সিলেটটুডে ডেস্ক

০১ জুন, ২০২১ ২১:২৩

লোকজন চেয়েছিল আমি কাদা মাখি: আক্তারুজ্জামান এমপি

স্থানীয়দের স্বেচ্ছাশ্রমে বেড়িবাঁধের মেরামত কাজ দেখতে যাওয়া খুলনা-৬ আসনের সংসদ সদস্য মো. আক্তারুজ্জামান বাবু জনতার ধাওয়া খেয়েছেন। বিক্ষুব্ধ জনতা সাংসদকে দেখে কাদা ছুঁড়ে মারে। উপায়ান্তর না দেখে প্রথমে ট্রলার নিয়ে স্থানত্যাগ করলেও পরে সেখানে ফিরে আসেন এই সাংসদ। ঘটনার জানাজানি হলে স্থানীয় ওই সাংসদ বলছেন, ভিডিওতে যা দেখা যাচ্ছে তা ঠিক নয়। সাংসদের দাবি লোকজন তাকে কাদামাখা অবস্থায় দেখতে চেয়েছিল বলে তিনি নিজের গায়ে কাদা মেখেছেন।

মঙ্গলবার সকালে ঘটা এই ঘটনার ভিডিওচিত্র সোশ্যাল মিডিয়ায় ভাইরাল হয়েছে। তবে সন্ধ্যায় একটি ইংরেজি দৈনিকের সঙ্গে আলাপকালে মো. আক্তারুজ্জামান বাবু বলেন, 'আমি সকালে এলাকায় গিয়েছিলাম। সেখানে বেড়িবাঁধ ভেঙে গেছে। জনগণের দুঃখ-দুর্দশা দেখতে গিয়েছিলাম। ভিডিওতে যা দেখা যাচ্ছে তা ঠিক না। আমাকে কি ভিডিওতে দেখা যাচ্ছে যে আমাকে কাদা মারা হচ্ছে?'

তিনি বলেন, 'এ এলাকায় নিয়মিত বাঁধ ভাঙে, হাজার হাজার মানুষের কষ্ট হয়। এলাকায় যাওয়ার পর মানুষ আমাকে বলে যে আপনার মতো ডায়নামিক লোক থাকতে কেন এখানে টেকসই বাধ হচ্ছে না। আমি বলেছি এজন্য সময় দিতে হবে।'

ভিডিওতে দেখা যায়, মঙ্গলবার সকালে উপজেলার মহারাজপুর ইউনিয়নের দশহালিয়া এলাকায় পৌঁছালে বিক্ষুব্ধ বাসিন্দারা সংসদ সদস্যের ট্রলার লক্ষ্য করে কাদা ও মাটির দলা ছুড়তে শুরু করে। কপোতাক্ষ নদের বাঁধ ভেঙে যাওয়ায় শতাধিক মানুষ স্বেচ্ছাশ্রমে মেরামত করছিলেন।

কাদা ছোঁড়ার পর ট্রলার ঘুরিয়ে চলে যাওয়া প্রসঙ্গে তিনি বলেন, 'আমি ট্রলার থেকে না নামলে বক্তৃতা দিলাম কীভাবে? তাদের সঙ্গে আমি খাওয়া দাওয়া করেছি। সেখানে ৫-৭ হাজার মানুষ ছিল। উপজেলা চেয়ারম্যানসহ অনেকেই সেখানে ছিল। কাদা ছোঁড়াছুড়ির কিছু হয়নি।'

স্থানীয়দের অনুরোধে তিনি নিজের গায়ে কাদা মেখেছেন এমন জানিয়ে মো. আক্তারুজ্জামান বাবু বলেন, 'আসলে এলাকার লোকজন কাদা মেখে ছিল। কারণ ওই এলাকায় কাদা ছাড়া আর কিছু নেই। চারিদিকে শুধু পেরি কাদা। তারা চেয়েছিল আমি কাদা মাখি। এতে তারা খুশি হয়। সে কারণে আমার গায়ে কাদা। তারা যে আমার গায়ে কাদা ছুঁড়েছে, সে কারণে নয়'।

সাংসদের দাবি, 'আমি এলাকায় বেশি বেশি যাই, এতে আমার জনপ্রিয়তা দেখে ঈর্ষান্বিত হয়ে প্রতিপক্ষ এরকম কথাবার্তা ছড়াচ্ছে।'

আপনার মন্তব্য

আলোচিত