট (ICRISAT), মার্কিন শ্রম পরিসংখ্যান অধিদপ্তর, আন্তর্জাতিক ভুট্টা ও গম উন্নয়ন কেন্দ্র (CIMMYT) ইত্যাদিতে চাকুরী করছে কৃষির ছেলেমেয়েরা।

এ ছাড়া সার কারখানা, চিনিকল, বীজ প্রত্যয়ন এজেন্সি, কীটনাশক তৈরির কারখানা, ব্র্যাক, ব্রিটিশ আমেরিকান টোব্যাকো কোম্পানিতেও কাজ করছেন। প্রায় সকল সরকারি ও বেসরকারি কোম্পানিতে কৃষি গ্রাজুয়েটদের চাহিদা রয়েছে । বিশেষভাবে কোল পাওয়ার জেনারেশন কোম্পানি বাংলাদেশ লি:, ইলেক্ট্রিসিটি জেনারেশন কোম্পানি অব বাংলাদেশ লি:, জিল বাংলা সুগার মিলস লি:, পাবনা সুগার মিলস লি: ইত্যাদি উল্লেখযোগ্য। জাতীয় এবং আন্তর্জাতিক এনজিও যেমন এশিয়া ফাউন্ডেশন, অ্যাকশন-এইড বাংলাদেশ, প্রাক্টিক্যাল অ্যাকশন, ইউএসএআইডি, আইএফএডি, ইউএসডিএ, ড্যানিডা, এফএও, আইডিই, কেয়ার, ব্র্যাক, ওয়ার্ল্ড ভিশন, সানেট, ডেভেক্স, আশা, প্রশিকা, ডিএফআইডি, ওয়ার্ল্ড ফুড, ব্রিটিশ আমেরিকান টোব্যাকো (ব্যাট), হরটেক্স ফাউন্ডেশন, কারিতাস, এসএফডিএফ, বিএমডিএ, জিআইজেড, পদক্ষেপ মানবিক উন্নয়ন কেন্দ্র, এসকিউ গ্রুপ, মাহদিন গ্রুপ, এগ্রো ডাইভারসিটি কমপ্লেক্স ইত্যাদিতে কৃষি গ্রাজুয়েটদের বিশেষ চাহিদা রয়েছে।



দেশের ক্রমবর্ধমান জনসংখ্যার আমিষের চাহিদা পূরণে ভেটেরিনারি (পশু চিকিৎসা বিদ্যা) ও অ্যানিম্যাল হাজব্যান্ড্রি (পশুপালন) স্নাতকদের রয়েছে একচ্ছত্র অবদান। দেশের অন্যতম বড় শিল্প পোলট্রিসহ ডেইরি, পশুখাদ্য উৎপাদন ও পশুর ওষুধ উৎপাদনে কাজ করছেন ওই স্নাতকেরা। পশু চিকিৎসা ও পশুপালন দুটি আলাদা ক্ষেত্র সিলেট কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ে একসাথেই পড়ানো হয় ।

ভেটেরিনারি থেকে পাস করে বিসিএস পরীক্ষায় ভেটেরিনারিয়ানরা উপজেলাগুলোতে ভেটেরিনারি সার্জন হয়ে যোগদান করেন। একই পরীক্ষায় পশুপালন অনুষদের স্নাতকেরা উপজেলাগুলোতে বৈজ্ঞানিক কর্মকর্তা, পশু উৎপাদন কর্মকর্তা কিংবা পোলট্রি উন্নয়ন কর্মকর্তা হয়ে যোগ দেন এবং পরে উপজেলা পানিসম্পদ কর্মকর্তা হিসেবে পদোন্নতি পান। বাংলাদেশ প্রানীসম্পদ গবেষণা প্রতিষ্ঠানে (বিএলআরআই) বৈজ্ঞানিক কর্মকর্তা হয়ে যোগ দেওয়া যায়।

