সিলেটটুডে ডেস্ক

২০ মে, ২০২০ ১৮:২৬

আম্পান: পটুয়াখালীর বিভিন্ন গ্রাম প্লাবিত

প্রবল ঘূর্ণিঝড় আম্পানে প্রভাবে ধেয়ে আসছে সাগরের পানি। পানির তোড়ে পটুয়াখালীর রাঙ্গাবালী, গলাচিপার গোলখালী ও বাউফলে বাঁধ ভেঙে গ্রাম প্লাবিত হয়েছে।

স্থানীয়রা জানিয়েছেন, যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন পটুয়াখালীর রাঙ্গাবালী উপজেলার মাঝের চর, চর আন্ডা, চর মোন্তাজ, চালিতাবুনিয়াসহ পাঁচটি গ্রাম প্লাবিত হয়েছে।

বেড়িবাঁধের ওপর দিয়ে জোয়ারের পানি প্রবেশ করায় সেসব এলাকার পানিবন্দি মানুষদের নিকটবর্তী ঘূর্ণিঝড় আশ্রয়কেন্দ্রে নেওয়ার ব্যবস্থা করছে রাঙ্গাবালী উপজেলা প্রশাসন।

উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মাশফাকুর রহমান বলেন, ‘চর মোন্তাজ ও চর আন্ডার পানিবন্দিদের ট্রলার করে অন্যত্র সরিয়ে নেওয়া হচ্ছে।’

এছাড়াও, গলাচিপার গোলখালী, বাউফলের কয়েকটি এলাকার বেড়িবাঁধের ভাঙা অংশ দিয়ে পানি লোকালয়ে ঢুকছে। টুয়াখালী, বরগুনা ৫ লাখ ৮৮ হাজার মানুষ আশ্রয়কেন্দ্রে।

বিজ্ঞাপন

ঘূর্ণিঝড় আম্পানের কারণে পটুয়াখালী ও বরগুনা জেলায় অন্তত ৫ লাখ ৮৮ হাজার মানুষ বিভিন্ন আশ্রয়কেন্দ্রে আশ্রয় নিয়েছে। এর মধ্যে পটুয়াখালী জেলায় রয়েছে ৩ লাখ ৫৪ হাজার জন এবং বরগুনায় ২ লাখ ৩৩ হাজার জন। পটুয়াখালী ও বরগুনা জেলার কন্ট্রোল রুম সূত্রে এ তথ্য জানা গেছে।

এছাড়াও, পটুয়াখালীতে ৮০ হাজার ১৬৭টি এবং বরগুনায় ২২ হাজার ৮৯২টি গবাদিপশু ও বিভিন্ন আশ্রয়কেন্দ্রে নিয়ে আসা হয়েছে।

এদিকে, পটুয়াখালী জেলার কলাপাড়া উপজেলার ধানখালী ইউনিয়নের ৬ নং ইউনিটের ঘূর্ণিঝড় প্রস্তুতি কর্মসূচি (সিপিপি) টিম লিডার শাহ আলম, (৪০) আজ সকাল ৮টার দিকে জনগণকে মাইকিং করে আশ্রয়কেন্দ্রে যাওয়ার জন্য নৌকায় বের হলে স্থানীয় হাফেজ প্যপদার খালে নৌকাটি ঝড়ো বাতাসে ডুবে যায়। চারজনের মধ্যে ৩ জন সাতঁরে তীরে ওঠতে পারলেও শাহ আলম নিখোঁজ রয়েছেন।

ঘূর্ণিঝড় প্রস্তুতি কর্মসূচির কলাপাড়া উপজেলার সহকারী পরিচালক আসাদুজ্জামান বিষয়টি নিশ্চিত করে বলেন, ‘ওই খালে কচুরিপানা থাকায় উদ্ধারকার্য ব্যাহত হচ্ছে।’

আপনার মন্তব্য

আলোচিত