সিলেটটুডে ডেস্ক

০৮ এপ্রিল, ২০২১ ২০:৫৮

স্ত্রীর কাছে ‘সত্য গোপনে’ মামুনুলের সাফাই

স্ত্রীকে খুশি করতে নিজের স্ত্রীর কাছে সত্য গোপনের পক্ষে সাফাই গেয়েছেন হেফাজতে ইসলামের যুগ্ম মহাসচিব মাওলানা মুহাম্মাদ মামুনুল হক। নারায়ণগঞ্জের সোনারগাঁওয়ের একটি রিসোর্টে এক নারীসহ ধরা পড়ার পর সারাদেশে ব্যাপক আলোচনা-সমালোচনার সময়ে ফেসবুক লাইভে এসে তিনি এমন যুক্তি তুলে ধরেন।

বৃহস্পতিবার ফেসবুক বেলা সোয়া তিনটার দিকে লাইভে এসে হেফাজতে ইসলামের নেতা মামুনুল হক বলেছেন, ‘স্ত্রীকে সন্তুষ্ট করতে, স্ত্রীকে খুশি করতে প্রয়োজনীয় ক্ষেত্রে সীমিত পরিসরে কোনো সত্যকে গোপন করারও অবকাশ রয়েছে।’

৩ এপ্রিল নারায়ণগঞ্জের সোনারগাঁয়ে রয়্যাল রিসোর্টে এক নারীর সঙ্গে অবস্থান করার ঘটনায় স্থানীয় জনতা মামুনুল হককে ঘেরাও করেন। ঘটনা জানাজানি হওয়ার পর হেফাজতের সমর্থকেরা রিসোর্ট ভাঙচুর করে তাকে ছিনিয়ে নিয়ে যায়। হেফাজত সমর্থকেরা তাকে ছিনিয়ে নিয়ে যাওয়ার পর কোনো এক সময়ে তিনি নিজের স্ত্রীর কাছে টেলিফোনে জানান, ওই নারী হাফেজ শহিদুল ইসলামের স্ত্রী, বেকায়দায় পড়ে তিনি নিজের দ্বিতীয় স্ত্রী বলে দাবি করেছেন। মামুনুল ও তার স্ত্রীর এই ফোনালাপ সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ফাঁস হয়ে যায়, একাধিক টেলিভিশন চ্যানেল সেটি প্রচারও করে।

স্থানীয় জনতার হাতে অবরুদ্ধ থাকাবস্থায় ওই দিন তিনি বলেছিলেন, সঙ্গে থাকা নারী তার দ্বিতীয় স্ত্রী। দুই বছর আগে তিনি বিয়ে করেছেন। কয়েকটি ফাঁস হওয়া ফোনালাপের সূত্রে জানা যায়, দ্বিতীয় বিয়ে করার বিষয়টি মামুনুল হকের প্রথম স্ত্রী জানতেন না। তা ছাড়া রিসোর্টে স্ত্রীর নাম সঠিক বলেননি মামুনুল।

ওই ঘটনার পাঁচ দিন পর মামুনুল হক লাইভে এসে বলেছেন, ‘আমি একাধিক বিয়ে করেছি।’ তিনি দাবি করেন, ইসলামি শরিয়ত অনুযায়ী ও বাংলাদেশের আইনে একাধিক বিয়ের ক্ষেত্রে কোনো বাধা নেই। নিজের একাধিক বিয়ের কথা উল্লেখ করে মামুনুল বলেন, একজন পুরুষ চারটি বিয়ে করতে পারেন। চারটি বিয়ে করলে কার কী?

ওই দিনের ঘটনার পর পুলিশ বাদী হয়ে দুটি মামলা করেছে। একটি মামলায় মামুনুল হককে আসামি করা হয়েছে।

লাইভে এসে মামুনুল বলেন, যারা তার ব্যক্তিগত আলাপ, কথা জনসম্মুখে এনেছেন; তিনি (মামুনুল) তাদের বিরুদ্ধে ব্যক্তিগত গোপনীয়তা লঙ্ঘনের অভিযোগে মামলা করবেন। মামুনুল বলেন, ওই দিন অসাবধানতা ও নিজস্ব নিরাপত্তা না নিয়ে রয়্যাল রিসোর্টে ঘুরতে যাওয়া তার উচিত হয়নি। ব্যক্তিগত অসাবধানতা ও পদক্ষেপ না নেওয়ায় তিনি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছেন।

লাইভে মামুনুল হক নিজের ও ২৬ বছর বয়স্ক কথিত ‘শিশুবক্তা’ রফিকুল ইসলাম মাদানীর কথা উল্লেখ করে বলেন, সরকার মানুষের চরিত্রহননের কাপুরুষোচিত পন্থা অবলম্বন করেছে। এর প্রতিবাদ করতে তিনি সবার প্রতি আহ্বান জানান।

আপনার মন্তব্য

আলোচিত