এই প্রতিষ্ঠানের অধীনে বিভিন্ন সরকারি ফার্ম ও গবেষণা কেন্দ্র আছে। সরকারি প্রতিষ্ঠান মিল্ক ভিটা, সাভারের বাংলাদেশ কেন্দ্রীয় গো প্রজনন কেন্দ্র ও দুগ্ধ খামার, কক্সবাজারের হরিণ প্রজনন কেন্দ্র, সিলেটে ছাগল প্রজনন কেন্দ্র, বাগেরহাটে মহিষ প্রজনন কেন্দ্র, বেশ কয়েকটি জায়গায় কুমির প্রজনন কেন্দ্র এবং বন্যপ্রাণী প্রজনন কেন্দ্রে শুধু ভেটেরিনারি ও পশুপালন স্নাতকেরাই চাকরি করছেন। বিভিন্ন চিড়িয়াখানায় ক্যাডারে কিউরেটর এবং নন-ক্যাডারে জ্যু অফিসার হিসেবে চাকরি করতে পারেন এই বিভাগের শিক্ষার্থীরা। তবে বেসরকারি পর্যায়েও কাজের ক্ষেত্র বেশ ব্যাপক। বেসরকারি দুগ্ধ ও পোলট্রির খামার, ব্র্যাক, ফিড মিল, এনজিও এবং আন্তর্জাতিক সংস্থায় চাকরির সুযোগ থাকছে। এসবের মধ্যে আড়ং ডেইরি, কাজী ফার্মস, আফতাব বহুমুখী ফার্ম, মিল্ক ভিটা, সিপি ফুড উল্লেখযোগ্য।

মিষ্টি পানির মাছ উৎপাদনে বাংলাদেশের স্থান চতুর্থ। মাছ উৎপাদনে মৎস্যজীবীদের এই অভাবনীয় সাফল্যের পেছনে ফিশারিজ গ্র্যাজুয়েটদের গবেষণা ও অক্লান্ত পরিশ্রম। অনেক ফিসারিজ গ্র্যাজুয়েট ব্যক্তিগত খামার ও হ্যাচারি প্রতিষ্ঠা করে মৎস্য উৎপাদন কয়েক গুণ বাড়িয়েছেন। বিসিএস পরীক্ষায় মাৎস্য বিজ্ঞান অনুষদ থেকে পাস করা শিক্ষার্থীরা বিসিএসের মাধ্যমে টেকনিক্যাল কোটায় উপজেলাগুলোতে মৎস্য কর্মকর্তা এবং মৎস্য সম্প্রসারণ কর্মকর্তা হয়ে যোগ দেন। এ ছাড়া সাধারণ কোটায় অনেকেই যোগ দিচ্ছেন। সরকারি প্রতিষ্ঠানের মধ্যে উল্লেখযোগ্য বাংলাদেশ মৎস্য গবেষণা ইনস্টিটিউট। এই প্রতিষ্ঠানের অধীনে ময়মনসিংহে স্বাদু পানি কেন্দ্র, চাঁদপুরের নদী কেন্দ্র, খুলনার লোনা পানি কেন্দ্র, বাগেরহাটের চিংড়ি গবেষণা কেন্দ্র এবং কক্সবাজারে অবস্থিত সামুদ্রিক মৎস্য ও প্রযুক্তি কেন্দ্রে বৈজ্ঞানিক কর্মকর্তা হয়েছে যোগ দেওয়া যায়। এ ছাড়া এর পাঁচটি উপকেন্দ্রে এই সুযোগ থাকছে। বাংলাদেশ মৎস্য উন্নয়ন কর্পোরেশন ও বেসরকারি প্রতিষ্ঠান ওয়ার্ল্ড ফিশ সেন্টারে চাকরির সুযোগ থাকছে।

