সিলেটটুডে ডেস্ক

০৫ মে, ২০১৬ ২০:০১

‘মুক্তমনা’ জিনিসটা আমি বুঝি না : এরশাদ

দেশে কেউ খুন হলেই তাকে ‘মুক্তমনা’ আখ্যা দেয়ার সমালোচনা করে জাতীয় পার্টির চেয়ারম্যান হুসেইন মুহম্মদ এরশাদ বলেছেন, এখন মুক্তমনা বলে একটা কথা বলা হয়। আমি বাংলার ছাত্র, এই মুক্তমনা জিনিসটা আসলে কী আমি বুঝি না। প্রাদেশিক সরকার ব্যবস্থা থাকলে রাজশাহীর শিক্ষক হত্যা নিয়ে প্রধানমন্ত্রীকে মাথা ঘামাতে হতো না বলেও মন্তব্য করেন তিনি।

বৃহস্পতিবার দুপুরে রাজধানীর বনানী পার্টির চেয়ারম্যানের বনানী কার্যালয়ে দলের কার্যনির্বাহী কমিটির সভায় তিনি এসব কথা বলেন।

ঢাকা সফররত দক্ষিণ ও মধ্য এশিয়া-বিষয়ক সহকারী মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী নিশা দেশাই বিসওয়াল বাংলাদেশে জঙ্গি নির্মূলে সহযোগিতা করার যে আশ্বাস দিয়েছেন সেই প্রসঙ্গে এরশাদ বলেন, ‘এখন রাষ্ট্রদূতদের কথা প্রধানমন্ত্রী কথার চেয়ে বেশি গুরুত্ব পায়। এটা উচিত না। কোনো দেশে এটা হয় না। কারো সহযোগিতা আমাদের প্রয়োজন নেই। আগে একসময় সাহায্য দরকার ছিল। এখন আর নেই। আমাদের সমস্যা আমরা নিজেরাই সমাধান করবো। মনে রাখতে হবে, এটা স্বাধীন দেশ। যুদ্ধ করে এ দেশে অর্জিত হয়েছে।’

ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচন দলীয় ভিত্তিতে অনুষ্ঠিত হওয়ার কারণেই এত প্রাণহানি ঘটছে উল্লেখ এরশাদ বলেন, ‘এই নির্বাচন কেনো দলীয়ভাবে হচ্ছে, তা বুঝতে পারছি না। দলীয় প্রতীকের নির্বাচনের কারণেই এত প্রাণহানীর ঘটছে। গ্রামে গ্রামে ভাই ভাইয়ের সম্পর্ক ছিল। নির্বাচনের কারণে সেই সৌহার্দপূণ পরিবেশ নষ্ট হয়ে গেছে। এমন নির্বাচন আমরা চাইনি।’

সভায় রওশনের উপস্থিতি নিয়ে এরশাদ বলেন, ‘উনি আসাতে দল প্রাণবন্ত হয়নি? নেতাকর্মীরা খুশি হয়নি? দলে কিছু ভুল বোঝাবুঝি হয়েছে। এটা আমি স্বীকার করি। সব বিভেদ ভুলে গিয়ে আমারা এখন এক হয়েছি। যেহেতু আমাদের আমাদের মধ্যে কোনো বিভেদ নেই, তাই পার্টিও শক্তিশালী হয়েছে। এখন আর বাইরে কেউ নেই। সবাই এক।’
 
এসময় রওশন বলেন, জাতীয় পার্টির নেতারা পদ-পদবীর লোভে রাজনীতি করেন। দূর দূরান্তের নেতারা আমাদের নাগাল পায় না। অতীতে পার্টি নিয়ে অনেক বেশি বিভক্তি হয়েছে। যা হয়েছে, তার পুনরাবৃত্তি যেনো না হয়। আমি এটা নির্দেশ দিলাম।
 
সভায় বক্তব্য রাখেন দলের কো-চেয়ারম্যান জিএম কাদের, মহাসচিব রুহুল আমিন হাওলাদার প্রমুখ।

আপনার মন্তব্য

আলোচিত