সিলেটটুডে ডেস্ক

০৯ মার্চ, ২০২১ ২২:১৯

বিএনপি অসৎ উদ্দেশ্য নিয়ে ৭ মার্চ পালন করেছে: তথ্যমন্ত্রী

আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ও তথ্যমন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ বলেছেন, ‘বিএনপি একটি অসৎ উদ্দেশ্য নিয়ে ৭ মার্চ পালন করেছে ‘

মন্ত্রী মঙ্গলবার (৯ মার্চ) বিকালে রাজধানীর ২৩ বঙ্গবন্ধু এভিনিউয়ে আওয়ামী লীগ কার্যালয়ে ঐতিহাসিক ৭ মার্চ উপলক্ষে আয়োজিত আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এ কথা বলেন। ঢাকা মহানগর শেখ রাসেল জাতীয় শিশু-কিশোর পরিষদ এ অনুষ্ঠানের আয়োজন করেছে।

তথ্যমন্ত্রী বিএনপি’র উদ্দেশ্যে বলেন, ‘আপনাদেরকে অনুরোধ জানাবো যে, আপনারা এতদিন ধরে যে ইতিহাসবিকৃতি করেছেন সেটার জন্য জনগণের কাছে ক্ষমা চান। আর নতুন করে ইতিহাস বিকৃত করার জন্য কোনও দিবস পালন করার ভণ্ডামি দয়া করে করবেন না।’

তথ্যমন্ত্রী বলেন, ‘বিএনপি যখন ঘোষণা দিলো যে তারা ৭ মার্চ পালন করবে, আমি আশা করেছিলাম ইতিহাসকে মেনে নেয়ার শর্তে এবং এতদিন ধরে তারা যে ইতিহাসবিকৃতি ঘটিয়েছে, সেই কলঙ্কমোচনের স্বার্থে তারা ৭ মার্চ পালন করবে। কিন্তু ৭ মার্চ পালন করতে গিয়ে যে বক্তৃতাগুলো তারা করেছেন, যেভাবে ভাষণ দিয়েছেন, তা বরং ৭ই মার্চের বক্তব্যের সারমর্মকে খাটো করার জন্যই। অর্থাৎ একটি অসৎ উদ্দেশ্য নিয়ে তারা ৭ মার্চ পালন করেছেন।’

বঙ্গবন্ধুর ৭ মার্চের ভাষণের পর জনগণ স্বাধীনতার পক্ষে যুদ্ধ করার জন্য মিছিল করতে করতে রাস্তায় বেরিয়ে গেল এবং যার যা কিছু আছে তাই নিয়ে যুদ্ধের প্রস্তুতি নিলো, অথচ বিএনপি নেতারা বঙ্গবন্ধুর সেই ভাষণকে কটাক্ষ করে বক্তব্য রাখলেন উল্লেখ করে ড. হাছান বলেন, ‘আমি বিএনপিকে অনুরোধ জানাবো, এ ধরণের কটাক্ষ করার উদ্দেশ্য নিয়ে আপনারা দয়া করে এই সমস্ত দিবস পালন করবেন না।’

তিনি বলেন, ‘আপনারা ক্রমাগতভাবে ইতিহাস বিকৃত করেছেন, এই ৭ মার্চের ভাষণ ২১ বছর বাজাতে দেননি, বিএনপি এবং এরশাদ সাহেবও যতদিন ক্ষমতায় ছিল বাংলাদেশের রেডিও টেলিভিশনে ৭ মার্চের ভাষণ বাজানো নিষিদ্ধ ছিল, বাজাতে দেয়নি, কিন্তু এই ভাষণকে আজকে বিশ্ব স্বীকৃতি দেয়া হয়েছে, জাতিসংঘের দলিল হিসেবে এই ভাষণ স্থান পেয়েছে।’

স্বাধীনতার ঘোষণা পাঠের জন্য যদি কৃতিত্ব দিতে হয় তাহলে নূরুল হকের কৃতিত্ব জিয়াউর রহমানের চেয়ে অনেক বেশি
উল্লেখ করে তথ্যমন্ত্রী বলেন, ‘চট্টগ্রাম আওয়ামী লীগ অফিসের প্রয়াত বেয়ারার নূরুল হক, তিনি বঙ্গবন্ধু স্বাধীনতা ঘোষণা দেয়ার পর ২৬ মার্চ বঙ্গবন্ধুর ঘোষণাটি রিক্সা করে সমগ্র চট্টগ্রাম শহরে মাইকিং করেছিলেন। চট্টগ্রাম শহরে পাকিস্তানি সেনাবাহিনী তখন হত্যাকাণ্ড চালাচ্ছে, যেকোনো মুহূর্তে তার বুকে গুলি হতে পারে সেটা জেনেও সেদিনকার তরুণ নূরুল হক মানুষকে ঘোষণাটি শুনিয়েছিলেন।’

আপনার মন্তব্য

আলোচিত