সিলেটটুডে ডেস্ক

১৯ ডিসেম্বর, ২০২০ ১৩:৪৪

বাঘা যতীনের ভাস্কর্য ভাঙচুর: আটক ৪ জনকে ছেড়ে দিয়েছে পুলিশ

কুষ্টিয়ায় ব্রিটিশ বিরোধী আন্দোলনের অগ্রনায়ক বিপ্লবী বাঘা যতীনের (যতীন্দ্রনাথ মুখোপাধ্যায়) ভাস্কর্য ভাঙচুরের ঘটনায় জিজ্ঞাসাবাদের জন্য হেফাজতে নেওয়া ৩ জনকে ছেড়ে দিয়েছে পুলিশ। জিজ্ঞাসাবাদে বাঘা যতীনের ভাস্কর্য ভাঙচুরের ঘটনায় কোনো গুরুত্বপূর্ণ তথ্য না পাওয়ায় আটক তিনজনকে ছেড়ে দেওয়ার কথা জানান কুমারখালী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মুজিবুর রহমান।

তাদেরকে ছেড়ে দিলেও নজরদারির মধ্যে রাখা হবে বলে জানিয়েছেন এই পুলিশ কর্মকর্তা।

ঘটনার পর গতকাল শুক্রবার প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদের জন্য চারজনকে আটক করে পুলিশ। এরা হলেন- কয়া মহাবিদ্যালয়ের অধ্যক্ষ হারুন অর রশিদ, পরিচালনা পরিষদের সভাপতি নিজামুল হক চুন্ন, নৈশপ্রহরি খলিলুর রহমান ও কয়া ইউনিয়নের যুবলীগের সভাপতি আনিচুর রহমান। গতরাত সাড়ে ১১ টার দিকে জিজ্ঞাসাবাদ শেষে আনিচুর রহমান ছাড়া বাকিদের ছেড়ে দেওয়া হয়।

বাঘা যতীনের ভাস্কর্যটি কুষ্টিয়া কুমারখালী উপজেলার কয়া গ্রামে কয়া মহাবিদ্যালয়ের প্রধান ফটকের সামনে সড়কের পাশে স্থাপিত।

এদিকে বাঘা যতীনের ভাস্কর্য ভাঙচুরের ঘটনাটি তদন্তের জন্য তিন সদস্য বিশিষ্ট তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে। কুষ্টিয়ার অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিস্ট্রেট সিরাজুল ইসলামকে প্রধান করে এ কমিটি গঠন করেছেন জেলা প্রশাসক আছলাম হোসেন।

উল্লেখ্য, শুক্রবার (১৮ ডিসেম্বর) সকালে স্থানীয়রা বাঘা যতীনের ভাস্কর্য ভাঙা দেখে প্রশাসনকে অবহিত করেন। এরপর ঘটনাস্থলে যান কুমারখালী উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) রাজীবুল ইসলাম খান ও কুমারখালী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মজিবুর রহমান। তারা ঘটনাস্থলে গিয়ে সত্যতা পান। ধারণা করা হচ্ছে, বৃহস্পতিবার গভীর রাতে ভাস্কর্যটি ভাঙা হয়।

যতীন্দ্রনাথ মুখোপাধ্যায় ছিলেন একজন ব্রিটিশবিরোধী বিপ্লবী নেতা। তিনি ‘বাঘা যতীন’ নামেই সকলের কাছে পরিচিত। ভারতে ব্রিটিশবিরোধী সশস্ত্র আন্দোলনে তিনি অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেন। ১৮৭৯ সালে কুষ্টিয়া জেলার কুমারখালী থানার কয়া গ্রামে তিনি জন্মগ্রহণ করেন । মাত্র ৩৫ বছর বয়সে ১৯১৫ সালে তিনি মৃত্যুবরণ করেন।

আপনার মন্তব্য

আলোচিত