সিলেটটুডে ডেস্ক

১৩ মে, ২০১৮ ১২:২৩

সেনাবাহিনীর সঙ্গে আমার পারিবারিক সম্পর্ক রয়েছে : প্রধানমন্ত্রী

বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর সঙ্গে পারিবারিক সম্পর্ক রয়েছে বলে মন্তব্য করে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেন, ‘সেনাবাহিনীর সঙ্গে আমার পারিবারিক সম্পর্ক রয়েছে। আমার দুই ভাই সেনাবাহিনীতে চাকরি করতেন। এমনকি আমার ১০ বছরের ছোট ভাই, বড় হয়ে সে কী করতে চায়- এ প্রশ্নের জবাবে সে বলতো, সেনাবাহিনীতে চাকরি করবে।’

রোববার (১৩ মে) ঢাকা সেনানিবাসে ২০টি সমাপ্ত প্রকল্পসহ ২৭টি উন্নয়ন প্রকল্প উদ্বোধন শেষে বক্তব্যে নিজ পরিবারের সদস্যদের সেনাবাহিনীতে যোগ দেওয়ার বিষয়ে কথা বলতে গিয়ে কেঁদে ফেলেন তিনি।

শেখ কামাল ও শেখ জামালের সেনাবাহিনীতে যোগ দেওয়া ও স্বাধীনতা যুদ্ধে যোগদানের বিষয় তুলে ধরেন প্রধানমন্ত্রী বলেন, আমার ছোট ভাইটি মাত্র ১০ বছর বয়সের, তাকে যদি জিজ্ঞেস করা হতো বড় হয়ে কী হবে? একটিই কথা ছিল, সেও সেনাবাহিনীতে যোগদান করবে। দুর্ভাগ্য ১৫ আগস্ট তারা সকলেই শাহাদাতবরণ করেছেন।

তিনি বলেন, এই পরিবারের সদস্য হিসেবে সেনাবাহিনীর উন্নয়ন করা আমার কর্তব্য। স্বাধীনতা-সার্বভৌমত্ব রক্ষার ক্ষেত্রেও আমরা আরও বেশি উন্নত হব, সেই লক্ষ্য নিয়েই কাজ করি।

প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘সেনা সদস্যদের জন্য কল্যাণমুখী পদক্ষেপ নিয়েছি। রসদ বাড়ানোর পাশাপাশি ভাতা বাড়িয়েছি। তাদের জন্য আবাসন প্রকল্প বাস্তবায়ন করেছি। প্রথমবারের মতো আমরা সেনাবাহিনী প্যারা কমান্ডো ইউনিট চালু করেছি। ‘৯৬ সালে মেয়েদের সেনা ও বিমানবাহিনীতে নিয়োগের ব্যবস্থা করি। নারী পাইলট সংযোজন করে নতুন যুগের সূচনা করি। সেনাবাহিনীর প্রশিক্ষণের জন্য কেন্দ্র করে দিয়েছি।’

তিনি বলেন, ‘সেনা সদস্যদের জন্য দুপুরে রুটির পরিবর্তে ভাতের ব্যবস্থা করে দিয়েছি। ‘৯৬ সালে সরকার গঠনের পর সেনাবাহিনীর কাছে তাদের দাবি-দাওয়া সম্পর্কে জানতে চেয়েছিলাম। তারা বলেছিলেন, আমাদের দুপুরে রুটি দেওয়া হয়, আমরা ভাত খেতে চাই। ওই সময় দেশে খাদ্য ঘাটতি ছিল। আমি কথা দিয়েছিলাম তাদের জন্য ভাতের ব্যবস্থা না করা পর্যন্ত আমি ভাত খাবো না। আমি ভাত খাইনি। তাদের জন্য ভাতের ব্যবস্থা করার পর আমি তাদের সঙ্গে বসে দুপুরে ভাত খেয়েছি। ’

তিনি আরও বলেন, সেনা সদস্যের জন্য ২ লাখ টাকার দুস্থ ভাতা ৬ লাখ টাকা করে দিয়েছি। এলপিআর-এর মেয়াদ ছয় মাসের পরিবর্তে এক বছর করা হয়েছে। সেনাবাহিনীর জেসিও পদকে দ্বিতীয় থেকে প্রথম শ্রেণির করা হয়েছে। সার্জেন্টকে তৃতীয় থেকে দ্বিতীয় শ্রেণিতে উন্নীত করেছি।

আপনার মন্তব্য

আলোচিত