১৫ মে, ২০২৪ ১০:০০
আইনশৃঙ্খলা রক্ষাবাহিনী কি তার খোঁজ পায় না, নাকি তাকে খুঁজে না- এমন প্রশ্ন ছিল জৈন্তাপুরে। অবশেষ জৈন্তাপুরে ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনের মামলায় গ্রেপ্তারি পরোয়ানাভুক্ত আসামি বদরুল ইসলাম ওরফে হাসান মো. বদরুলকে আটক করে জেল হাজতে প্রেরণ করা হয়েছে।
মঙ্গলবার তাকে আটক করে আদালতের মাধ্যমে জেলহাজতে প্রেরণ করা হয়েছে বলে নিশ্চিত করেছেন জৈন্তাপুর মডেল থানার উপ পুলিশ পরিদর্শক শাহিদ মিয়া।
হাসান বদরুল নিজপাট সদরের মাহুতহাটি মহল্লার মৃত আব্দুর রব আজাদের পুত্র।
জানা গেছে, সা, পি-১১৬/২৩, ডিজিটাল নিরাপত্তা আইন-২০১৮-এর বিভিন্ন ধারায় দায়ের করা একটি মামলায় সিলেটের সাইবার ট্রাইব্যুনাল আদালত আসামির বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করে।
সাইবার ট্রাইব্যুনাল আদালত সিলেটের বেঞ্চ সহকারী মোনজের আহমেদ স্বাক্ষরিত চলিত বছরের গত ১২ মার্চ তার বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জৈন্তাপুর মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তাকে (ওসি) প্রেরণ করা হয়েছিল।
প্রথমে জৈন্তাপুর থানা পুলিশ গ্রেপ্তারি পরোয়ানার বিষয়টি অস্বীকার করলেও পরে থানার উপ পুলিশ পরিদর্শক শাহিদ মিয়া স্বীকার করে জানান, চলিত এপ্রিল মাসের ৪ তারিখে থানায় আসছিল ওয়ারেন্ট তামিল করতে। হাসান বদরুল কৌশলে গ্রেপ্তারি পরোয়ানার কপি সে আদালতে আটকে রেখেছিল। থানায় পরোয়ানা আসার পরও পুলিশ তাকে গ্রেপ্তার করতে বিভিন্ন স্থানে অভিযান পরিচালনা করলেও তাকে খুঁজে পায়নি।
আটক আসামির বিরুদ্ধে অতীতে বিভিন্ন সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে অনেকের সাথে প্রতারণ করার অভিযোগ রয়েছে। দুই বছর পূর্ব শ্রীপুর সীমান্ত বিজিবি'র হাতে গভীর রাতে সীমান্ত এলাকা থেকে এই বদরুল ইসলামকে আটক করা হয়েছিল। এছাড়া কয়েক বছর পূর্বে বেসরকারি টেলিভিশন চ্যানেল এটিএন বাংলা'র সিনিয়র সাংবাদিক মুন্নি সাহার নামে ফেসবুক আইডি খুলে মুন্নি সাহা পরিচয়ে বিভিন্ন বেকার যুবকদের সাথে প্রতারণা করে চাকুরি দেয়ার কথা বলে টাকা আদায় কাজে জড়িত ছিল। এক পর্যায়ে র্যাপিড এ্যাকশন ব্যাটালিয়ন (র্যাব)'র হাতে বদরুল গ্রেপ্তার হয়েছিল।
হাসান বদরুল মোটরসাইকেল প্রেস স্টিকার লাগিয়ে বিভিন্ন সময়ে জৈন্তাপুরসহ বিভিন্ন এলাকার জনপ্রতিনিধি, সমাজের অনেক গণ্যমান্য ব্যক্তিগণ, প্রশাসন এবং অনেক পরিবারের ব্যক্তিগত বিষয়ে ফেসবুক লাইভে প্রচার করে ও তার নামে ব্যবহৃত একটি পেইজও প্রচার করে সামাজিক ভাবে হেয়প্রতিপন্ন করে লোকজনকে ভয় দেখিয়ে আসছিল বলে অভিযোগ রয়েছে।
আপনার মন্তব্য