কৃষি অর্থনীতি গ্রাজুয়েটরা দেশে এবং বিদেশে বিভিন্ন সরকারি ও বেসরকারি প্রতিষ্ঠান-ব্যাংক, এগ্রি বিজনেস ফার্ম, বহুজাতিক কোম্পানি ইত্যাদিতে সাফল্যের সাথে শীর্ষ অবস্থানে অধিষ্ঠিত রয়েছে। বাংলাদেশ সরকারি কর্ম কমিশনের আওতাভুক্ত সরকারি সকল প্রথম শ্রেণীর চাকরিতে আবেদন করতে পারে।

কৃষি বিপণন অধিদপ্তরের অধীনে কৃষি অর্থনীতির বিশেষ ক্যাডার সার্ভিস রয়েছে যা বর্তমানে উপাজেলাওয়ারি করার কাজ চলছে। বাংলাদেশ কৃষি গবেষণা ইন্সটিটিউট (বারি), বাংলাদেশ ধান গবেষণা ইন্সটিটিউট (ব্রি), বাংলাদেশ প্রাণিসম্পদ গবেষণা ইন্সটিটিউট (বিএলআরআই), বাংলাদেশ ইক্ষু গবেষণা ইন্সটিটিউট (বিএসআরআই), বাংলাদেশ পরমাণু কৃষি গবেষণা ইন্সটিটিউট (বিনা), বাংলাদেশ পাট গবেষণা ইন্সটিটিউট (বিজেআরআই), বাংলাদেশ ইত্যাদিতে কৃষি অর্থনীতির স্বতন্ত্র বিভাগ রয়েছে যেখানে কৃষি অর্থনীতি গ্রাজুয়েটদের নিয়োগ দেয়া হয়।

সকল স্বায়ত্তশাসিত প্রতিষ্ঠান বিশেষভাবে বাংলাদেশ কৃষি উন্নয়ন কর্পোরেশন (বিএডিসি), বাংলাদেশ পানি উন্নয়ন বোর্ড (বাপাউবো), বাংলাদেশ মৎস্য উন্নয়ন কর্পোরেশন (বিএফডিসি), বাংলাদেশ পল্লী উন্নয়ন একাডেমি (বার্ড), পল্লী উন্নয়ন একাডেমি (আরডিএ), বাংলাদেশ রপ্তানি প্রক্রিয়াকরণ অঞ্চল কর্তৃপক্ষ (বেপজা), বাংলাদেশ পল্লী উন্নয়ন বোর্ড (বিআরডিবি), সেন্টার ফর পলিসি ডায়ালগ (সিপিডি), বাংলাদেশ উন্নয়ন গবেষণা প্রতিষ্ঠান (বিআইডিএস), বাংলাদেশ পল্লি বিদ্যুতায়ন বোর্ড ইত্যাদিতে কৃষি অর্থনীতি গ্রাজুয়েটদের স্বতন্ত্র বিভাগে নিয়োগ দেয়া হয়। কৃষি অর্থনীতি গ্রাজুয়েটরা সকল সরকারি ও বেসরকারি বাণিজ্যিক ব্যাংকে আবেদনের যোগ্যতা রাখে। বিশেষভাবে বাংলাদেশ ব্যাংক, সোনালী ব্যাংক, জনতা ব্যাংক, রূপালী ব্যাংক, পূবালী ব্যাংক, বাংলাদেশ ডেভেলপমেন্ট ব্যাংক, ডাচ-বাংলা ব্যাংক, ফার্স্ট সিকিউরিটি ইসলামী ব্যাংক, উত্তরা ব্যাংক, মেঘনা ব্যাংক, মধুমতি ব্যাংক, বাংলাদেশ কৃষি ব্যাংক, রাজশাহী কৃষি উন্নয়ন ব্যাংক, কর্মসংস্থান ব্যাংক, বেসিক ব্যাংক ইত্যাদিতে কৃষি অর্থনীতি গ্রাজুয়েটদের বিশেষ চাহিদা রয়েছে।

