সিলেটটুডে ডেস্ক

১২ এপ্রিল, ২০২০ ১৯:২৪

কখনও বলিনি চিকিৎসা দেব না

কুয়েত মৈত্রী হাসপাতাল থেকে সাময়িক বরখাস্ত দুই চিকিৎসক বলেছেন, তারা কখনও করোনাভাইরাসে আক্রান্ত রোগীদের চিকিৎসা দিতে অস্বীকৃতি জানাননি। এ দুই চিকিৎসক হলেন কুয়েত মৈত্রী হাসপাতালের মেডিসিন বিভাগের আবাসিক চিকিৎসক মুহাম্মাদ ফজলুল হক এবং একই হাসপাতালের জুনিয়র কনসালটেন্ট (স্ত্রীরোগ ও প্রসূতিবিদ্যা) শারমিন হোসেন।

গতকাল শনিবার কুয়েত মৈত্রী হাসপাতালের ছয় চিকিৎসককে সাময়িক বরখাস্তের সুপারিশ করেন হাসপাতালের তত্ত্বাবধায়ক সেহাব উদ্দিন। ওই দিনই সন্ধ্যায় অধিদপ্তর তাদের সাময়িক বরখাস্তের ঘোষণা দেয়। করোনা আক্রান্ত রোগীদের চিকিৎসা দিতে এই ছয় চিকিৎসক অনিচ্ছা দেখিয়েছেন বলে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ অভিযোগ করেছেন।

শারমিন হোসেন রোববার ফেসবুক লাইভে এসে বলেন, “তত্ত্বাবধায়ক স্যার আমাকে কোনো টেলিফোন না করে বা কোনো কিছু না জানিয়ে আমার বিরুদ্ধে স্বাস্থ্য অধিদপ্তরে নাম পাঠিয়েছে যে আমি না কি কোভিড-১৯ রোগীদের চিকিৎসা দিতে ইচ্ছুক না। এমন কথা আমি মৌখিক বা লিখিতভাবে কখনও স্যারের কাছে অথবা কারও কাছে প্রকাশ করেছি বলে আমার জানা নেই। ’

তিনি আরও বলেন, তিনি ১ এপ্রিল থেকে ৭ এপ্রিল পর্যন্ত কাজ করেন। রাতের পালার কাজ সেরে বাসায় ফেরেন সকালে। একদিন পর তিনি জানতে পারেন তাকে বরখাস্ত করা হয়েছে।

শারমিন হোসেন তার হাজিরা খাতার অনুলিপি নিয়ে রোববার সকালে স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের পরিচালকের (প্রশাসন) মো বেলাল হোসেনের সঙ্গে দেখা করেন বলেও ওই পোস্টে বলেন।

এ ছাড়া গতকাল রাতে বেসরকারি একাত্তর টেলিভিশন চ্যানেলের টকশোতে নিজেকে নির্দোষ দাবি করেন মুহাম্মদ ফজলুল হক। তিনি নিয়মিত হাসপাতালে দায়িত্ব পালন করছিলেন বলে জানান।

এই দুই চিকিৎসক বাদে আরও যে চারজনকে সাময়িক বরখাস্ত করা হয়েছে তাদের একজন আগেই ইস্তফাপত্র দিয়েছেন। অন্য তিনজন হাসপাতালে আসছিলেন না।

স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের পরিচালক (প্রশাসন) বেলাল হোসেন বলেন, আজ সকালে শারমিন হোসেন তার সঙ্গে দেখা করেছেন। তিনি তার বক্তব্য লিখিতভাবে স্বাস্থ্যসচিবকে জানাতে বলেছেন।

তবে, এই আদেশ প্রত্যাহারের কোনো পরিকল্পনার কথা তিনি জানাতে পারেননি। তিনি বলেছেন, কুয়েত মৈত্রী হাসপাতালের সুপারিশে চিকিৎসকেরা সাময়িক বরখাস্ত হয়েছেন। তদন্তের পর নির্দোষ প্রমাণিত হলে, তারা নির্দোষ।

আপনার মন্তব্য

আলোচিত