সিলেটটুডে ডেস্ক

১৮ সেপ্টেম্বর, ২০২২ ১৮:৪০

বোরকাকে বিশ্ববিদ্যালয়ে ফরমাল ড্রেস করার দাবি

বিশ্ববিদ্যালয়ের ভাইভা প্রেজেন্টেশনসহ সব জায়গায় বোরকাকে ফরমাল ড্রেস হিসেবে গণ্য করার দাবি জানিয়েছে ইসলামী ছাত্র আন্দোলনের ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় শাখা।

রোববার বিকেলে ক্যাম্পাসে সন্ত্রাসবিরোধী রাজু ভাস্কর্যের সামনে অনুষ্ঠিত মানববন্ধন থেকে এই দাবি জানানো হয়। একই সঙ্গে ধর্মীয় পোশাক পরার কারণে কাউকে হয়রানি করা হলে দায়ীদের আইনের আওতায় আনার দাবি জানানো হয়।

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের বাংলা বিভাগের এক শিক্ষার্থী সম্প্রতি অভিযোগ করেন, ‘বোরকা পরে ভাইভা দিতে এলে ভাইভা বোর্ডে থাকা শিক্ষকরা তাকে মুখ ‍খুলতে বলেন। মুখ খুলতে অস্বীকৃতি জানানোয় তাকে ভাইভায় অনুপস্থিত দেখানো হয়।

ওই ঘটনার প্রতিবাদেই মূলত সংগঠনটি এই মানববন্ধনের আয়োজন করে।

মানববন্ধনে সংগঠনের সভাপতি ও ইসলামী ছাত্র আন্দোলন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় শাখার ভারপ্রাপ্ত সভাপতি ইয়াছিন আরাফাত বলেন, ‘ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় উন্মুক্ত সংস্কৃতি চর্চার কেন্দ্র। এখানে হাজার হাজার শিক্ষার্থী পর্দা করে এবং বিভিন্নভাবে তাদের হেনস্তা করা হয়। এটি চলতে দেয়া যাবে না। বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনের প্রতি আমাদের আহ্বান, মুখ ঢেকে রাখার কারণে যে মেয়েকে ভাইভায় অনুপস্থিত দেখানো হয়েছে শিক্ষকবৃন্দ যেন পুনরায় তার সেই ভাইভা বিবেচনা করেন।’

তিনি বলেন, ‘ধর্মীয় পোশাক পরার কারণে বোনদের সঙ্গে যেভাবে বৈষম্যমূলক আচরণ ও ব্যক্তিস্বাধীনতা খর্ব করা হচ্ছে, তা অপমান বিবেচনা করে এর জন্য শাস্তির ব্যবস্থা করতে হবে। এ ছাড়া ভাইভা প্রেজেন্টেশন, ক্লাসসহ সব জায়গায় বোরকাকে ফরমাল ড্রেস হিসেবে গণ্য করতে হবে।’

প্রধান অতিথির বক্তব্যে কেন্দ্রীয় পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয় সম্পাদক মাহবুবুর রহমান মানিক বলেন, ‘ক্যাম্পাসে ধর্মীয় অনুশাসন পালন অর্থাৎ পর্দা করার বিধান লঙঘনের এখতিয়ার কোনো কর্তৃপক্ষের হাতে থাকতে পারে না। দেশের সর্বোচ্চ বিদ্যাপীঠে কেউ ধর্ম পালন করতে পারবে না, তা হতে পারে না।

‘ক্যাম্পাস সবার মতপ্রকাশ ও আদর্শ লালনের জন্য উন্মুক্ত। এখানে যে যার মতো ধর্মীয় পোশাক পরতে পারে, যা সংবিধান নিশ্চিত করেছে। একটি খোঁড়া অজুহাতে ভাইভা বোর্ড পরীক্ষার্থীকে অনুপস্থিত দেখাবে, তা মেনে নেয়া যায় না। আমরা এর তীব্র প্রতিবাদ ও নিন্দা জানাই।’

কোনো শিক্ষার্থীকে শনাক্ত করার জন্য প্রয়োজনে ডিজিটাল বায়োমেট্রিক পদ্ধতির ব্যবস্থা করা, জরুরি প্রয়োজন হলে পর্দা করা ছাত্রীদের জন্য শিক্ষিকাদের মাধ্যমে শনাক্ত করার ব্যবস্থা করতে হবে।’

বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষকে উদ্দেশ করে তিনি বলেন, ‘যারা ধর্ম মানতে চায় বা মানে তাদের আপনারা বাধা দেবেন না। বাধা দেয়া হলে আমরা সব পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়ে আন্দোলনের ঘোষণা দেব।’

মানববন্ধন কর্মসূচিতে আরও উপস্থিত ছিলেন ঢাবি শাখার প্রচার সম্পাদক আবু বকর সিদ্দিক, অর্থ সম্পাদক মুহাম্মাদ আলীসহ বিভিন্ন স্তরের নেতারা।

আপনার মন্তব্য

আলোচিত