সিলেটটুডে ডেস্ক

১২ এপ্রিল, ২০২০ ২১:৪৯

৬ চিকিৎসকের বরখাস্তের আদেশ হঠকারী ও অনভিপ্রেত: বিএমএ

কুয়েত বাংলাদেশ মৈত্রী সরকারি হাসপাতাল থেকে ছয় চিকিৎসকের সাময়িক বরখাস্ত আদেশের সমালোচনা করে এই আদেশকে হঠকারী ও অনভিপ্রেত বলে উল্লেখ করেছে চিকিৎসকদের সর্বোচ্চ সংগঠন বাংলাদেশ মেডিক্যাল অ্যাসোসিয়েশন (বিএমএ)।

রোববার (১২ এপ্রিল) সংগঠনের মহাসচিব ডা. মো. ইহতেশামুল হক চৌধুরী স্বাক্ষরিত স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রণালয়ের স্বাস্থ্যসেবা বিভাগের সচিব বরাবর এক চিঠিতে সংগঠনের এই অবস্থান ব্যাখ্যা করা হয়।

এতে বলা হয়, বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার গাইড লাইন অনুযায়ী, ঝুঁকিপূর্ণ কাজে যে কেউ নিজেকে নিবৃত্ত রাখতে পারেন। তারপরও বরখাস্ত হওয়া চিকিৎসকদের বক্তব্য অনুযায়ী, তারা কেউই কোভিড সংক্রমণের রোগী দেখতে অপারগতা প্রকাশ করেননি। কোনও কিছুই বিবেচনায় না নিয়ে সরকারি চাকরি বিধি যথাযথভাবে প্রতিপালন না করে চিকিৎসকদের বরখাস্তের আদেশ গোটা চিকিৎসক সমাজকে হতাশ করেছে।

চিঠিতে বলা হয়, জীবনের ঝুঁকি নিয়ে বাংলাদেশের চিকিৎসকরা সাহসের সঙ্গে যেখানে করোনা মোকাবিলার কাজ করছেন, সেখানে এ ধরনের আদেশ হঠকারী ও অনভিপ্রেত। প্রয়োজনে অন্য কোথাও বদলি, বাধ্যতামূলক ছুটি দেওয়া যেতো। কিন্তু এ আদেশ বর্তমানে মহামারিতে আক্রান্ত মানুষের সেবায় নিয়োজিত স্বাস্থ্যকর্মীদের কাছে খারাপ বার্তা দিয়েছে। এতে করে কারা লাভবান হচ্ছে, সে বিষয়টিও পরিষ্কার নয় বলে বিজ্ঞপ্তিতে উল্লেখ করা হয়।

এতে আরও বলা হয়, বরখাস্তের আগে তাদের আত্মপক্ষ সমর্থনের সুযোগ দেওয়া হয়নি। কেউ নিজ দায়িত্ব পালন করেছেন যথাসময় পর্যন্ত। কেউ হাসপাতালে ডিউটি করে কোয়ারেন্টিনে ছিলেন। দুজন চিকিৎসককে পদায়ন করা হয়েছে, তারাও যোগদান করেছেন। জনগণের দৃষ্টি অন্যদিকে সরিয়ে নিয়ে চিকিৎসকদের বিব্রত করে প্রশাসন কি অদক্ষতার পরিচয় দেয়নি? বিএমএ’র চিঠিতে এমন প্রশ্নও করা হয়।

জরুরি ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য মন্ত্রণালয়ের কাছে বিষয়টি উপস্থাপন করে বাংলাদেশ মেডিক্যাল অ্যাসোসিয়েশন। অনতিবিলম্বে চিকিৎসক হয়রানির আদেশের সঙ্গে জড়িতদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হবে বলেও চিঠিতে আশা ব্যক্ত করা হয়।

চিঠির অনুলিপি স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের মহাপরিচালক, পরিচালক (প্রশাসন), কুয়েত-মৈত্রী হাসপাতালের তত্ত্বাবধায়কের কাছেও পাঠানো হয়েছে বলে উল্লেখ করা হয়।

আপনার মন্তব্য

আলোচিত