এছাড়া বিশ্বব্যাংক, এশীয় উন্নয়ন ব্যাংক (এডিবি)-এ কৃষি অর্থনীতি গ্রাজুয়েটদের আলাদা ভাবে নিয়োগ দেয়া হয়। ক্যাসেড (CASSED), ইনোভিশন (Innovision) ইত্যাদিতে কৃষি অর্থনীতি গ্রাজুয়েটরা খুব সহজেই চাকরি পেতে পারে।

কৃষি প্রকৌশলীরা চাকরি ক্ষেত্রে ভালো স্থান দখল করে আছেন। কৃষি প্রকৌশলীদের পছন্দের সরকারি প্রতিষ্ঠানগুলো হলো: বাংলাদেশ কৃষি গবেষণা ইনস্টিটিউট, বাংলাদেশ পরমাণু কৃষি গবেষণা প্রতিষ্ঠান, বাংলাদেশ ধান গবেষণা ইনস্টিটিউট, বাংলাদেশ কৃষি উন্নয়ন করপোরেশন, বাংলাদেশ কৃষি গবেষণা কাউন্সিল, বাংলাদেশ পানি উন্নয়ন বোর্ড, বিদ্যুৎ উন্নয়ন বোর্ড, বাংলাদেশ বিজ্ঞান ও শিল্প গবেষণা কাউন্সিল, পল্লী উন্নয়ন একাডেমি, বাংলাদেশ স্ট্যান্ডার্ডস অ্যান্ড টেস্টিং ইনস্টিটিউট (বিএসটিআই), বাংলাদেশ পেট্রোলিয়াম এক্সপ্লোরেশন অ্যান্ড প্রোডাকশন কোম্পানি। এসিআই, সিনজেনটা, কাজী ফার্মস ছাড়াও কৃষি যন্ত্রপাতি উৎপাদক বেসরকারি প্রতিষ্ঠানে চাকরি করছেন অনেকে। এ ছাড়া কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের ফুড ইঞ্জিনিয়ারিং বিষয়ে পড়ানো হয়, যা বিভিন্ন সরকারি ও বেসরকারি খাদ্য প্রক্রিয়াজাত এবং খাদ্যের গুণগতমান নির্ধারণ করা প্রতিষ্ঠানে চাকরির পথ খুলে দেয়।

সিলেট কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের নতুন একটি বিষয় বায়োটেকনোলজি এন্ড জেনটিক ইঞ্জিনিয়ারিং বাংলাদেশে নতুন সম্ভাবনার দরজা খুলে দিল । বাংলাদেশের বিভিন্ন কৃষি গবেষনা প্রতিষ্ঠান, সরকারী-বেসরকারী রিসার্স ফার্ম হাউজ, ফার্মাসিউটিক্যাল ইন্ডাস্ট্রিতে এর অনেক চাহিদা । বাংলাদেশে ফল ফসল শাকসবজীর নতুন জাত উদ্ভাবন, সংরক্ষন ও উচ্চতর গবেষনার জন্য বায়োটেকনোলজী এন্ড জেনেটিক প্রকৌশলীদের বিকল্প নেই । দেশের বাইরে এ অনুষদের গ্র্যাজুয়েটদের 'হট কেকের' মতোই লুফে নেবে বলে আমি মনে করি ।

সুতরাং বুঝতেই পারছেন কৃষির মূল্য কতো বেশি। কাল রবিবার সিলেট কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ে নতুন ছেলে মেয়েরা ভর্তি হবে। শুধু বলতে চাই-সিলেট কৃষি বিশ্ববিদ্যালয় পরিবারে স্বাগতম। সফল হও।


লেখক:
কর্মকর্তা, জনসংযোগ ও প্রকাশনা দফতর
সিলেট কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়
www.facebook.com/Gaanwala

আপনার মন্তব্য

আলোচিত