সিলেটটুডে ডেস্ক

০২ নভেম্বর, ২০১৫ ১৩:২৪

‘ধর্ম যার যার, উৎসব সবার’ কুফরী উক্তি, আল্লামা শফীর ফতোয়া

ধর্ম যার যার, উৎসব সবার’ স্লোগানকে কুফরী উক্তি বলে ফতোয়া দিয়েছেন হেফাজতে ইসলামের আমীর আল্লামা আহমদ শফী। 

‘‘সাম্প্রতিক সময়ে সরকারের দায়িত্বশীল পর্যায়সহ একটি মহল থেকে ‘ধর্ম যার যার, উৎসব সবার’ বলে যে আওয়াজ তোলা হচ্ছে তা কুফরী উক্তি। এমন শ্লোগান তোলাটা মুসলমানদের ঈমানী চেতনাবোধ ধ্বংস করার নানামুখি ষড়যন্ত্রেরই একটা অংশ। ঈদ বা পূজা জাতীয় বা সামাজিক কোনো রীতি বা অনুষ্ঠান নয়, এটা একান্তই ধর্মীয় অনুষ্ঠান। তাই ধর্মীয় যে কোনো আয়োজন-অনুষ্ঠানে স্ব-স্ব ধর্মাবলম্বীদের স্বাতন্ত্রবোধ থাকতে হবে।’’

রোববার বাংলাদেশ হেফাজতে ইসলামের প্রেস সচিব মুনীর আহমদ স্বাক্ষরিত গণমাধ্যমকে পাঠানো এক বিবৃতিতে হেফাজতে ইসলামের আমীর আল্লামা আহমদ শফীর পক্ষে এসব কথা জানানো হয়।

ধর্ম যার যার, উৎসব সবার’ এমন উক্তির বিরোধিতা করে হেফাজতে ইসলামের আমির আল্লামা আহমদ শফী বলেছেন, ‘ভিন্ন ধর্মালম্বীদের প্রার্থনা বা ধর্মীয় অনুষ্ঠানে কতিপয় মুসলমানের শরীক হওয়াকে সমর্থন ও উৎসাহিত করে এমন বক্তব্য দেয়া সম্পূর্ণ ইসলামবিরোধী।

তিনি বলেন, ‘একটি বিষয় মুসলমানদের জেনে রাখা জরুরি যে, অমুসলিমদের প্রতি ইনসাফ ভিত্তিক নাগরিক আচরণ ও সম্প্রীতিপূর্ণ মনোভাব রাখা ইসলামের শিক্ষা। অমুসলিমদেরকে সবধরনের সামাজিক ও মানবিক সহযোগিতা করা যাবে। এতে ইসলাম কোনোরূপ বাধা দেয় না। কিন্তু তাদের ধর্মীয় উপাসনা, পূজা বা আরাধনায় যে কোনোরূপ অংশ নেয়া মুসলমানের জন্যে অবশ্যই হারাম।’

তিনি আরো বলেন, ‘নিজে পূজা করা যাবে না, প্রতিমা তৈরিতে ব্যক্তিগত অর্থ সাহায্য করা যাবে না, ভিন্ন ধর্মালম্বীদের যে কোনো ধরনের উপাসনায় দৈহিক, মানসিক, আর্থিক কোনো ধরনের সহায়তা দেয়া যাবে না। যদি কোনো মুসলমান ব্যক্তিগত পর্যায়ে অমুসলিমদের পূজা অর্চনায় শরীক হয়, পূজা অনুষ্ঠান উপভোগ করে, দেবীর কাছে সুখ-শান্তি ও সমৃদ্ধি কামনা করে, দেবীর বিভিন্ন গুণকীর্তন করে, তাহলে সে কোনোভাবেই আর মুসলমান থাকে না।’

আপনার মন্তব্য

আলোচিত