সিলেটটুডে ডেস্ক

০৫ আগস্ট, ২০১৮ ১৬:৩৯

আমীর খসরুর সঙ্গে ‘কথোপথনকারী’ নওমি গ্রেপ্তার

কুমিল্লা থেকে ব্যারিস্টার মিনহানুর রহমান নওমিকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরীর সঙ্গে মুঠোফোনে রাজধানীতে শিক্ষার্থীদের আন্দোলনের মধ্যে লোকজনকে নামানোর কথা বলার অভিযোগে তাকে গ্রেপ্তার করা হয়।

রোববার (৫ আগস্ট) ভোরে কুমিল্লার বরুরা উপজেলার দেওড়া গ্রাম থেকে তাঁকে আটক করে ঢাকা মহানগর পুলিশের গোয়েন্দা শাখার (ডিবি) একটি দল।

আটকের পর মিনহানুর রহমান নওমিকে ঢাকায় নিয়ে আসা হয়। কুমিল্লা জেলা গোয়েন্দা পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) নাসির উদ্দিন মৃধা এ ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করেছেন।

কুমিল্লা সিটি করপোরেশনের ২০নং ওয়ার্ডের উনাইশায়ার এলাকার বাসিন্দা মিনহানুর রহমান নওমি। সম্প্রতি লন্ডন থেকে আইন বিষয়ে পড়াশোনা শেষ করেন তিনি। লন্ডনে থাকা তারেক রহমানের ঘনিষ্ঠ বলেও পরিচিত হন তিনি।

তাঁর বাবা কুমিল্লা ২০নং ওয়ার্ডের কাউন্সিলর সিদ্দিকুর রহমান। সিদ্দিকুর রহমান একসময় জামায়াতের রাজনীতির সঙ্গে জড়িত ছিলেন। এখন তিনি বিএনপির রাজনীতি করেন।

৪ আগস্ট শনিবার সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে একটি অডিও ক্লিপ ভাইরাল হয়। সেই ক্লিপে কুমিল্লায় থাকা নওমি নামের এক কর্মীর সঙ্গে একজনকে কথা বলতে শোনা যায়।

অভিযোগ ওঠে, ওই একজন হলেন বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরী। ওই ফোনালাপে তিনি নিরাপদ সড়কের দাবিতে শিক্ষার্থীদের আন্দোলনের মধ্যে লোকজনকে নামানোর কথা বলেন।

পরে শনিবার রাত পৌনে ১১টায় বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরীর বিরুদ্ধে তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি আইনের ৫৭(২) এবং বিশেষ ক্ষমতা আইনে মামলা হয়। চট্টগ্রাম মহানগর ছাত্রলীগের ভারপ্রাপ্ত সাধারণ সম্পাদক জাকারিয়া দস্তগীর বাদী হয়ে নগরের কোতোয়ালি থানায় এ মামলা দায়ের করেন।

পুলিশ সূত্র জানায়, তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি আইন (সংশোধিত ২০১৩/৫৭(২) ধারা) এবং বিশেষ ক্ষমতা আইনের ১৫(৩) ধারায় এ মামলা হয়েছে। মামলার এজাহারে বলা হয়, আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরী দেশের বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্র করছিলেন। ইলেকট্রনিকস ডিভাইস ব্যবহারের মাধ্যমে রাষ্ট্রে নৈরাজ্য সৃষ্টির উদ্দেশে তিনি উসকানিমূলক বক্তব্য দিয়েছেন।

কোতোয়ালি থানার ওসি মোহাম্মদ মহসিন জানান, মামলা হয়েছে। এ ব্যাপারে আইনগত পদক্ষেপ নেওয়া হচ্ছে।

মামলার বাদী মহানগর ছাত্রলীগের ভারপ্রাপ্ত সাধারণ সম্পাদক জাকারিয়া দস্তগীর বলেন, রাষ্ট্রকে অস্থিতিশীল করার জন্য উসকানি দিয়েছেন তিনি। একজন শান্তিকামী নাগরিক হিসেবে এ মামলা করেছেন বলে তিনি জানান।

আপনার মন্তব্য

আলোচিত