সিলেটটুডে ডেস্ক

১৯ মে, ২০১৮ ১৩:৪০

কোটা সংস্কার: পরীক্ষা বর্জনের কর্মসূচী স্থগিত

রমজান মাস ও সেশন জট বিবেচনা করে পরীক্ষা বর্জনের কর্মসূচি স্থগিত ঘোষণা করেছেন কোটা আন্দোলনকারীরা। তবে কোটা বাতিলে প্রজ্ঞাপন জারি না হওয়া পর্যন্ত ক্লাস বর্জন কর্মসূচি অব্যাহত থাকবে বলে জানিয়েছেন তারা।

শনিবার (১৯ মে) ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের কেন্দ্রীয় গ্রন্থাগারের সামনে এক সংবাদ সম্মেলনে এসব কথা জানান বাংলাদেশ সাধারণ ছাত্র অধিকার সংরক্ষণ পরিষদের আহ্বায়ক হাসান আল মামুন।

মামুন বলেন, কোটা সংস্কার আন্দোলনকে কেন্দ্র করে বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয় ও কলেজের আন্দোলনকারী শিক্ষার্থীদের মারধর, নির্যাতন ও হল ত্যাগের হুমকি দিয়ে ভয়ভীতি প্রদর্শন করা হচ্ছে। একটি ‘অতি উৎসাহী ও কুচক্রী মহল’ সরকারকে বিব্রতকর পরিস্থিতিতে ফেলার জন্য এসব নোংরা ও ঘৃণ্য কাজ করে যাচ্ছে।

সংবাদ সম্মেলনে কোটা আন্দোলনকারীদের পক্ষ থেকে এর তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানানো হয় এবং যথাসময়ে ব্যবস্থা নেওয়ার আহ্বান জানানো হয়। একই সঙ্গে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সুফিয়া কামাল হলে ঘটে যাওয়া অনাকাঙ্ক্ষিত ঘটনার কারণ দর্শানোর নামে সাধারণ ও নিরপরাধ শিক্ষার্থীদের হয়রানি না করার জন্য বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনকে অনুরোধ জানানো হয়।

হাসান আল মামুন বলেন, রমজান মাস ও সেশন জটের কথা বিবেচনা করে পরীক্ষা বর্জনের কর্মসূচি স্থগিত ঘোষণা করা হলো। তবে কোটা বাতিলে প্রজ্ঞাপন জারি না হওয়া পর্যন্ত ক্লাস বর্জন কর্মসূচি আগের মতো চলমান থাকবে।

‘কুচক্রী মহল ও অতি উৎসাহী’ কারা—সাংবাদিকদের এ প্রশ্নের জবাবে পরিষদের যুগ্ম আহ্বায়ক নুরুল হক বলেন, ছাত্রলীগের একটি অনুপ্রবেশকারী দল সাধারণ ছাত্রদের হয়রানি করছে। যারা বঙ্গবন্ধুর আদর্শে বিশ্বাস করে, তারা এ ধরনের ঘটনা ঘটাতে পারে না বলে উল্লেখ করেন তিনি।

নুরুল হক বলেন, ‘বিচার না হওয়ার কারণে তারা এ ধরনের ঘটনা ঘটিয়েই চলেছে। তাদের বিচার না হওয়াতে আমরা দ্বিধাগ্রস্ত হয়ে পড়েছি যে সরকার তাদের উৎসাহ দিচ্ছে কি না’।

এর আগে গত সোমবার (১৪ মে) শাহবাগের অবরোধ স্থগিত করে ক্লাস-পরীক্ষা বর্জন কর্মসূচি অব্যাহত রাখার ঘোষণা দেন আন্দোলনকারীদের যুগ্ম আহ্বায়ক নুরুল হক নুর।

প্রসঙ্গত, সরকারি চাকরিতে কোটা ব্যবস্থা সংস্কারের দাবিতে চাকরিপ্রার্থী ও শিক্ষার্থীরা গত মাসে ব্যাপক আন্দোলন গড়ে তোলে। একপর্যায়ে ওই আন্দোলন সহিংস রূপ নেয়। আন্দোলনের প্রেক্ষাপটে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ১১ এপ্রিল জাতীয় সংসদে কোটা বাতিলের ঘোষণা দেন। তারপর থেকে প্রজ্ঞাপনের দাবী রেখে আন্দোলন স্থগিত করেন আন্দোলনকারীরা।

সর্বশেষ ২ মে প্রজ্ঞাপনের দাবীতে মানববন্ধন করে এবং ১৪ মে শাহবাগে অবরোধ করে শিক্ষার্থীরা। পরবর্তীতে সন্ধ্যায় পর অবরোধ তুলে নিয়ে প্রধানমন্ত্রীর উপর আস্থা রেখে আপাতত রাজপথে কর্মসূচি স্থগিত রাখার কথা জানান আন্দোলনরত শিক্ষার্থী ও চাকরি প্রার্থীরা।

আপনার মন্তব্য

আলোচিত