সিলেটটুডে ডেস্ক

০৩ জুলাই, ২০১৮ ১৭:৫৩

কোটা সংস্কার আন্দোলনের আরেক নেতা ফারুক গ্রেপ্তার

কোটা সংস্কার আন্দোলনের নেতা ফারুক হোসেনকে গ্রেপ্তার দেখানো হয়েছে।

পুলিশের বিশেষ শাখার (এসবি) একটি মোটরসাইকেল পোড়ানোর মামলায় তাঁকে গ্রেপ্তার দেখিয়ে আজ (মঙ্গলবার) আদালতে তোলা হচ্ছে।

এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন ঢাকা মহানগর পুলিশের (ডিএমপি) উপকমিশনার (মিডিয়া অ্যান্ড পাবলিক রিলেশন) মাসুদুর রহমান।

কোটা সংস্কারের প্রজ্ঞাপন জারির দাবিতে শনিবার ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের কেন্দ্রীয় গ্রন্থাগারের সামনে সংবাদ সম্মেলনের প্রস্তুতি নেওয়ার সময় ছাত্রলীগের কর্মীরা হামলা চালিয়ে পরিষদের নেতা–কর্মীদের মারধর করেন। এ সময় ঘটনাস্থলে একটি মোটরসাইকেল পোড়ানো হয়। মোটরসাইকেলটি এসবির উল্লেখ করে এবং সেটি পোড়ানোর মামলায় পরিষদের যুগ্ম আহ্বায়ক ফারুক হোসেনকে গ্রেপ্তার দেখিয়েছে পুলিশ। বিকেলের মধ্যেই তাঁকে আদালতে তোলা হবে বলে জানা গেছে।

অভিযোগ পাওয়া যায়, সোমবার কোটা সংস্কারের দাবিতে কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে বিক্ষোভ চলার সময় ফারুককে তুলে শাহবাগ থানায় দিয়ে আসেন ছাত্রলীগের এক কর্মী। মঙ্গলবার ফারুকের বড় ভাই মো. আরিফুল ইসলাম শাহবাগ, রমনা ও নিউমার্কেট থানায় গিয়ে তাঁর ভাইয়ের সন্ধান পাননি।

ফারুকের ভাই আরিফুল ইসলাম বলেন, ভাইয়ের খোঁজে তিনি শাহবাগ, রমনা ও নিউমার্কেট থানায় যান। কিন্তু কোথাও পাননি। তিনি ছাত্রলীগের নেতা-কর্মীদের সঙ্গে যোগাযোগ করেন। আল আমিন নামে ছাত্রলীগের এক কর্মী তাঁকে জানান, তিনিই ফারুককে তুলে নিয়ে শাহবাগ থানায় দিয়ে আসেন।

ছাত্রলীগ কর্মী আল আমিনের সঙ্গে যোগাযোগ করা হলে তিনি জানান, ফারুককে তিনি তাঁর মোটরবাইকে করে শাহবাগ থানায় দিয়ে এসেছিলেন।

ফারুকের বিরুদ্ধে অভিযোগের বিষয়ে জানতে চাইলে আল আমিন জানান, ‘কোটা সংস্কার চাই’—এই ফেসবুক পেজ থেকে ‘সরকারবিরোধী’ কথাবার্তা ছড়ানো হয়। যেহেতু ফারুক হোসেন ওই প্ল্যাটফর্মের যুগ্ম আহ্বায়ক। তাই তিনিও দোষী।

ফারুকের বিষয়ে জানতে শাহবাগ থানায় যোগাযোগ করলে থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আবু হাসান ফোন ধরেননি।

একপর্যায়ে শাহবাগ থানার ডিউটি অফিসার রমজান হোসেন ফোন ধরে বলেন, থানায় ফারুক হোসেন নামের কেউ গ্রেপ্তার নেই। কোনো মামলাও নেই।

আপনার মন্তব্য

আলোচিত