সিলেটটুডে ডেস্ক

০২ আগস্ট, ২০১৭ ১০:৪২

প্রতিমন্ত্রী বললেন আমার দেওয়া ছাগল মরেনি, মানহানিও হয়নি

ছাগলের মৃত্যুর সংবাদ ফেসবুকে শেয়ার দেওয়ায় গ্রেপ্তার সাংবাদিক আব্দুল লতিফ মোড়ল

মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ প্রতিমন্ত্রী নারায়ণ চন্দ্র চন্দের বিতরণ করা ছাগল মারা যাওয়ার খবর ফেসবুকে শেয়ারে খুলনার এক সাংবাদিককে তথ্যপ্রযুক্তি আইনের ৫৭ ধারায় গ্রেপ্তারে পর প্রতিমন্ত্রী বলছেন তার দেওয়া ছাগল মরেনি, তাঁর মানহানিও হয়নি। তিনি জানিয়েছেন অন্য একটা ছাগল মরেছে।

খুলনার স্থানীয় দৈনিক প্রবাহ পত্রিকার সাংবাদিক আবদুল লতিফ মোড়লের বিরুদ্ধে মামলাটি করেন স্থানীয় আরেক সাংবাদিক সুব্রত কুমার ফৌজদার। তবে মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ প্রতিমন্ত্রী নারায়ণ চন্দ্র চন্দ বিবিসি বাংলাকে বলছেন, এ ঘটনায় তার মানহানি হয়েছে বলে তিনি মনে করেন না।

তিনি বলেন, ‘সেটা আমি মনে করি না। আমার কাজ ঠিক থাকলে এতে কিছু আসে-যায় না।’

তার বিতরণ করা ছাগল মারা যায়নি দাবি করে প্রতিমন্ত্রী বলেন, ‘আমি তো সবগুলি ছাগল দেইনি। আমি যেটা দিয়েছি সেটা মারা যায়নি। মারা গেছে অন্য একটা ছাগল।’

এরকম একটা মামলায় একজন সাংবাদিককে গ্রেপ্তার করা কতটুকু যৌক্তিক হয়েছে- এমন প্রশ্নে তিনি বলেন, ‘যৌক্তিকতা... এ বিষয় সম্পর্কে আমার দৃষ্টিকোণ থেকে আমি বলেছি। যারা মামলা করেছে তারা তাদের দৃষ্টিকোণ থেকে করেছে- সেটা তো তাদের ব্যাপার। আমি তো কিছু বলতে পারব না।’

আইনি সুযোগ থাকলে এটা ‘মিট আপ’ করার ব্যাপারে উদ্যোগ নিতে পারেন বলে আভাস দেন প্রতিমন্ত্রী। তিনি বলেন, ‘লিটিগেশন মিটে’ গেলেই সবচেয়ে ভালো।

সোমবার দিবাগত গভীর রাতে স্থানীয় দৈনিক প্রবাহ পত্রিকার সাংবাদিক আবদুল লতিফ মোড়লকে বাড়ি থেকে গ্রেপ্তার করা হয়।

আবদুল লতিফের মেয়ে মেহনাজ রেজা মিম্মা বলেন, ‘রাত আড়াইটার দিকে আমার আব্বুকে বাড়ি থেকে গ্রেপ্তার করে নিয়ে যাওয়া হয়। পুলিশ ছিল, আমাদের ডুমুরিয়া থানার ওসি ছিল, আরো ২০/৩০ জনের মত মানুষ এসেছিল। দেয়াল টপকে তারা ঢোকে।’

তিনি বলেন, ‘তারা আমার রুমেও জোরে জোরে নক করে। আমি জানতে চাই ওনাকে কোথায় নিয়ে যাচ্ছেন। তখন আমাকে বাজেভাবে বলা হয়- কোথায় নিয়ে যাচ্ছি সেটা আপনার মায়ের কাছ থেকে জেনে নিয়েন।’

পুলিশ ও স্থানীয়রা জানায়, এফসিডিআই প্রকল্পের আওতায় মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ প্রতিমন্ত্রী নারায়ণ চন্দ্র চন্দ সম্প্রতি ডুমুরিয়ায় ছাগল বিতরণ করেন। এর মধ্যে এক ব্যক্তির ছাগল মারা গেলে নিউজ করে নিজের ফেসবুকে শেয়ার করেছিলেন আবদুল লতিফ মোড়ল। এরপর সুব্রত নামের এক সাংবাদিকের ৫৭ ধারার মামলায় পুলিশ আব্দুল লতিফ মোড়ল নামের ওই সাংবাদিককে গ্রেপ্তার করে। আজ বুধবার আদালতে তার জামিন শুনানি হবে।

আপনার মন্তব্য

আলোচিত