সিলেটটুডে ডেস্ক

৩০ আগস্ট, ২০১৯ ১৫:৩৮

রোহিঙ্গাদের নিয়ে এনজিওগুলোকে ব্যবসার মনোভাব ছাড়ার আহ্বান হানিফের

কক্সবাজারের রোহিঙ্গা আশ্রয়শিবিরগুলোতে মানবিক সহায়তার কাজে থাকা এনজিওগুলোকে ‘ব্যবসার মনোভাব’ ত্যাগ করার আহ্বান জানিয়েছেন আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মাহবুব উল আলম হানিফ।

তিনি বলেছেন, “রোহিঙ্গাদের নিয়ে এনজিওগুলোর শুধু ব্যবসার মনোভাব ত্যাগ করতে হবে। আর তাদের দ্রুত ফিরিয়ে নেওয়ার জন্য আন্তর্জাতিকভাবে চাপ সৃষ্টি করুন। আপনারা আরও দায়িত্বশীল মনোভাব তৈরি করুন। মিয়ানমারের ওপর চাপ সৃষ্টি করুণ। এটাই আমরা চাই।”

শুক্রবার (৩০ আগস্ট) ইসলামী ফাউন্ডেশন আয়োজিত বঙ্গবন্ধুর শাহাদত বার্ষিকী ও জাতীয় শোক দিবস উপলক্ষে আয়োজিত আলোচনা সভায় তিনি এ কথা বলেন।

হানিফ বলেন, “এই রোহিঙ্গা ইস্যু নিয়ে বিএনপি রাজনীতি শুরু করেছে। রোহিঙ্গাদের আশ্রয় দেওয়া হয়েছিল মানবিক কারণে। এখানে ফাঁদে পড়ার কিছু নেই। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা এই অসহায় মানুষদের আশ্রয় দিয়ে মানবতা দেখিয়েছেন। রোহিঙ্গা সমস্যা সমাধান অচিরেই আপনারা দেখতে পাবেন। আপনাদের প্রতি অনুরোধ উসকানিমূলক বক্তব্য দেওয়া বন্ধ করুন। তাহলে আমাদের কাজ করেতে সুবিধা হবে।”

হানিফ বলেন, “আজকে রোহিঙ্গা সমস্যা শুধু বাংলাদেশের নয়, এটা গোটা বিশ্বের সমস্যা। আমি অনুরোধ জানাব, বিশ্বে উন্নত রাষ্ট্র আছে, শক্তিধর রাষ্ট্র আছে। যারা মানবতার কথা বলে, রোহিঙ্গাদের ফেরত পাঠাতে আপনাদের আরও সোচ্চার ভূমিকা দেখতে চাই।”

বঙ্গবন্ধু হত্যাকাণ্ডের সঙ্গে জিয়াউর রহমানের জড়িত থাকার অভিযোগ করে হানিফ বলেন, “বঙ্গবন্ধুকে হত্যার পর জিয়াউর রহমানের বিভিন্ন কর্মকাণ্ডেই প্রমাণ হয় তিনি বঙ্গবন্ধু হত্যাকাণ্ডের সঙ্গে মূল চক্রান্তকারী হিসেবে জড়িত ছিলেন। এছাড়া জিয়াউর রহমান প্রকৃত মুক্তিযোদ্ধা ছিলেন না। মুক্তিযুদ্ধে অংশ নিয়েছিলেন পাকিস্তানের এজেন্ট হিসেবে। বঙ্গবন্ধু হত্যার পর রাষ্ট্রীয় ক্ষমতা দখল করে তিনি খুনিদের পুরস্কৃত করেছিলেন। যেন খুনিরা মহৎ কাজ করেছিলেন। একজন রাষ্ট্র নায়কের কাজ কী, তার কাজ ছিল খুনি যে-ই হোক, তাকে বিচারের মুখোমুখি করা। কিন্তু বঙ্গবন্ধুর খুনিদের বিচার বন্ধ করে দেন জিয়া। এসব ঘটনাই প্রমাণ করে বঙ্গবন্ধু হত্যার মূল চক্রান্তকারী জিয়াউর রহমান। আমরা বারবার দাবি জানিয়ে আসছি বঙ্গবন্ধু হত্যার মূল চক্রান্তকারীদের বিচারের মুখোমুখি দাঁড় করানোর কথা।”

হানিফ আরও বলেন, “জিয়াউর রহমান ক্ষমতায় আসার পর স্বাধীনতাবিরোধী রাজাকার, আল বদর, আল সামসদের রাজনীতি করার সুযোগ করে দেন। রাজাকার শাহ আজিজকে প্রধানমন্ত্রী করেন। মুক্তিযুদ্ধের সময় যারা গণহত্যা চালিয়েছিলেন, মা-বোনদের সম্ভ্রমহানি করেছিলেন, তাদের জেল থেকে ছেড়ে দেন। একজন মুক্তিযোদ্ধা এটা করতে পারেন না। এটাই প্রমাণ করে জিয়া পাকিস্তানের এজেন্ট হিসেবে মুক্তিযুদ্ধে অংশ নিয়েছিলেন।”

আলোচনা সভায় আরও বক্তব্য রাখেন আওয়ামী লীগের উপদেষ্টা পরিষদের সদস্য মোজাফ্ফর হোসেন পল্টু, আওয়ামী লীগের ধর্ম বিষয়ক উপ-কমিটির সভাপতি গোলাম মওলা নকশে বন্দি প্রমুখ।

আপনার মন্তব্য

আলোচিত