২১ মার্চ, ২০২০ ১১:১৩
করোনাভাইরাসের আতঙ্কের মধ্যেই ঢাকা-১০, গাইবান্ধা-৩ ও বাগেরহাট-৪ আসনের উপনির্বাচনের ভোট গ্রহণ চলছে। এই তিন আসনে মোট ভোটার ১০ লাখ ১৭ হাজার ৭৮৯ জন।
শনিবার (২১ মার্চ) তিনটি আসনের মধ্যে ঢাকা-১০ আসনে ইলেকট্রনিক ভোটিং মেশিনে (ইভিএম) ভোট গ্রহণ শুরু হয়েছে। অন্যদিকে গাইবান্ধা-৩ ও বাগেরহাট-৪ আসনের উপনির্বাচনে ভোট চলছে ব্যালটের মাধ্যমে।
এদিকে নির্বাচনকালীন সময়ে ভোটারদের করোনাভাইরাস থেকে রক্ষা পেতে ভোটকেন্দ্রে যাওয়ার আগে এবং ভোট দেওয়ার পর হাত ধোয়ার পরামর্শ দিয়েছেন ইসি সচিব মো. আলমগীর। এছাড়া ভোটারদের নিরাপত্তার জন্য প্রতিটি ভোটকেন্দ্রে হ্যান্ড স্যানিটাইজার এবং সচেতনতামূলক ব্যানার টানানো আছে।
করোনাভাইরাসের প্রাদুর্ভাবের সময় নির্বাচন আয়োজনের বিষয়ে ইসি সচিব মো. আলমগীর সাংবাদিকদের জানিয়েছেন, নির্বাচন বন্ধ করলে সুবিধা কি এবং বন্ধ না করলে কি সুবিধা- এসব বিবেচনা করে আগামী ২১ মার্চ নির্বাচন হবে বলে সিদ্ধান্ত হয়েছে।
তবে ভাইরাসের কারণে প্রত্যেকটি ভোটকেন্দ্রে নিরাপত্তা দিতে সেখানে হ্যান্ড সেনিটাইজার, ব্যানারসহ অন্যান্য সুরক্ষার ব্যবস্থা থাকবে। তিনি বলেন, ‘দেশে করোনাভাইরাস এখনো মহামারী আকারে ছড়ায়নি, তাই ভোট হবে।’
ঢাকা-১০ আসন: ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের ১৪, ১৫, ১৬, ১৭, ১৮ ও ২২ নম্বর ওয়ার্ড নিয়ে ঢাকা-১০ আসন গঠিত। এই আসনের মোট ভোটার ৩ লাখ ১২ হাজার ২৮১ জন। নির্বাচনে মোট ভোট কেন্দ্রের সংখ্যা ১১৭টি এবং ভোট কক্ষের সংখ্যা ৭৭৬ জন। এই নির্বাচনে ৬ জন প্রার্থী নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন।
এরা হলেন- আওয়ামী লীগ থেকে মো. শফিউল ইসলাম, বিএনপি থেকে শেখ রবিউল আলম, জাতীয় পার্টি থেকে হাজী মো. শাহজাহান, প্রগতিশীল গণতান্ত্রিক দল থেকে কাজী মুহাম্মদ আবদুর রহিম, বাংলাদেশ মুসলিম লীগ থেকে নবাব খাজা আলী হাসান আসকারী এবং বাংলাদেশ কংগ্রেস থেকে মো. মিজানুর রহমান।
বাগেরহাট-৪: জেলার মোড়লগঞ্জ ও শরণখোলা উপজেলা নিয়ে এই আসন। এতে মোট ভোটার ২ লাখ ৯৭ হাজার ৪৩৪ জন। ভোট কেন্দ্র ১৪৩টি এবং ভোট কক্ষ ৬২৯টি। এই নির্বাচনে দুইজন প্রার্থী প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন। এরা হলেন- আওয়ামী লীগ থেকে মো. আমিরুল আলম মিলন এবং জাতীয় পার্টি থেকে সাজন কুমার মিস্ত্রী।
গাইবান্ধা-৩: জেলার সাদুল্যাপুর ও পলাশবাড়ী উপজেলা নিয়ে এই আসন। এতে মোট ভোটার ৪ লাখ ৮ হাজার ৭৪ জন। ভোট কেন্দ্রের সংখ্যা ১৩২ এবং ভোট কক্ষ ৭৮৬টি। এই নির্বাচনে চারজন প্রার্থী প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন। এরা হলেন- বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ থেকে উম্মে কুলসুম স্মৃতি, বিএনপি থেকে অধ্যাপক ডা. সৈয়দ মইনুল হাসান সাদিক, জাতীয় পার্টি থেকে মইনুল রাব্বী চৌধুরী এবং জাসদ থেকে এসএম খাদেমুল ইসলাম খুদি।
উল্লেখ্য, ২১ মার্চ অনুষ্ঠিত ৩টি শূন্য আসনের উপনির্বাচনের মধ্যে ঢাকা-১০ আসনের সংসদ সদস্য ব্যারিস্টার শেখ ফজলে নূর তাপস মেয়র পদে নির্বাচন করতে গত ২৯ ডিসেম্বর সংসদ সদস্য পদ থেকে পদত্যাগ করেন। অন্যদিকে, গত ২৭ ডিসেম্বর গাইবান্ধা-৩ আসনের সংসদ সদস্য মো. ইউনূস আলী; ১০ জানুয়ারি বাগেরহাট-৪ আসনের সংসদ সদস্য ডা. মোজাম্মেল হোসেন মারা গেলে তাদের মৃত্যুতে আসনগুলো শূন্য হয়ে পড়েছিল। গত ৬ ফেব্রুয়ারি উল্লেখিত তিনটি আসনের উপনির্বাচনের তফসিল ঘোষণা করেন নির্বাচন কমিশন (ইসি)।
আপনার মন্তব্য