১৪ জানুয়ারি, ২০১৬ ০০:১৯
নাগরিক আধুনিকতা আর টেকনো-সভ্যতার দাপটে কুসংস্কার বাংলার শীতকালের মতোই রেয়ার হয়ে গিয়েছে। বরং বাঙালির ঘাড়ে চেপে বসেছে কালো বেড়াল নিয়ে, পেঁচা নিয়ে সাহেবি সংস্কার। এক শালিক দেখলে কী অমঙ্গল ঘনিয়ে উঠতে পারে, তা আজকের ক্লাস থ্রি-র বাচ্চাটি জানে কি?
আজকে প্রজন্ম কি বিশ্বাস করবে অশ্লেযা আর মঘা নিয়ে বাঙালির বিড়ম্বনায়? কেউ কি জানেন, একাদশীতে লাউ খেলে কী ঘটতে পারে? অথবা কেন দাঁড়কাক ডাকলে ‘রাম রাম’ বলতে হয়?
না, এই প্রতিবেদন ‘কুসংস্কার বাঁচাও কমিটি’-র প্রস্তাবপত্র নয়। বরং এই লেখায় সন্ধান করা যাক এই টেক-স্যাভি, নেট-অ্যাডিক্ট সময়েও টিকে থাকা কিছু ‘একান্ত বাঙালি’ কুসংস্কার-কে।
হাঁচি পড়লে যাত্রা নাস্তি। কিন্তু এই হাঁচিই নাকি দীর্ঘায়ুর ইন্ডিকেটর।
টিকটিকি ডাকলেও অযাত্রা। আবার কথার মাঝে তিনবার টিকটিকির ডাক সেই কথার সত্যতার অকাট্য প্রমাণ।
ডান হাতের তালু চুলকোলে আয়ের সম্ভাবনা। বাঁ হাতে একই কাণ্ডে
খরচের। দু’হাত একসঙ্গে চুলকোলে কী হবে, তা বাঙালি একবারেই জানে জানে না।