সিলেটটুডে ডেস্ক

০১ জুন, ২০২১ ২০:৫০

এমপিকে জনতার ধাওয়া

স্থানীয়দের স্বেচ্ছাশ্রমে বেড়িবাঁধ মেরামত দেখতে যাওয়া একজন সংসদ সদস্যকে ধাওয়া দিয়েছে স্থানীয় জনতা। তবে ওই সাংসদ বলছেন ধাওয়ার ঘটনা ঘটেনি।

ঘটনাটি মঙ্গলবারের। স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, মঙ্গলবার (১ জুন) সকাল থেকেই কয়রার মহারাজপুর ইউনিয়নের দশহালিয়া এলাকায় কপোতাক্ষ নদের ভেঙে যাওয়া বাঁধ মেরামতে স্বেচ্ছাশ্রমে কয়েক হাজার মানুষ কাজ করছিলেন। সাড়ে ১১টার দিকে সেখানে একটি ট্রলার নিয়ে খুলনা-৬ আসনের এমপি মো. আক্তারুজ্জামান ও কয়রা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তাসহ আরও কয়েকজন সেখানে যান। কিন্তু কাজ করা হাজার জনতা এমপিকে দেখে উত্তেজিত হয়ে পড়ে। তারা এমপির ট্রলারের দিকে কাঁদা ছুড়ে তাকে ফিরে যেতে বলেন। একে একে ক্ষিপ্ত এলাকাবাসী নদীতে নেমে আসেন।

এ সময় এমপি বাঁধ এলাকার একটু দূরে ট্রলার থেকে নামেন। তখন এলাকার কিছু আওয়ামী লীগ নেতাকর্মীরা পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে নিয়ে আসেন। পরিস্থিতি শান্ত হলে পুনরায় ফিরে আসেন সাংসদ মো. আক্তারুজ্জামান।

সেখানে উপস্থিত হয়ে এমপি তার বক্তব্যে স্থায়ী বাঁধ না করতে পারায় নিজের ব্যর্থতার কথা স্বীকার করেন এবং তিনি ওই মানুষদের সঙ্গে কাজে অংশ নেন। সেই সময় অনেক মানুষ কাজ ছেড়ে চলে যান।

স্থানীয়দের অভিযোগ, পাউবো (পানি উন্নয়ন বোর্ড)-এর বেড়িবাঁধের কাজ নিয়ন্ত্রণ করেন এমপি। ঠিকাদারির সঙ্গে তার আস্থাভাজনরা যুক্ত। এ কারণে বাঁধের কাজ ভালো হয় না। সামান্য জোয়ারের পানি বাড়লেই বাঁধ ভেঙে যায়।

সাংসদ মো. আক্তারুজ্জামান জানান, উপকূলের সবচেয়ে দুর্যোগ ঝুঁকিপূর্ণ এলাকা খুলনার কয়রা উপজেলায় ঘূর্ণিঝড় ইয়াসের প্রভাবে সবচেয়ে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। স্থানীয় মানুষরা চান টেকসই বেড়িবাঁধ। প্রতি বছর ভাঙনে তারা ব্যাপক ক্ষতিগ্রস্ত হন।

স্থানীয়দের দাবিকে যৌক্তিক উল্লেখ করে এ ঘটনা প্রসঙ্গে এমপি আক্তারুজ্জামান বাবু জানান, সেখানে গেলে তাকে দেখে মানুষ ক্ষোভ প্রকাশ করে টেকসই বেড়িবাঁধের দাবিতে বিক্ষোভ করেন। তবে তার দিকে কাদা ছোড়ার ঘটনা ঘটেনি বলে দাবি তার।

এ বিষয়ে কয়রা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) রবিউল ইসলাম বলেন, ভুল বোঝাবুঝির কারণে একটি অনাকাঙ্ক্ষিত পরিস্থিতি সৃষ্টি হয়েছিল। তবে কিছুক্ষণের মধ্যেই তার অবসান হয়।

আপনার মন্তব্য

আলোচিত