সিলেটটুডে ডেস্ক

১৫ ফেব্রুয়ারি , ২০১৬ ০৪:৫১

প্রসিকিউটর মোহাম্মদ আলীর বিরুদ্ধে ব্যবস্থা চেয়ে চিঠি

আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালের প্রসিকিউটর মোহাম্মদ আলীর বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয়ার জন্য আইন মন্ত্রণালয়ে চিঠি পাঠিয়েছেন ট্রাইব্যুনালের চিফ প্রসিকিউটর গোলাম আলী টিপু। পেশাগত অসদাচরণ ও শৃঙ্খলা ভঙ্গের অভিযোগ করা হয়েছে মোহাম্মদ আলীর বিরুদ্ধে।

রোববার (১৪ ফেব্রুয়ারি) আইন মন্ত্রণালয়ে পাঠানো এ চিঠির অনুলিপি দেয়া হয়েছে আইনমন্ত্রী, আইন সচিব ও ট্রাইব্যুনালের রেজিস্টারকে।

ট্রাইব্যুনালের এই প্রসিকিউটরকে ‘জনস্বার্থে’ তদন্ত সংশ্লিষ্ট কার্যক্রম ও সব মামলা থেকে প্রত্যাহারের আদেশ জারির ১০ দিনের মাথায় এ চিঠি পাঠানো হল।

প্রধান প্রসিকিউটরের দপ্তর থেকে পাঠানো চিঠিতে দেখা যায়, মোহাম্মদ আলীর বিরুদ্ধে ট্রাইব্যুনালের বিচারাধীন একটি মামলার একজন আসামির পক্ষে জামিন প্রাপ্তির বিষয়ে প্রভাব বিস্তারের অভিযোগ আনা হয়েছে।

একে শৃঙ্খলা ও আচরণবিধি ভঙ্গ এবং পেশাগত অসদাচরণের গুরুতর অপরাধ বলে লিখেছেন প্রধান প্রসিকিউটর গোলাম আরিফ।

“ফলে নিয়োগকারী কর্তৃপক্ষ হিসেবে তার বিরুদ্ধে শৃঙ্খলা ও আচরণবিধি ভঙ্গ এবং পেশাগত অসদাচরণের গুরুতর অপরাধের অভিযোগে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ ও ব্যবস্থা গ্রহণ করা অতীব জরুরি।”

গত ৪ ফেব্রুয়ারি যুদ্ধাপরাধ ট্রাইব্যুনালের এক নোটিসে জানানো হয়, প্রসিকিউটর মোহাম্মদ আলীকে আলবদর শামসুল হক গং ও হোসেন তরফদারসহ ট্রাইব্যুনালের অন্যান্য মামলার তদন্ত কার্যক্রম থেকে প্রত্যাহার করা হল।

পরবর্তী নির্দেশ না দেওয়া পর্যন্ত তিনি ট্রাইব্যুনালে কোনো মামলা পরিচালনা করতে পারবেন না বলেও এতে জানানো হয়েছিল। তবে কোনো কারণ ব্যাখ্যা না করে প্রধান প্রসিকিউটর লিখেছিলেন, ‘জনস্বার্থে’ এই পদক্ষেপ।

তবে গণমাধ্যমে আসা খবরে বলা হয়েছিল, মোহাম্মদ আলী একটি মামলায় এক আসামির ‘জামিনের পক্ষে’ কাজ করছিলেন।

এর আগে ২০১৪ সালে ট্রাইব্যুনালের প্রসিকিউটর তুরিন আফরোজ নিজের কম্পিউটার থেকে তথ্য চুরির সন্দেহে শাহবাগ থানায় সাধারণ ডায়েরি (জিডি) করেছিলেন।

এরপর ওই ঘটনার ‘সুষ্ঠু তদন্ত ও বিচারের জন্য’ মোহাম্মদ আলীও পাল্টা জিডি করেন।

এর কারণ হিসেবে তিনি দেখান, চিফ প্রসিকিউটর কার্যালয়ের একই কক্ষে তারা অফিস করেন এবং ওই কক্ষের কম্পিউটার থেকেই তথ্য চুরির সন্দেহের কথা বলেছেন তুরিন।

আপনার মন্তব্য

আলোচিত