১৩ নভেম্বর, ২০২৪ ১২:৩২
ঋণ মানুষের অধিকার বলে জানিয়েছেন প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূস।
তিনি বলেছেন, ঋণ একটি মানবাধিকার। কারণ এটি মানুষের জীবিকার সঙ্গে সম্পর্কিত।
মঙ্গলবার (১২ নভেম্বর) আজারবাইজানের রাজধানী বাকুতে কপ-২৯-এর এক সাইডলাইন ইভেন্টে বক্তৃতায় তিনি বলেন, ‘ঋণ পাওয়ার অধিকার নিশ্চিত না করে আপনি জীবিকার অধিকার প্রতিষ্ঠা করতে পারবেন না।’
সম্মেলনের বাংলাদেশ প্যাভিলিয়নে বাংলাদেশ ও নেদারল্যান্ড যৌথভাবে ‘এ গ্লোবাল কনভারসেশন: অ্যাকসেস টু ফাইন্যান্স ফর স্মল স্কেল ফার্মার্স’ শিরোনামের অনুষ্ঠানের আয়োজন করে।
অতিরিক্ত পররাষ্ট্র সচিব রিয়াজ হামিদুল্লাহ অনুষ্ঠান পরিচালনা করেন।
এতে নেদারল্যান্ডসের জলবায়ু দূত বোরবন-পারমার, ডাচ যুবরাজ জেইমি বার্নার্ডোও উপস্থিত ছিলেন।
ডাচ যুবরাজ আলোকপাত করেন- যে কিভাবে ক্রেডিট, বীমা, বিনিয়োগ, গবেষণা এবং অর্থ, কৃষি উৎপাদন বৃদ্ধি করেছে। তিনি বিশ্বজুড়ে লাখ লাখ কৃষকের এখন এই সহায়তার প্রয়োজনীতার ওপর জোর দেন।
আন্তর্জাতিক ধান গবেষণা ইনস্টিটিউটের মহাপরিচালক ইভন পিন্টো বলেন, কৃষকদের ঋণ পাওয়ার পর থেকে বিশ্বব্যাপী ধানের উৎপাদন বেড়েছে।
ডাচ উদ্যোক্তা উন্নয়ন ব্যাংক এফএমও-এর পরিচালক জোরিম শ্রেভেন, ঋণ অধিকারের বিষয়ে প্রসারিত নৈতিক সমর্থনের জন্য অধ্যাপক ইউনূসকে স্বাগত জানিয়ে বলেন, এটি জনগণের জানার অধিকারের সঙ্গে সম্পর্কিত।
ফারহানা হক রহমান বলেন, বর্তমানে ৫৫০ মিলিয়ন ক্ষুদ্র পরিবারের কৃষক সারা বিশ্বে দুই বিলিয়ন মানুষকে খাওয়াচ্ছে।
অধ্যাপক ইউনূস বলেন, একজন কৃষককে ঋণ দেওয়ার সুযোগ দেওয়া হলে তিনি উদ্যোক্তা হতে পারেন। ‘প্রতিটি ব্যবসার জন্য অর্থ এবং বিনিয়োগের প্রয়োজন হয়।’
তিনি বলেন, ‘একজন কৃষক শুধু ফসল ফলায় না, বাজারে বিক্রিও করে। যদি তাকে ঋণের সুযোগ দেওয়া হয়, তাহলে তিনি অন্য কৃষকদের কাছ থেকে ফসল কিনতে এবং তার জীবনকে উন্নত করার জন্য বিক্রি করতে পারতেন।’
প্রধান উপদেষ্টা বলেন, দেশগুলোকে গ্রামীণ ব্যাংকের মডেল অনুসরণ করে ব্যাংকিং ব্যবস্থাকে নতুন করে সাজানো উচিত, যাতে কৃষকদের জন্য ঋণ সহজলভ্য করা যায়, যাদের মধ্যে উল্লেখযোগ্য সংখ্যক নারী। ‘প্রতিটি দেশে একটি সামাজিক ব্যবসা ব্যাংকিং আইন থাকা উচিত।’
তিনি প্রশংসা করে বলেন যে বর্তমানে সারা বিশ্বের অন্তত ১১০টি বিশ্ববিদ্যালয় একটি কোর্স হিসাবে সামাজিক ব্যবসা শেখাচ্ছে।
আপনার মন্তব্য