২৮ এপ্রিল, ২০২২ ১২:২২
রাজধানীর নিউ মার্কেটে ব্যবসায়ীদের সঙ্গে ঢাকা কলেজ শিক্ষার্থীদের সংঘর্ষের সময় ডেলিভারিম্যান নাহিদ মিয়াকে হত্যায় জড়িত সন্দেহে পাঁচজনকে গ্রেপ্তার করেছে ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের (ডিএমপি) গোয়েন্দা শাখা (ডিবি)।
ডিএমপির মিডিয়া সেন্টারে বৃহস্পতিবার (২৮ এপ্রিল) দুপুরে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে এ তথ্য জানান ডিবির অতিরিক্ত কমিশনার এ কে এম হাফিজ আক্তার।
তিনি বলেন, গ্রেপ্তারকৃতরা হলেন মো. আব্দুল কাইয়ূম (২৪) অনার্স চতুর্থ বর্ষ, পলাশ মিয়া (২৪) শেষ বর্ষ, মাহমুদ ইরফান (২৪) অনার্স চতুর্থ বর্ষ, মো. ফয়সাল ইসলাম (২৪), ও জুনায়েদ বুগদাদী (১৯), প্রথম বর্ষ।
ওই পাঁচজন নাহিদ হত্যায় প্রত্যক্ষভাবে অংশ নেয় বলে জানিয়েছে ডিবি।
রাজধানীর নিউ মার্কেট এলাকায় ১৯ এপ্রিল ব্যবসায়ীদের সঙ্গে ঢাকা কলেজ শিক্ষার্থীদের সংঘর্ষে গুরুতর আহত নাহিদ মিয়া পরে হাসপাতালে মারা যান। এলিফ্যান্ট রোডের একটি কম্পিউটার বিক্রয় প্রতিষ্ঠানের ডেলিভারিম্যান ছিলেন নাহিদ।
সংঘর্ষের ঘটনায় মোরসালিন নামের এক দোকান কর্মচারীরও মৃত্যু হয়।
নাহিদকে হেলমেটধারী তরুণেরা আঘাত করছেন, এমন ছবি ছড়ায় সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে। এই যুবক কারা, সে বিষয়ে প্রতিবেদন প্রকাশ করে বেশ কয়েকটি সংবাদমাধ্যম।
এতে নাহিদকে সরাসরি ছোরা দিয়ে আঘাত করা কালো হেলমেট ও ধূসর টি-শার্ট পরা তরুণের নাম ইমন বাসার। এ ছাড়া আরও কয়েকজন হামলায় অংশ নেন।
ঢাকা কলেজ শিক্ষার্থীদের সঙ্গে মঙ্গলবার সংঘর্ষের সময় ব্যবসায়ীদের পক্ষে অংশ নেন নাহিদ। সংঘর্ষের একপর্যায়ে বিপরীত দিকে ঢাকা কলেজ শিক্ষার্থীদের পক্ষে থাকা একদল হেলমেটধারী তরুণ নাহিদকে ধারালো অস্ত্রের আঘাতে গুরুতর আহত করেন।
ঢাকা কলেজের ফটকের বিপরীত পাশের নূরজাহান মার্কেটের সামনে আহত হন নাহিদ। এরপর তাকে উদ্ধার করে ঢাকা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে যান নিউ মার্কেটের ব্যবসায়ীরা। সেদিন রাত সোয়া ৯টার দিকে তার মৃত্যু হয়।
পুলিশের সুরতহাল প্রতিবেদনে নাহিদের মাথায় চারটি আঘাতের চিহ্নের কথা বলা হয়েছে। এ ছাড়া দেহের বিভিন্ন অংশে জখমের উল্লেখ রয়েছে প্রতিবেদনে।
নাহিদের পরিবার নিউ মার্কেট থানায় হত্যা মামলা করার পর এর তদন্ত শুরু করে ডিবির রমনা বিভাগ।
আপনার মন্তব্য