সিলেটটুডে ডেস্ক

১৮ জুন, ২০১৫ ২১:০৪

বিএনপিতে টেলিফোন আতঙ্ক, আলাপে সতর্কতার পরামর্শ

 
একের পর এক টেলিফোন আলাপ ফাঁস হওয়ায় বিব্রতকর ও আতঙ্কজনক পরিস্থিতিতে পড়ছেন বিএনপির নেতারা। দলের বিষয়ে টেলিফোনে যথাসম্ভব কম কথা বলতে অনেক নেতাকে দলের পক্ষ থেকে মৌখিক নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে। নির্দেশনা না পেলেও প্রায় সবাই এখন সাবধানতা অবলম্বন করছেন।

এখন পর্যন্ত বিএনপির শীর্ষ নেতা খালেদা জিয়া, সিনিয়র ভাইস চেয়ারম্যান তারেক রহমানসহ একাধিক গুরুত্বপূর্ণ নেতার ফোনালাপ ফাঁস হয়েছে। ৫ জানুয়ারির নির্বাচনের আগে এই ফোনালাপ ফাঁসের ঘটনা শুরু হয়। মধ্যে কিছু সময় বিরতি দিয়ে এখন আবার বিএনপি নেতাদের ব্যক্তিগত ফোনালাপ ফাঁস করা হচ্ছে। প্রথম দিকে আন্দোলন ও নাশকতা-বিষয়ক ফোনালাপ ফাঁস হয়েছিল। এখন বিএনপির নেতাদের দল নিয়ে আত্মসমালোচনামূলক কথোপকথনও ফাঁস করা হচ্ছে।

সম্প্রতি বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য মওদুদ আহমদের দুটি, মাহবুবুর রহমানের তিনটি ও আব্দুল মঈন খানের নামে একটি ফোনালাপ ফাঁস হয়েছে। এর আগে বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান সাদেক হোসেন খোকা ও নাগরিক ঐক্যের আহ্বায়ক মাহমুদুর রহমান মান্নার ফোনালাপ ফাঁস হয়।

এসব ঘটনার পর থেকে দলটির জ্যেষ্ঠ নেতাদের অনেকে টেলিফোনে কথা বলা এড়িয়ে চলার চেষ্টা করছেন। দলের গুরুত্বপূর্ণ দায়িত্ব পালন করছেন এমন একজন নেতা বৃহস্পতিবার বলেন, বিএনপির চেয়ারপারসন খালেদা জিয়া তাঁকেসহ আরও কাউকে কাউকে টেলিফোনে দলের বিষয়ে কোনো বক্তব্য না দেওয়া বা কথা না বলতে বলেছেন। টেলিফোনে যথাসম্ভব কম কথা বলতে বলেছেন।

বিএনপির সূত্র জানায়, নির্দেশনা না পেয়েও অনেকে নিজ থেকে সতর্কতা অবলম্বন করছেন। নেতাদের অনেকে সাংবাদিকদের ফোনও ধরছেন না। অনেকে আতঙ্কে আছেন, কখন ফোনালাপ ফাঁস হয়। দলের নেতারা মনে করেন যাঁরা ফোনালাপগুলো ফাঁস করছে তাদের কাছে আরও অনেক রেকর্ড আছে। বেছে বেছে তাঁরা এমন রেকর্ড ফাঁস করছেন যেগুলো কোনো না কোনো ভাবে দলের বিপক্ষে যায়। যাতে দলের ভাবমূর্তি ক্ষুণ্ন হয়, নেতা-কর্মীদের মধ্যে হতাশা বাড়ে।

এ অবস্থায় টেলিফোনে কথা বলার ক্ষেত্রে সবাই এখন সাবধান। বিশেষ করে দল ও রাষ্ট্রবিরোধী বলে মনে হতে পারে এমন ধরনের কথার ব্যাপারে অনেক সাবধান তাঁরা।

বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য মাহবুবুর রহমানের একাধিক ফোনালাপ এর মধ্যে ফাঁস হয়েছে। তিনি অবশ্য তাঁর ফোনালাপ ফাঁস হওয়াকে আমলে নিচ্ছেন না।

জানতে চাইলে মাহবুবুর রহমান বলেন, টেলিফোনে আড়িপাতা ও ফোনালাপ ফাঁস করা বাথরুমের ছিদ্র দিয়ে দেখার মতো অত্যন্ত সংকীর্ণ মনোভাবের পরিচায়ক। এটি ব্যক্তির গোপনীয়তা লঙ্ঘন, এটি শাস্তিযোগ্য অপরাধ হিসেবে বিবেচিত হওয়া উচিত।

আপনার মন্তব্য

আলোচিত