সিলেটটুডে ডেস্ক

২৬ মার্চ, ২০১৬ ১৩:১০

র‍্যাবের যুগপূর্তি, ৭ বিষয়ে বিশেষ গুরুত্ব দিয়ে কর্মপরিকল্পনা

সন্ত্রাস দমনের লক্ষ্য নিয়ে যাত্রা শুরু করা র‌্যাপিড অ্যাকশন ব্যাটালিয়ন (র‌্যাব) এক যুগ পার করে ১৩ বছরে পা দিলো।

এ উপলক্ষে এ বছর ৭টি বিষয়ের ওপর বিশেষ গুরুত্ব দিয়ে কর্মপরিকল্পনা তৈরি করেছে র‌্যাব।

এগুলো হলো-জঙ্গি ও জঙ্গিবাদ দমন, দক্ষিণাঞ্চলে দস্যুতা ও মানব পাচার দমন, ইয়াবাসহ মাদকের আগ্রাসন দমন, মোবাইল ফোনের মাধ্যমে চাঁদাবাজি দমন, নিজস্ব গোয়েন্দা সক্ষমতা বাড়ানো, চলমান সংস্কার কার্যক্রম আরও বেগবান করা এবং জঙ্গিবাদ ও সন্ত্রাসবাদ দমনে জনগণের সঙ্গে আরও কার্যকর সম্পর্ক উন্নয়ন।

প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উপলক্ষে শনিবার সকাল ৮টায় র‌্যাব ফোর্সেস সদর দপ্তরে পতাকা উত্তোলনের মধ্য দিয়ে অনুষ্ঠানটির উদ্বোধন করবেন র‌্যাবের মহাপরিচালক (ডিজি) বেনজীর আহমেদ। এরপর সকাল সোয়া ৮টার দিকে র‌্যাবের মহাপরিচালকের বিশেষ দরবার শুরু হয়।

সকাল ৯টার দিকে আত্মত্যাগকারী র‌্যাব সদস্যদের পরিবারকে বিশেষ সম্মানী প্রদান, বিশেষ সম্মেলন, আভিযানিক ও সাহসিকতাপূর্ণ কাজের জন্য র‌্যাব সদস্যদের মাঝে পুরস্কার বিতরণ, প্রীতিভোজ ও সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়।

শনিবার সকালে র‌্যাবের ১২তম প্রতিষ্ঠা বার্ষিকী ও ৪৫তম স্বাধীনতা দিবস উপলক্ষে র‌্যাব সদর দপ্তরে আয়োজিত এক অনুষ্ঠানে এ কর্মপরিকল্পনার কথা তুলে ধরেন এ বাহিনীর মহাপরিচালক (ডিজি) বেনজীর আহমেদ।

তিনি বলেন, ‘আমরা এমন একটি সমাজ তৈরি করতে চায় যেখানে দিনে বা রাতে নারী ও শিশুরা অবাধে চলাচল করতে পারবে। কর্মস্থানে যেতে পারবে।’

তিনি আরো বলেন, ‘প্রতিষ্ঠালগ্ন থেকেই র‌্যাব জঙ্গি, জঙ্গিবাদ ও সন্ত্রাস দমনে কাজ করে যাচ্ছে। ১২ বছর আগে স্বাধীনতা দিবসের এই র‌্যাব আত্মপ্রকাশ করেছিল। দেশের মানুষের সহযোগিতায় এতটা পথ পেরিয়ে এসেছে র‌্যাব।’ র‌্যাবকে সহযোগিতার জন্য সব ধরনের প্রিন্ট, ইলেক্ট্রনিক্স ও অনলাইন মিডিয়াকে ধন্যবাদ জানান তিনি।

‘জঙ্গিবাদের কোনো সীমানা নেই। আমাদের প্রতিবেশি দেশ কিংবা দূর প্রতিবেশি দেশ সন্ত্রাসবাদী কার্যক্রমে আক্রান্ত হয়, তখন আমরা সেখান থেকে শিক্ষা নেয়ার চেষ্টা করি। এর মাধ্যমে আমরা নিজেদের নিরাপত্তা কৌশল ও ব্যবস্থাপনা হালনাগাদ করি’ বলেন র‌্যাব প্রধান।

গোয়েন্দা সক্ষমতা সম্পর্কে র‌্যাব মহাপরিচালক বলেন, ‘ক্রিমিনালদের শনাক্ত, জঙ্গিবাদ দমনে গোয়েন্দা তৎপরতার বিকল্প নেই। আপনারা জানেন র‌্যাব সব ঘটনার তদন্ত করে না। নির্বাচিত মামলা তদন্ত করে থাকে। শুধু রাষ্ট্র ও সরকার কর্তৃক অর্পিত মামলার তদন্ত করে থাকি। এর সংখ্যাও কম নয়। এখন পর্যন্ত র‌্যাবের তদন্ত সন্তোষজনক। তবে আগামীতে যেন আমরা আরও ভাল কিছু করতে পারি সে চেষ্টা অব্যাহত রয়েছে।’

তদন্তের ক্ষেত্রে সক্ষমতা বাড়াতে র‌্যাব কি ধরনের কার্যক্রম পরিচালনা করবে এ প্রসঙ্গে র‌্যাব ডিজি বলেন, ‘র‌্যাব একটি এলিট ফোর্স। ৭টি বাহিনী ও ৮টি প্রতিষ্ঠান মিলে র‌্যাব প্রতিষ্ঠিত হয়েছে। সব বাহিনীর নির্বাচিত সদস্য র‌্যাবে কাজ করছে। র‌্যাবে রয়েছে দেশের সর্বাধুনিক ফরেনসিক ল্যাব। তৈরি করা হয়েছে ক্রিমিনাল ডাটাবেইজ। সম্প্রতি জেল ডাটাবেইজ তৈরি করা হয়েছে।

উল্লেখ্য, ২০০৪ সালের স্বাধীনতা দিবস প্যারেডে অংশগ্রহণের মাধ্যমে র‌্যাবের আত্মপ্রকাশ ঘটে। একই বছরের ১৪ এপ্রিল (পহেলা বৈশাখে) রমনার বটমূলে নিরাপত্তার দায়িত্ব পালনের মধ্য দিয়ে মাঠে নামে র‌্যাব।

বাংলাদেশ পুলিশ ছাড়াও সেনাবাহিনী, নৌবাহিনী, বিমানবাহিনী, বিজিবি, কোস্ট গার্ড, আনসার ও সরকারের বেসামরিক প্রশাসনের বাছাই করা চৌকস কর্মকর্তা ও অন্য সদস্যদের নিয়ে গঠিত হয় র‌্যাব।

'বাংলাদেশ আমার অহংকার' স্লোগানে অন্ধকারে আলোকবর্তিকারূপে জনগণের আস্থা অর্জনকারী সংস্থা হিসেবে যাত্রা শুরু করে পুলিশের বিশেষায়িত এ বাহিনী।

আপনার মন্তব্য

আলোচিত