নিজস্ব প্রতিবেদক

১৯ মে, ২০২৪ ১১:১৪

যে ৫ বাংলাদেশি উঠেছেন মাউন্ট এভারেস্টে

পঞ্চম বাংলাদেশি হিসেবে বিশ্বের সর্বোচ্চ শৃঙ্গ মাউন্ট এভারেস্ট জয় করেছেন বাবর আলী। রোববার (১৯ মে ২০২৪) বাংলাদেশ সময় সকাল সাড়ে ৮টায় এভারেস্টের চূড়ায় ওঠেন তিনি।

বেসক্যাম্প টিমের বরাতে এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন অভিযানের প্রধান সমন্বয়ক ফরহান জামান।

বাবর আলীর আগে চার বাংলাদেশির পা পড়েছে মাউন্ট এভারেস্টের চূড়ায়। তারা হচ্ছেন মুসা ইব্রাহীম, এম এ মুহিত, নিশাত মজুমদার ও ওয়াসফিয়া নাজরীন।

২৩ মে, ২০১০। বাংলাদেশ সময় ভোর ৫টা ৫ মিনিটে প্রথম বাংলাদেশি হিসেবে এভারেস্ট শৃঙ্গ জয় করেন মুসা ইব্রাহীম।

২০১২ সালের ১৯ মে বেলা সাড়ে ১১টায় প্রথম বাংলাদেশি নারী হিসেবে পৃথিবীর শীর্ষচূড়া এভারেস্টে আরোহণ করেন নিশাত মজুমদার। একই দিনে দ্বিতীয়বারের মতো এভারেস্টের চূড়ায় আরোহণ করেন পর্বতারোহী এম এ মুহিত। ২৬ মে সকালে শেষ সফল অভিযান করেন ওয়াসফিয়া নাজরীন।

২০১৩ সালে এভারেস্টের চূড়ায় আরোহণ করে ফেরার পথে মারা যান পর্বতারোহী সজল খালেদ।

মুসা ইব্রাহীমের জন্ম লালমনিরহাট সদর উপজেলার মোগলহাট ইউনিয়নে, ১৯৭৯ সালে। তিনি ঠাকুরগাঁও চিনিকল উচ্চ বিদ্যালয়, ঠাকুরগাঁও, নটরডেম কলেজ, ঢাকা এবং ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় লেখাপড়া করেছেন। তিনি নর্থ আলপাইন ক্লাব বাংলাদেশ নামক পর্বতারোহন ক্লাবের মহাসচিব এবং ফ্রিল্যান্স সাংবাদিক। এর আগে তিনি বাংলাদেশী বেসরকারি টেলিভিশন চ্যানেল টুয়েন্টিফোরে জ্যেষ্ঠ সংবাদদাতা হিসেবে এবং ইংরেজি দৈনিক দ্য ডেইলি স্টারের সহকারী সম্পাদক হিসেবে দায়িত্ব পালন করেছেন। পর্বত আরোহণ ও অ্যাডভেঞ্চার বিষয়ক নানা আয়োজনে তরুণ তরুণীদের অংশগ্রহণ বাড়াতে ২০১১ সালে তিনি প্রতিষ্ঠা করেন এভারেস্ট একাডেমি।

এম এ মুহিতের জন্ম ভোলার বোরহানউদ্দিন উপজেলার গঙ্গাপুরে ১৯৭০ খ্রিষ্টাব্দের ৪ জানুয়ারি। তিনি পুরান ঢাকার পোগোজ স্কুল থেকে এসএসসি, নটর ডেম কলেজ থেকে এইচএসসি, এবং ঢাকা সিটি কলেজ থেকে বি.কম. (১৯৮৯) পাস করেন।

নিশাত মজুমদারের জন্ম ১৯৮১ সালে লক্ষ্মীপুরে। তিনি ১৯৯৭ সালে ঢাকার ফার্মগেটের বটমূলী হোম উচ্চ বালিকা বিদ্যালয় থেকে মাধ্যমিক, ১৯৯৯ সালে শহীদ আনোয়ার গার্লস কলেজ থেকে উচ্চমাধ্যমিক এবং ঢাকা সিটি কলেজ থেকে হিসাববিজ্ঞানে স্নাতক ও স্নাতকোত্তর করেছেন। নিশাত মজুমদার ঢাকা ওয়াসায় প্রধান হিসাবরক্ষণ কর্মকর্তা হিসেবে কর্মরত।

ওয়াসফিয়া নাজরীন ১৯৮২ সালের ২৭ অক্টোবর ঢাকায় জন্মগ্রহণ করেন। ওয়াসফিয়া ঢাকার স্কলাসটিকা স্কুল থেকে ও এবং এ লেভেল সম্পন্ন করার পর যুক্তরাষ্ট্রের আটলান্টায় এগনেস স্কট বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়তে যান। তার বিষয় ছিল সামাজিক মনোবিজ্ঞান ও স্টুডিও আর্ট। এরপর স্কটল্যান্ডে কিছুদিন পড়াশোনা করেন। ছাত্রজীবনে তিনি যুদ্ধবিরোধী এবং মানবতার পক্ষে বিভিন্ন বৈশ্বিক ইস্যুতে সক্রিয় আন্দোলনকর্মী হিসেবে পরিচিত ছিলেন। তিনি উন্নয়নকর্মী হিসেবেও কাজ করেছেন।

চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ থেকে এমবিবিএস পাস করেছেন ৩৩ বছর বয়সী বাবর আলী। শুরু করেছিলেন চিকিৎসা পেশা। এরপর চাকরি ছেড়ে দেশ-বিদেশে ঘোরায় মনোযোগ দেন।

আপনার মন্তব্য

আলোচিত