সিলেটটুডে ডেস্ক

১৩ জুলাই, ২০২১ ১৩:০৪

২৩ জুলাই থেকে ৫ আগস্ট মানতে হবে যেসব বিধিনিষেধ

ঈদে বিধিনিষেধ শিথিল করে ২৩ জুলাই থেকে `কঠোর বিধিনিষেধ' দিয়ে প্রজ্ঞাপন জারি করেছে সরকার। আজ মঙ্গলবার (১৩ জুলাই) সকালে মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ থেকে এ প্রজ্ঞাপন জারি করা হয়। একই পজ্ঞাপনে করোনাভাইরাসজনিত রোগ সংক্রমণের পরিস্থিতি বিবেচনায় ২৩ জুলাই ভোর ৬টা থেকে ৫ আগস্ট রাত ১২টা পর্যন্ত বিধিনিষেধ আরোপ করা হয়েছে।

সাত দিনের শিথিলতা শেষে ২৩ জুলাই থেকে ৫ আগস্ট পর্যন্ত বেশ কঠোর বিধিনিষেধের মুখে পড়তে হবে দেশবাসীকে। এই সময়ে যেসব বিধিনিষেধ দেওয়া হয়েছে তাতে বন্ধ থাকবে শিল্প-কারখানাও। এই সময়ে মানতে হবে যেসব বিধিনিষেধ:

