সিলেটটুডে ডেস্ক

০৭ আগস্ট, ২০১৮ ১৪:৩৫

শহীদুল আলমকে নির্যাতনের তদন্তের দাবি এইচআরডব্লিউর

দৃক এর ব্যবস্থাপনা পরিচালক আলোকচিত্রী শহীদুল আলমকে হাজতে নির্যাতন করা হয়েছে বলে প্রকাশিত খবরের দ্রুত তদন্ত দাবি জানিয়েছে মানবাধিকার সংস্থা হিউম্যান রাইটস ওয়াচ (এইচআরডব্লিউ)।

মঙ্গলবার (৭ আগস্ট) এক প্রতিবেদনে নিউইয়র্কভিত্তিক মানবাধিকার সংস্থাটি বাংলাদেশের কর্তৃপক্ষের কাছে এ আহ্বান জানায়। সংস্থাটি বলছে, বিক্ষোভরত শিক্ষার্থীদের সমর্থন ও সরকারের সমালোচনা করায় গত রোববার (৫ আগস্ট) শহীদুল আলমকে আটক করা হয়েছে।

এইচআরডব্লিউ জানায়, নিরাপদ সড়কের দাবিতে আন্দোলনরত শিক্ষার্থীদের ওপর হামলাকারীদের বিচারের আওতায় না এনে সরকার শিক্ষার্থীদের আটক করছে। যেসব সাংবাদিক ও অ্যাকটিভিস্ট এ নির্যাতনকে সামনে তুলে ধরছেন, তাদের টার্গেটে পরিণত করা হয়েছে।

এইচআরডব্লিউর এশিয় অঞ্চলের পরিচালক ব্রাড অ্যাডাম বলেন, আবারও বাংলাদেশের কর্তৃপক্ষ সমস্যার সমাধানের সোজা পথ হিসেবে নির্যাতনকেই বেছে নিয়েছেন বলে মনে হচ্ছে। যারা এর নিন্দা করছেন, পরে তাদেরও অভিযুক্ত করা হচ্ছে। তিনি বলেন, শান্তিপূর্ণ সমালোচনার দায়ে শহীদুল আলমসহ যাদের গ্রেফতার করা হয়েছে, কর্তৃপক্ষের উচিত অতিসত্বর তাদের মুক্তি দেয়া।

ক্ষমতাসীন দলের তরুণ সমর্থকদের মধ্যে যারা লাঠি ও ধারালো অস্ত্র নিয়ে শিশুদের ওপর হামলা চালিয়েছে, সরকারের উচিত তাদের বিচারের আওতায় নিয়ে আসা বলে মন্তব্য করেন ব্রাড অ্যাডামস।

এইচআরডব্লিউ জানায়, প্রত্যক্ষদর্শীদের দেয়া তথ্যানুসারে- লাঠিসহ ধারালো অস্ত্র নিয়ে বিক্ষোভরত শিক্ষার্থীদের ওপর হামলা চালিয়েছে ক্ষমতাসীন দলের অঙ্গ সংগঠন ছাত্রলীগ ও যুবলীগ।

মানবাধিকার সংস্থাটির প্রতিবেদনে বলা হয়, শহীদুল আলমসহ প্রত্যক্ষদর্শী ও সাংবাদিকরা রিপোর্ট করেছেন, বেশ কয়েকটি এলাকায় আওয়ামী লীগ সমর্থকরা যখন শিশুদের ওপর হামলা চালিয়েছে, তখন পুলিশ দাঁড়িয়েছিল। নিজেদের পরিচয় আড়াল করতে এ সময় হামলাকারীরা হেলমেট পরে মুখ ঢেকে রেখেছিল। ক্যামেরায় বেশ কয়েকজন হামলাকারীকে শনাক্ত করা হয়েছে বলেও জানায় এইচআরডব্লিউ।

সংস্থাটি জানায়, বিক্ষোভের পর বেপরোয়া গাড়ি চলাচল বন্ধ করতে যানবাহনকে নিয়মের আওতায় নিয়ে আসার প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন বাংলাদেশের কর্তৃপক্ষ।

স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামাল বিক্ষোভকারীদের সীমা অতিক্রম না করতেও হুশিয়ারি করে দিয়েছেন। পুলিশ বিক্ষোভকারীদের ওপর কাঁদানে গ্যাস, রাবার বুলেট ও কোথাও কোথাও তাজা গুলি ব্যবহার করেছেন বলেও প্রতিবেদনে বলা হয়েছে।

অ্যাডামস বলেন, নিরাপদ সড়কের দাবিতে আন্দোলনরত শিক্ষার্থীদের বিরুদ্ধে যদি শেখ হাসিনা সরকারদলীয় পেটোয়া বাহিনীকে লেলিয়ে দেয়, তবে তা সত্যিই লজ্জাজনক।

বিক্ষোভকারী ও সাংবাদিকদের বিরুদ্ধে সরকার সমর্থকদের সহিংসতা অতিসত্বর বন্ধ করতে হবে এবং বাকস্বাধীনতা ও শান্তিপূর্ণ সমাবেশের অধিকারের প্রতি সম্মান দেখাতে হবে বলেও মন্তব্য করেন তিনি।

আপনার মন্তব্য

আলোচিত