নিজস্ব প্রতিবেদক

২৬ ফেব্রুয়ারি , ২০২০ ০১:১৮

অভিজিৎ হত্যার ৫ বছর

মুক্তমনা ব্লগের প্রতিষ্ঠাতা, ব্লগার, বিজ্ঞান লেখক ড.অভিজিৎ রায়কে কুপিয়ে হত্যার পাঁচ বছর পূর্তি আজ। ২০১৫ সালের ২৬ ফেব্রুয়ারি ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের টিএসসির কাছে ধর্মীয় সন্ত্রাসীদের চাপাতির কোপে নিহত হন এই বিজ্ঞান লেখক। ওই হামলার তার স্ত্রী রাফিদা আহমেদ বন্যাও মারাত্মক ভাবে আহত হন।

অমর একুশে গ্রন্থমেলা উপলক্ষে অভিজিৎ রায় নিহত হওয়ার সপ্তাহ খানেক আগে যুক্তরাষ্ট্র থেকে দেশে এসেছিলেন। ওইদিন মেলা থেকে বেরিয়ে বাসায় ফেরার পথে তারা ওই হামলার শিকার হন। এ ঘটনায় অভিজিৎ রায়ের বাবা অজয় রায় শাহবাগ থানায় হত্যা মামলা করেন।

পুলিশের কাউন্টার টেররিজম ইউনিট এ মামলা তদন্ত করে। তারা ২০১৯ সালের ১৩ মার্চ মেজর সৈয়দ জিয়াউল হকসহ ছয়জনের বিরুদ্ধে অভিযোগপত্র দেয়। ১ আগস্ট ছয়জনের বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠন করা হয়। অভিজিৎ হত্যা মামলার অভিযোগপত্রভুক্ত অন্য আসামিরা হলেন আরাফাত রহমান ওরফে শামস ওরফে সাজ্জাদ, মোজাম্মেল হোসেন ওরফে সায়মন ওরফে শাহরিয়ার, আবু সিদ্দিক ওরফে সোহেল ওরফে সাকিব, আকরাম হোসেন আবির ওরফে আদনান ও শফিউর রহমান ফারাবী। আসামিদের মধ্যে জিয়াউল ও আকরাম পলাতক। অন্যরা গ্রেপ্তার আছেন।

এই মামলার বিচার কাজ শুরু হয়েছে। গত বছরের ৯ ডিসেম্বর মামলার বাদী ও অভিজিৎ রায়ের বাবা অজয় রায়ের মৃত্যুর আগে গত ২৮ অক্টোবর ঢাকার সন্ত্রাসবিরোধী বিশেষ ট্রাইব্যুনালের বিচারক মো. মজিবুর রহমানের আদালতে সাক্ষ্য দিয়েছেন।

অভিজিৎ রায় ১৯৭২ সালের ১২ সেপ্টেম্বর জন্মগ্রহণ করেন। তিনি বাংলাদেশ প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয় (বুয়েট) থেকে যন্ত্রকৌশলে ডিগ্রিপ্রাপ্ত এবং একই বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষকতা করেছিলেন বাংলাদেশ ছাড়ার আগ পর্যন্ত। তিনি সিঙ্গাপুরের জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয় থেকে বায়োমেডিক্যাল ইঞ্জিনিয়ারিংয়ে স্নাতকোত্তর এবং ডক্টরেট ডিগ্রি অর্জন করেন।

অভিজিৎ রায় ব্লগ, ফেসবুক, ম্যাগাজিন এবং দৈনিক পত্র-পত্রিকায় নিয়মিত লিখতেন। মৃত্যুর পূর্বে প্রকাশিত তার বইগুলো হল- আলো হাতে চলিয়াছে আঁধারের যাত্রী’ (২০০৫), মহাবিশ্বে প্রাণ ও বুদ্ধিমত্তার খোঁজে (২০০৭), স্বতন্ত্র ভাবনা : মুক্তচিন্তা ও বুদ্ধির মুক্তি (২০০৮), সমকামিতা: বৈজ্ঞানিক এবং সমাজ-মনস্তাত্ত্বিক অনুসন্ধান (২০১০), অবিশ্বাসের দর্শন (২০১১), বিশ্বাস ও বিজ্ঞান (২০১২), ভালবাসা কারে কয় (২০১২) ,শূন্য থেকে মহাবিশ্ব (২০১৪), ভিক্টোরিয়া ওকাম্পো: এক রবি-বিদেশিনীর খোঁজে (২০১৫)।

আপনার মন্তব্য

আলোচিত