২৬ মার্চ, ২০১৬ ১৬:১৮
জিজ্ঞাসাবাদের কথা বলে কুমিল্লা ভিক্টোরিয়া সরকারী কলেজের ছাত্রী, নাট্যকর্মী সোহাগী জাহান তনুর পরিবারের সদস্যদের সেনানিবাসে নিয়ে যায় র্যাব সদস্যরা। সেখানে তাদের জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়েছে বলেও জানা যায়।
শুক্রবার সন্ধ্যায় তনুর বাবা ও বড় ভাইকে এবং ওই দিন গভীর রাতে তনুর মা, ছোট ভাই ও চাচাতো বোনকে র্যাব সদ্স্যরা বাড়ি থেকে ক্যান্টমেন্টে নিয়ে যায়।
অবশ্য জিজ্ঞাসাবাদ শেষে তাদেরকে ক্যান্টনমেন্টের বাসায় রেখে আসা হয়। এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন র্যাব-১১ এর অধিনায়ক খোরশেদ আলম।
তনুর এক স্বজন জানান, শুক্রবার সন্ধ্যায় মুরাদনগর মির্জাপুরের বাসা থেকে তনুর বাবা ইয়ার হোসেন ও বড় ভাই নাজমুলকে ক্যান্টনমেন্ট বোর্ডের কর্মকর্তারা নিয়ে যায়। ওইদিনই গভীর রাতে তনুর মা, ছোট ভাই ও চাচাতো বোন লাইজুকে র্যাব সদ্স্যরা এসে ক্যান্টমেন্টে নিয়ে যায়।
এ ব্যাপারে অধিনায়ক খোরশেদ আলম বলেন, ‘তনুর হত্যা সম্পর্কে কিছু তথ্য জানার জন্য গত রাত ১১টার দিকে তনুর মা, ভাই ও চাচাতো বোনকে নিয়ে আসা হয়েছিল। পরে তাদের ক্যান্টনমেন্টের বাসায় রেখে আসা হয়েছে।’
অবশ্য তনুর মা এবং বড়ভাই নাজমুল অবশ্য আগেই জানিয়েছিলেন, তাদেরকে সেনানিবাসে নিয়ে যাওয়ার জন্য বলা হচ্ছে। কিন্তু সেখানে তারা নিরাপদ মনে করছেন না।
এদিকে তনু হত্যার বিষয়ে সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে র্যাব মহাপরিচালক (ডিজি) বেনজীর আহমেদ বলেন, ‘র্যাব ঘটনার পর থেকেই ছায়া তদন্ত। খুব শিগগিরি হয়তো আপনাদের ভালো খবর দিতে পারবো।’
উল্লেখ্য, গত ২০ মার্চ রাতে কুমিল্লা সেনানিবাস এলাকার পাওয়ার হাউস পানির ট্যাংকির কাছে তনুর লাশ পাওয়া যায়। ময়না তদন্ত শেষে জানা যায়, তাকে ধর্ষণের পর হত্যা করা হয়েছে। পরে এ ব্যাপারে তনুর বাবা কুমিল্লা কোতোয়ালী মডেল থানায় একটি হত্যা মামলা দায়ের করেছে।
হত্যার পাঁচদিন অতিবাহিত হলেও এখনো পর্যন্ত কোনো আসামি গ্রেপ্তার হয়নি। এ হত্যাকাণ্ডে জড়িতদের গ্রেপ্তার ও বিচারের দাবিতে দেশের বিভিন্ন স্থানে বিক্ষোভ ও মানববন্ধন হয়ে আসছে।
এদিকে তনুর পরিবারকে কেন গভীর রাতে সেনানিবাসে নিয়ে যাওয়া হয়েছে তা নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে।
অবশ্য এ ব্যাপারে র্যাব-১১ এর অধিনায়ক খোরশেদ আলম বলেন, তনুর হত্যা সম্পর্কে কিছু তথ্য জানার জন্য গত রাত ১১টার দিকে তনুর মা, ভাই ও চাচাতো বোনকে নিয়ে আসা হয়েছিল। পরে তাদের ক্যান্টনমেন্টের বাসায় রেখে আসা হয়।
আপনার মন্তব্য