সিলেটটুডে ডেস্ক

১৩ মে, ২০২২ ১৭:১৫

সিলিং ফ্যান পড়ে কপাল ফাটল মুরাদের

জামালপুরের সরিষাবাড়ীতে সিলিং ফ্যান ভেঙে পড়ে কপাল ফেটে গেছে সাবেক তথ্য ও সম্প্রচার প্রতিমন্ত্রী মুরাদ হাসানের।

উপজেলার দৌলতপুর গ্রামে মুরাদের বাড়িতে বৃহস্পতিবার রাতে এ দুর্ঘটনা ঘটে।

সরিষাবাড়ী উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের আবাসিক চিকিৎসা কর্মকর্তা (আরএমও) দেবাশীষ রাজবংশী বিষয়টি জানিয়েছেন।

তিনি বলেন, ‘রাত ৮টার দিকে দুর্ঘটনার খবর পেয়ে আমি তার বাড়িতে যাই। ফ্যান পড়ে তার কপালের ডান দিকে কেটে যায়। কপালে তিনটি সেলাই দেয়া হয়।

‘তিনি শারীরিকভাবে স্ট্যাবল (স্থিতিশীল) আছেন। আঘাত শঙ্কাজনক নয়; বাড়িতেই চিকিৎসাধীন অবস্থায় আছেন।’

গত বছরের ১ ডিসেম্বর ফেসবুক লাইভে বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের মেয়ে ও খালেদা জিয়ার নাতনি জাইমা রহমানকে নিয়ে অসৌজন্যমূলক বক্তব্য দেন মুরাদ হাসান। এর পরপরই চিত্রনায়িকা মাহিয়া মাহির সঙ্গে তার অশোভন কথোপকথনের অডিও ভাইরাল হয়।

এসব ঘটনায় তীব্র সমালোচিত হন মুরাদ। এর মধ্যে প্রধানমন্ত্রী তাকে পদত্যাগের নির্দেশ দেন। গত ৭ ডিসেম্বর পদত্যাগ করেন মুরাদ।

এরপর মুরাদ কানাডার উদ্দেশে ঢাকা ছাড়েন, তবে কোভিড প্রটোকল না মানায় তাকে দেশটিতে ঢুকতে দেয়া হয়নি।

পরে বাধ্য হয়ে ১২ ডিসেম্বর সন্ধ্যায় ঢাকায় ফেরেন মুরাদ। শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর থেকে সেদিন সংবাদকর্মীদের চোখ ফাঁকি দিয়ে বেরিয়ে যান তিনি।

এরপর মুরাদের আর সন্ধান মেলেনি। গুঞ্জন রটে, রাজধানীর উত্তরার একটি ভবনে ওঠেন তিনি, তবে তার অবস্থান শনাক্ত করা যায়নি।

গত ২২ জানুয়ারি সাবেক প্রতিমন্ত্রীকে নিজ সংসদীয় এলাকা জামালপুরে চাচার জানাজায় অংশ নিতে দেখা যায়। এরই মধ্যে নতুন বিতর্কে জড়ান তিনি।

গত ৬ জানুয়ারি জাতীয় জরুরি সেবার নম্বর ৯৯৯-এ কল করে পুলিশের সহায়তা চান মুরাদের স্ত্রী জাহানারা এহসান। পরে ধানমন্ডি থানা-পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌঁছানোর আগেই মুরাদ বাসা থেকে বেরিয়ে যান। ওই দিন বিকেলে স্বামীর বিরুদ্ধে জিডি করেন জাহানারা।

জিডিতে মুরাদ হাসানের বিরুদ্ধে মারধর, মানসিক নির্যাতন ও হত্যার হুমকির অভিযোগ আনেন জাহানারা। নিরাপত্তাহীনতায় পড়ার কথা জানালে পুলিশ তার সঙ্গে সার্বক্ষণিক যোগাযোগ রাখার কথা জানায়। সেই জিডি তদন্তের নির্দেশও দেয় আদালত।

এদিকে জাইমা রহমানকে নিয়ে কটূক্তির ঘটনার পর দেশের বিভিন্ন মুরাদ হাসানের বিরুদ্ধে মামলার আবেদন হয়, তবে একে একে সবগুলোই খারিজ হয়ে যায়।

গত ৬ ফেব্রুয়ারি নারায়ণগঞ্জের একটি আদালত মামলার আবেদন গ্রহণ করে। মুরাদ ও ভার্চুয়াল টকশো উপস্থাপক মহিউদ্দিন নাহিদ হেলালের বিরুদ্ধে করা মানহানির মামলাটি তদন্তের জন্য জেলা পুলিশের গোয়েন্দা শাখাকে (ডিবি) নির্দেশ দেন নারায়ণগঞ্জের জ্যেষ্ঠ বিচারিক হাকিম ইমরান মোল্লা।

আপনার মন্তব্য

আলোচিত