সিলেটটুডে ডেস্ক

২৩ অক্টোবর, ২০১৮ ১৫:১৬

শিক্ষক লাঞ্ছনা: সেলিম ওসমানকে অব্যাহতি

নারায়ণগঞ্জের স্কুল শিক্ষক শ্যামল কান্তি ভক্তকে স্কুল প্রাঙ্গণে লাঞ্ছিত করার ঘটনায় সাংসদ সেলিম ওসমানকে অব্যাহতি দিয়েছেন আদালত।

মঙ্গলবার ঢাকার অতিরিক্ত মুখ্য বিচারিক হাকিম এ কে এম এমদাদুল হক অভিযোগ গঠনের শুনানি শেষে সেলিম ওসমানকে অব্যাহতি দেন।

তবে এ মামলার আরেক আসামি অপুর বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠন করে তার বিচার শুরুর আদেশ দিয়েছেন বিচারক।

ধর্ম অবমাননার অভিযোগ তুলে ২০১৬ সালের ১৩ মে শিক্ষক শ্যামল কান্তিকে তারই স্কুলের প্রাঙ্গণে লাঞ্ছিত করা হয়। ওই ঘটনার ভিডিওতে প্রধান শিক্ষককে কান ধরে উঠ-বসের নির্দেশ দিতে দেখা যায় স্থানীয় সংসদ সদস‌্য সেলিম ওসমানকে।

এই ঘটনা প্রকাশের পর সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে প্রতিবাদের ঝড় ওঠে। তবে বিষয়টি নিয়ে নারায়ণগঞ্জের বন্দর থানায় একটি সাধারণ ডায়েরি হলে পুলিশ ‘লাঞ্ছনার প্রমাণ পাওয়া যায়নি’ উল্লেখ করে অভিযোগ সত্য নয় বলে আদালতে প্রতিবেদন দেয়।

পুলিশ প্রকৃত দোষীদের চিহ্নিত করতে ব্যর্থ হয়েছে বলে হাই কোর্ট পুরো ঘটনার বিচারিক তদন্তের নির্দেশ দেওয়ার পর ঢাকার মুখ্য মহানগর হাকিম শেখ হাফিজুর রহমানের নেতৃত্বে তদন্ত কমিটি গঠিত হয়। ওই কমিটি ২০১৭ সালের ১৯ জানুয়ারি হাই কোর্টে প্রতিবেদন দাখিল করে।

এরপর ২২ জানুয়ারি বিচারপতি মঈনুল ইসলাম চৌধুরী ও বিচারপতি এ জে বি এম হাসানের বেঞ্চ ওই তদন্ত প্রতিবেদন গ্রহণ করে জিডিসহ বিচারিক নথিপত্র অবিলম্বে ঢাকায় পাঠাতে নির্দেশ দেয়।

অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে সুনির্দিষ্ট নালিশি মামলা করার জন্য জিডিসহ বিচারিক নথিপত্র ২০১৭ সালের ২৮ ফেব্রুয়ারি বিচারক জেসমিন আরার কাছে পৌঁছায়। এরপর সেলিম ওসমান ও অপুর নাম-ঠিকানার পূর্ণ বিবরণ চান বিচারক।

শেখ হাফিজুর রহমান নেতৃত্বাধীন বিচার বিভাগীয় কমিটি ঘটনা সংশ্লিষ্ট ২৭ জনের জবানবন্দির ভিত্তিতে ওই প্রতিবেদন জমা দেয়।

এর প্রেক্ষাপটে হাই কোর্টের আদেশে বলা হয়, “আইন-শৃঙ্খলা বাহিনীর দায়িত্ব হচ্ছে দেশের আইন নিরপেক্ষ ও বৈষম্য ছাড়া প্রয়োগ করা। কেউ আইন নিজের হাতে তুলে নিতে পারেন না। কেউ আইনের ঊর্ধ্বে নন, সবাই আইনের অধীন। এটি আইনের শাসনের মর্মবাণী। বিচার বিভাগীয় তদন্ত প্রতিবেদনের ভিত্তিতে আমরা ওই ঘটনার প্রাথমিক সত্যতা পেয়েছি। বিচারের স্বার্থে এটি যথাযথ বলে প্রতীয়মান হয়।”

আপনার মন্তব্য

আলোচিত