সিলেটটুডে ডেস্ক

০৫ ডিসেম্বর, ২০২৪ ২২:০১

চন্দনকে মদ খাইয়ে আইনজীবী সাইফুলকে মারতে বলা হয়: পুলিশ

চট্টগ্রামে আইনজীবী সাইফুল ইসলাম আলিফ হত্যা মামলার প্রধান আসামি চন্দন দাস প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে পুলিশকে জানিয়েছেন, তাকে এক বোতল মদ খাইয়ে দিয়ে একজন সাইফুলকে মারতে বলেন। সাইফুলকে মারতে ওই যুবক তাকে বারবার পেছন থেকে ধাক্কা দিতে থাকেন। তবে কে তাকে এগিয়ে দিয়েছেন, সেটি তিনি জানাননি।

এর আগে বুধবার মধ্যরাতে কিশোরগঞ্জের ভৈরব রেলওয়ে স্টেশন থেকে তাকে গ্রেপ্তার করে নগর গোয়েন্দা পুলিশ। বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় চট্টগ্রাম নগরীর কোতোয়ালী থানায় আনা হয়। আগামীকাল শুক্রবার তাকে আদালতে তোলা হবে।

হত্যাকাণ্ডের ভিডিও ফুটেজ ও দুইটি ছবিতে দেখা যায়, সিলভার রঙের হেলমেট, কমলা রঙের টি-শার্ট ও কালো প্যান্ট পরা রামদা হাতে চন্দন দাস এবং লাল হেলমেট, ব্লু রঙের টি-শার্ট ও জিন্স পরা বটি হাতে রিপন আইনজীবী আলিফকে কোপাচ্ছেন। চন্দন দাস নগরীর কোতোয়ালী থানার বান্ডেল সেবক কলোনীর মৃত ধারীর ছেলে। তবে রিপনের বিস্তারিত পরিচয় পাওয়া যায়নি।

কোতোয়ালি থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আব্দুল করিম বলেন, ‘চন্দনকে চট্টগ্রামে আনা হয়েছে। তাকে শুক্রবার আদালতে পাঠানো হবে।’

হত্যা মামলার তদন্তে যুক্ত থাকা এক কর্মকর্তা জানিয়েছেন, চন্দন দাসের পাশাপাশি হত্যাকাণ্ডের অংশ নেওয়া আরেক যুবককেও শনাক্ত করা হয়েছে। তিনি রিপন। প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে চন্দন জানিয়েছেন, ঘটনার দিন ঝাড়ু নিয়ে সিটি করপোরেশনের পরিচ্ছন্নতা কাজে যাওয়া জন্য বের হন তিনি। তখন তাকে এক বোতল মদ খাইয়ে দিয়ে একজন সাইফুলকে মারতে বলেন। সাইফুলকে মারতে ওই যুবক তাকে বার বার পেছন থেকে ধাক্কা দিতে থাকেন।

রাষ্ট্রদ্রোহের মামলায় গ্রেপ্তারের পর ২৬ নভেম্বর সম্মিলিত সনাতনী জাগরণ জোটের মুখপাত্র চিন্ময় কৃষ্ণ দাস ব্রহ্মচারীকে আদালতে তোলা হয়। আদালত তার জামিন নামঞ্জুর হলে তাকে কারাগারে নিতে বাঁধা দেয় তার অনুসারীরা। এ সময় পুলিশ ও আইনজীবীদের সঙ্গে তার অনুসারীদের সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে। এক পর্যায়ে আইনজীবী সাইফুল ইসলাম আলিফকে পিটিয়ে ও কুপিয়ে হত্যা করা হয়। এ ঘটনায় সাইফুলের বাবা জামাল উদ্দিন বাদী হয়ে ৩১ জনের নাম উল্লেখ করে হত্যা মামলা করেন। এই মামলার প্রধান আসামী চন্দন দাস। এছাড়া পুলিশের কাজে বাধাদান ও হামলার অভিযোগে আরও চারটি মামলা করেছে পুলিশ।

আপনার মন্তব্য

আলোচিত