সিলেটটুডে ডেস্ক

১১ মে, ২০২০ ০২:৫৭

বাজারে আসার অপেক্ষায় ৩০ হাজার কোটি টাকার নতুন নোট

ঈদকে সামনে রেখে বাজারে ছাড়া হচ্ছে ৩০ হাজার কোটি টাকার নতুন নোট। খুব শিগগির বাণিজ্যিক ব্যাংকগুলোর মাধ্যমে গ্রাহকদের বিনিময়ের সুযোগ দেওয়া হবে। এই নোটের বেশির ভাগই পুনর্মুদ্রণ। তবে কিছু টাকা নতুন করে ছাড়া হবে। বাংলাদেশ ব্যাংক সূত্রে এসব তথ্য জানা গেছে।

কেন্দ্রীয় ব্যাংক সূত্র জানায়, আগের বছরে ঈদে ২২ হাজার কোটি টাকার নতুন নোট বাজারে ছাড়া হয়। এ বছরের ঈদুল ফিতরে তার চেয়ে ৮ হাজার কোটি টাকা বেশি ছাড়ার পরিকল্পনা করা হয়েছে। গ্রাহকরা সাধারণত ১০, ২০, ৫০ ও ১০০ টাকার একটি করে বান্ডিল (প্রতি বান্ডিলে ১০০ পিস নোট) এবং চাহিদা মাফিক কয়েন সংগ্রহ করতে পারেন।

বিজ্ঞাপন

সংশ্লিষ্টরা বলছেন, প্রতিবছর দুই ঈদের আগে বাজারে নতুন টাকা ছাড়ে কেন্দ্রীয় ব্যাংক। ঈদের সেলামি দিতে শিশু-কিশোরদের এবং প্রিয়জনদের নতুন টাকা উপহার হিসেবে দেওয়ার রেওয়াজ রয়েছে। এটি ঈদের আনন্দের একটি অংশ। ঈদের সময় নতুন টাকার চাহিদা বেশি থাকে বলে এই সময়কে বাজারে টাকা ছাড়ার জন্য বেছে নেওয়া হয়।

কেন্দ্রীয় ব্যাংকের সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তারা জানান, করোনা ভাইরাসের সংক্রমণে এবারের পরিস্থিতি অনেকটাই ভিন্ন। আগের মতোই নতুন টাকার চাহিদা থাকবে কিনা, সেটি নিয়ে সংশয় রয়েছে। এছাড়া শাখাগুলোর মাধ্যমে কিভাবে বিতরণ করা হবে, সেটিও এখনো চূড়ান্ত করা হয়নি। তবে ২৫-৩০ হাজার কোটি টাকার বাজারে ছাড়ার প্রস্তুতি নিয়ে রেখেছে কেন্দ্রীয় ব্যাংক। গাজীপুরে বাংলাদেশ সিকিউরিটি প্রিন্টিং প্রেসে (টাকশাল) এই টাকা ছাপানোর কাজ চলছে। মধ্য রমজান থেকে এই টাকা বিতরণের কাজ শুরু হবে। নতুন নোটের মধ্যে বেশির ভাগই আগের ছেঁড়া-ফাটা ও পুরনো বাতিল নোটের পুনর্মুদ্রণ।

বিজ্ঞাপন

যেসব বাতিল নোট বাণিজ্যিক ব্যাংকগুলোর মাধ্যমে এবং কেন্দ্রীয় ব্যাংকের কাউন্টারে গ্রাহকরা জমা দেন, সেই সব নোট চূড়ান্তভাবে বাতিল করে নষ্ট করে ফেলা হয়। সমপরিমাণ মুদ্রা কেন্দ্রীয় ব্যাংক রি-ইস্যু করে। আবার অর্থনীতির চাহিদার কথা বিবেচনা করে বিশেষ প্রক্রিয়া শেষ করে কিছু নতুন টাকাও বাজারে এই সময়ে ছাড়া হয়। তবে এবার নতুন ইস্যু করার নোটের পরিমাণ কম বলে জানা গেছে।

কেন্দ্রীয় ব্যাংকের নির্বাহী পরিচালক আবু ফরাহ মো. নাছের বলেন, ঈদের আগে গ্রাহদের মাঝে বিতরণের জন্য ২৫-৩০ হাজার কোটি টাকা প্রস্তুত করা হচ্ছে। এটি বাজারে ছাড়া হবে মধ্য রমজান থেকে। পরবর্তীতে টাকার বিনিময়ের সময়সূচি ও স্থান বিজ্ঞপ্তির মাধ্যমে গ্রাহকদের জানিয়ে দেওয়া হবে। এর বাইরে বাণিজ্যিক ব্যাংকগুলো তাদের চাহিদা মাফিক নতুন নোট কেন্দ্রীয় ব্যাংকের কাছ থেকে সংগ্রহ করতে পারবেন।

আপনার মন্তব্য

আলোচিত