১। সকল সরকারি আধাসরকারি স্বায়ত্বশাসিত এবং বেসরকারি প্রতিষ্ঠান বন্ধ থাকবে।
২। সড়ক, রেল ও গণপরিবহন (অভ্যন্তরীন বিমান সহ) সকল প্রকার যানবাহন চলাচল বন্ধ থাকবে।
৩। শপিং মল/মার্কেটসহ দোকান-পাট বন্ধ থাকবে।
৪। সকল পর্যটনকেন্দ্র, বিনোদন কেন্দ্র, রিসোর্ট, কমিউনিটি সেন্টার বন্ধ থাকবে।
৫। জনসমাবেশ হয় এমন ধরনের সামাজিক (বিবাত্তোর অনুষ্ঠান) (ওয়ালিমা), জন্মদিন, পার্টি পিকনিক, রাজনৈতিক অনুষ্ঠান, ধর্মীয় অনুষ্ঠান বন্ধ থাকবে।
৬। আদালতসমূহের বিষয়ে নির্দেশনা জারি করবে বাংলাদেশ সুপ্রিম কোর্ট।
৭। ব্যাংকিং সেবা নিশ্চিত করতে নির্দেশনা দেবে বাংলাদেশ ব্যাংক।
৮। সরকারি সকল কর্মকর্তা নিজ নিজ কর্মস্থলে অবস্থান করবেন এবং ভার্চুয়ালি (ই- নথি, ই- টেন্ডারিং, ইমেইল, এসএমএস এবং হোয়াটসঅ্যাপ) এর মাধ্যমে দাফতরিক কাজ সম্পন্ন করবেন।
৯। আইন শৃংখলা এবং জরুরি পরিষেবা যেমন কৃষি পণ্য ও উপকরন (সার, বীজ, কীটনাশক ও কৃষি যন্ত্রপাতি), খাদ্য শষ্য ও খাদ্যদ্রব্য পরিবহন/ বিক্রয়, ত্রাণ বিতরন, স্বাস্থ্যসেবা, কোভিড-১৯ টিকা প্রদান, এনআইডি প্রদান কার্যক্রম, রাজস্ব আদায় সম্পর্কিত কার্যাবলী, বিদ্যুৎ, পানি, গ্যাস/ জ্বালানি ফায়ার সার্ভিস, বন্দরসমুহের নদী বন্দর, কার্যক্রম, টেলিফোন, ইন্টারনেট, (সরকারি/ বেসরকারি), গণমাধ্যম (প্রিন্ট ও ইলেক্ট্রনিক মিডিয়া), বেসরকারি নিরাপত্তা ব্যবস্থা, ডাক সেবা, ব্যাংক, ভিসা সংক্রান্ত কার্যক্রম, সিটি করপোরেশন / পৌরসভা (পরিস্কার-পরিচ্ছন্ন সড়কের বাতি ব্যবস্থাপনা ইত্যাদি) সামাজিক নিরাপত্তা কর্মসূচি, ফার্মেসি, ফামাসিটিক্যালসসহ অন্যান্য জরুরি অত্যাবশ্যক সেবার সঙ্গে সংশ্লিষ্ট অফিসসমূহ, তাদের কর্মচারী যানবাহন প্রাতিষ্ঠানিক পরিচয়পত্র সাপেক্ষে যাতায়াত করতে পারবে।
১০। বিভাগীয় জেলা ও উপজেলা পর্যায়ে হিসাবরক্ষণ কর্মকর্তার কার্যালয় খোলা রাখার বিষয়ে অর্থবিভাগ প্রয়োজনীয় নির্দেশনা দেবে।
১১। জরুরি পণ্য পরিবহনে নিয়োজিত ট্রাক/লরি, কাভার্ড ভ্যান, কার্গো, ভেসেল এ নিষেধাজ্ঞার আওতা বর্হিভূত থাকবে।
১২। বন্দরসমূহ (বিমান, সমুদ্র, নৌ, স্থল) এবং তৎসংশ্লিষ্ট অফিসসমূহ এর আওতাবর্হিভূত থাকবে।
১৩। কাঁচা বাজার সকাল নয়টা থেকে বিকাল পাঁচটা পর্যন্ত খোলা স্থানে বসতে পারবে। স্বাস্থ্যবিধি মেনে কেনা বেচা হবে। এ বিষয়ে সংশ্লিস্ট বাজার কমিটি নিশ্চিত করবে।
১৪। অতি জরুরি প্রয়োজন (ওষুধ, চিকিৎসা, নিত্যপ্রয়োজনীয়, দাফন, সৎকার) ব্যতিত বাড়ির বাইরে যাওয়া যাবে না। না মানলে আইনগত ব্যবস্থা।
১৫। ভ্যাকসিন কার্ড প্রদর্শন সাপেক্ষে ভ্যাকসিন গ্রহণ করতে বের হওয়া যাবে।
১৬। খাবারের দোকান হোটেল রেস্তরা সকাল ৮ টা থেকে রাত ৮ টা পর্যন্ত খোলা থাকবে।
১৭। আন্তর্জাতিক ফ্লাইট চালু থাকবে।আন্তর্জাতিক যাত্রীরা তাদের বিমানের টিকেট দেখিয়ে গাড়ীতে যাতায়াত করতে পারবেন।
১৮। স্বাস্থ্যবিধি অনুসরন করে মসজিদে নামাজের বিষয় নির্দেশনা দেবে ধর্ম বিষয়ক মন্ত্রণালয়।
১৯। আর্মি ইন এইড টু সিভিল পাওয়ার বিধানের আওতায় মাঠ পর্যায়ে কার্যকর টহল নিশ্চিত করার জন্য সশস্ত্র বাহিনী বিভাগ প্রয়োজনীয় সংখ্যক সেনা মোতায়েন করবে। জেলা ম্যাজিস্ট্রেস, স্থানীয় সেনা কমান্ডারের সঙ্গে যোগাযোগ করে বিষয়টি নিশ্চিত করবে।
২০। জেলা ম্যাজিস্ট্রেস জেলা পর্যায়ের কর্মকর্তাদের নিয়ে সমন্বয় সভা করে বিজিবি,সেনাবাহিনী,পুলিশ, র্যাব, আনসার নিয়োগ ও টকলেন অধিক্ষেত্র, পদ্ধতি সময় নির্ধারন করবেন। সেই সঙ্গে স্থানীয় বিশেষ কোনো কার্যক্রমের প্রয়োজন হলে সে বিষয়ে পদক্ষেপ নেবেন। সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয়, বিভাগ অধিদপ্তর এ বিষয়ে নির্দেশনা দেবে।
২১। জনপ্রশসন মন্ত্রনালয় প্রয়োজনীয় সংখ্যক ম্যাজিস্ট্রেস নিয়োগ নিশ্চিত করবে।
২২। স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের মহাপরিচালক তার পক্ষে জেলা প্রশাসন ও পুলিশ বাহিনীকে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহনে প্রয়োজনীয় ক্ষমতা প্রদান করবেন।

আপনার মন্তব্য

আলোচিত