সিলেটটুডে ডেস্ক

১৪ অক্টোবর, ২০১৮ ২৩:০০

রাজীবের মৃত্যু: হাই কোর্টে তদন্ত প্রতিবেদন দাখিল

রাজধানীতে দুই বাসের রেষারেষিতে কলেজছাত্র রাজীব হোসেনের মৃত্যুর ঘটনায় হাই কোর্টে প্রতিবেদন দাখিল করেছে তদন্ত কমিটি।

রোববার তিন সদস্যের কমিটি হাই কোর্টের সংশ্লিষ্ট বেঞ্চে এই প্রতিবেদন দাখিল করা হয়।

দাখিলকৃত ৪৯ পৃষ্টার প্রতিবেদনে চালকদের ট্রিপ ভিত্তিকগণপরিবহন চালানোর বিষয়টি বাতিলের সুপারিশ করা হয়েছে। পাশাপাশি মাসিক ভিত্তিতে চালকদের বেতন দেয়ার সুপারিশ করা হয়েছে।

সোমবার বিচারপতি জেবিএম হাসান ও বিচারপতি মো. খায়রুল আলমের সমন্বয়ে গঠিত হাই কোর্টের ডিভিশন বেঞ্চ এ বিষয়ে আদেশের জন্য দিন ধার্য রেখেছেন।

প্রতিবেদন প্রসঙ্গে রাষ্ট্রপক্ষের কৌসুলি ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল মোতাহার হোসেন সাজু বলেন, বিআরটিসি ও স্বজন পরিবহনের মাঝে পড়ে কিভাবে রাজিব হাত হারিয়েছেন সেই বিষয়টি এতে তুলে ধরা হয়েছে।

পাশাপাশি সড়ক দুর্ঘটনা রোধে কমিটি ১৮ দফা সুপারিশ করেছে। এতে আরও বলা হয়েছে, এ ধরনের বাস চালানোর কোনো লাইসেন্স চালকদের ছিল না।

ঘটনার জন্য সজন পরিবহন ও বিআরটিএ পরিবহনের চালককে দায়ী করে রাজীবের অসচেতনতার অভাব ছিল বলে প্রতিবেদনে উল্লেখ করা হয়।

আদালতে উপস্থিত ছিলেন রিটকারী আইনজীবী ব্যারিস্টার রহুল কুদ্দস কাজল, স্বজন পরিবহনের পক্ষে আইনজীবী শফিকুল ইসলাম কাজল ও রাষ্ট্রপক্ষে ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল মোতাহের হোসেন সাজু।

গত ৩০ মে রাজীবের প্রাণহানির ঘটনায় দায়ী বাস ও ক্ষতিপূরণ নির্ধারণে তিন সদস্যের কমিটি করে দেন হাই কোর্ট।

বাংলাদেশ প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয়ের (বুয়েট) অ্যাকসিডেন্ট রিচার্স ইনস্টিটিউটের পরিচালক মো. মিজানুর রহমান, সিভিল অ্যান্ড ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের অধ্যাপক হাদিউজ্জামান ও নিরাপদ সড়ক চাই (নিসচা)-এর চেয়ারম্যান চিত্রনায়ক ইলিয়াস কাঞ্চনের সমন্বয়ে একটি কমিটি গঠন করে দেন।

ওই কমিটি ঘটনার পর দুর্ঘটনাস্থল, জব্দকৃত বাস, ভিকটিমের স্বজন ও হাসপাতালের চিকিৎসকদের সঙ্গে কথা বলে প্রতিবেদন প্রস্তুত করেন। ৪৯ পৃষ্ঠার ওই প্রতিবেদনটি রোববার হাই কোর্টে দাখিল করা হয়।

গত ৩ এপ্রিল রাজধানীর কাওরান বাজারের সার্ক ফোয়ারার সামনে দুই বাসের মাঝে পড়ে তিতুমীর কলেজের শিক্ষার্থী রাজীব হোসেনের হাত বিচ্ছিন্ন হয়ে যায়। পরে চিকিৎসাধীন অবস্থায় ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে তার মৃত্যু হয়। দুর্ঘটনায় হাত হারানোর ঘটনায় করা রিটের পরিপ্রেক্ষিতে গত ৮ মে হাই কোর্ট রাজীবের দুই ভাইকে ক্ষতিপূরণ হিসেবে এক কোটি টাকা দেওয়ার নির্দেশ দেন।

আপনার মন্তব্য

আলোচিত