সিলেটটুডে ডেস্ক

১৪ সেপ্টেম্বর, ২০২১ ১৫:২৬

এস কে সিনহার বিরুদ্ধে অর্থপাচার মামলার রায় ৫ অক্টোবর

সাবেক প্রধান বিচারপতি সুরেন্দ্র কুমার সিনহাসহ (এস কে সিনহা) ১১ জনের বিরুদ্ধে দায়ের করা অর্থপাচার মামলার রায় ঘোষণার তারিখ আগামী ৫ অক্টোবর ধার্য করেছেন আদালত।

মঙ্গলবার (১৪ সেপ্টেম্বর) রাষ্ট্র ও আসামিপক্ষের যুক্তিতর্ক উপস্থাপন শেষে ঢাকার বিশেষ জজ আদালত-৪-এর বিচারক শেখ নাজমুল আলমের আদালত এই তারিখ ধার্য করেন।

গত ২৯ আগস্ট মামলাটিতে পলাতক আসামিরা ছাড়া আত্মপক্ষ শুনানিতে নিজেদের নির্দোষ দাবি করেন। গত ২৪ আগস্ট মামলাটির সাক্ষ্য শেষ হয়। মামলায় ২১ জনের সাক্ষ্য গ্রহণ করেন আদালত।

গত বছরের ১৩ আগস্ট বিশেষ জজ আদালত-৪-এর বিচারক শেখ নাজমুল আলম মামলাটির চার্জগঠন করে বিচার শুরুর আদেশ দেন।

এ মামলার অন্য আসামিরা হলেন— ফারমার্স ব্যাংকের (বর্তমান পদ্মা ব্যাংক) সাবেক এমডি এ কে এম শামীম, সাবেক এসইভিপি গাজী সালাহউদ্দিন, ফার্স্ট ভাইস প্রেসিডেন্ট স্বপন কুমার রায়, সিনিয়র ভাইস প্রেসিডেন্ট মো. জিয়াউদ্দিন আহমেদ, ফার্স্ট ভাইস প্রেসিডেন্ট সাফিউদ্দিন আসকারী, ভাইস প্রেসিডেন্ট মো. লুৎফুল হক এবং টাঙ্গাইলের বাসিন্দা মো. শাহজাহান, একই এলাকার বাসিন্দা নিরঞ্জন চন্দ্র সাহা, রনজিৎ চন্দ্র সাহা ও তার স্ত্রী সান্ত্রী রায়। মামলার তদন্তের সময় এজাহারভুক্ত আসামি মো. জিয়াউদ্দিন আহমেদ মারা গেলে তাকে মামলার দায় থেকে অব্যাহতি দেওয়া হয়েছে।

গত ৫ জানুয়ারি ফারমার্স ব্যাংক থেকে চার কোটি টাকা ব্যক্তিগত ব্যাংক অ্যাকাউন্টে স্থানান্তর ও আত্মসাতের অভিযোগে দেওয়া চার্জশিট গ্রহণ করেন ঢাকা মহানগর সিনিয়র স্পেশাল জজ কে এম ইমরুল কায়েশ। এরপর আসামিরা পলাতক থাকায় তাদের হাজির হতে নির্দেশনা দেন।

২০১৯ সালের ১০ জুলাই দুদকের পরিচালক সৈয়দ ইকবাল হোসেন বাদী হয়ে কমিশনের জেলা সমন্বিত কার্যালয় ঢাকা-১-এ এই মামলাটি দায়ের করেন। ওই বছরের ডিসেম্বর মাসে মামলার তদন্ত কর্মকর্তা দুদক পরিচালক বেনজীর আহমেদ এ চার্জশিট দেন।

মামলার এজাহারে বলা হয়, আসামিরা প্রতারণার আশ্রয় নিয়ে ফারমার্স ব্যাংকের গুলশান শাখা থেকে অস্বাভাবিক দ্রুততার সঙ্গে চার কোটি টাকা ভুয়া ঋণ তৈরি করে তা একই দিনে পে-অর্ডারের মাধ্যমে আসামি এসকে সিনহার ব্যক্তিগত হিসাবে স্থানান্তর করেন। পরে এস কে সিনহা নগদ, চেক ও পে-অর্ডারের মাধ্যমে অন্য অ্যাকাউন্টে টাকা সরিয়ে নিয়ে অর্থ আত্মসাৎ করেছেন, যা দুর্নীতি প্রতিরোধ আইন ও মানি লন্ডারিং প্রতিরোধ আইন অনুযায়ী শাস্তিযোগ্য অপরাধ।

আপনার মন্তব্য

আলোচিত