সিলেটটুডে ডেস্ক

১২ মার্চ, ২০২১ ১৮:৫৬

নোয়াখালী আ. লীগে বিশৃঙ্খলা: কাদেরের পদত্যাগ চাইলেন ফখরুল

নোয়াখালীর কোম্পানীগঞ্জের দলীয় অভ্যন্তরীণ কোন্দল নিরসনে ব্যর্থতার জন্যে আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদেরের পদত্যাগ চেয়েছেন বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর।

শুক্রবার রাজধানীর গুলিস্তানে মহানগর নাট্যমঞ্চে জাতীয়তাবাদী কৃষকদলের চতুর্থ জাতীয় সম্মেলনে প্রধান অতিথির বক্তব্যে মির্জা ফখরুল এই দাবি জানান।

বিএনপির মহাসচিব বলেন, ‘আওয়ামী লীগের ওবায়দুল কাদের সাহেব খুব সুন্দর সুন্দর কথা বলেন। চমৎকার ফিরোজা কালারের আসনে বসে তিনি প্রতিদিন বিএনপির বিরুদ্ধে বিষোদ্‌গার করেন। প্রতিদিন তিনি বিএনপিকে ধমক দেন, শিক্ষা দেন। আমি বলব, আপনি আপনার ঘরকে আগে শিক্ষা দিন। আপনার ভাই কাদের মির্জা আপনার সম্পর্কে যেসব কথা বলেন, আপনাদের দলের নেতাদের সম্পর্কে বলেন, তারপরে তো আপনাদের থাকার কথা না। পদত্যাগ করা উচিত। আপনারা নিজেদের ঘরে মারামারি করে, দলাদলি করে ইতিমধ্যে দুজনকে হত্যা করেছেন। একজন সাংবাদিক, একজন রাজনৈতিক কর্মী।’

নোয়াখালীর কোম্পানীগঞ্জের বসুরহাট পৌরসভার মেয়র আবদুল কাদের মির্জা। তিনি ওবায়দুল কাদেরের ছোট ভাই। গত ৩১ ডিসেম্বর পৌর নির্বাচনের ইশতেহার ঘোষণাকালে আবদুল কাদের মির্জা নিজের বড়ভাই ও দলীয় সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদেরকে উদ্দেশ করে নানা কথা বলে আলোচনায় আসেন। গত ১৬ জানুয়ারির নির্বাচনে তিনি জয়ী হন। কাদের মির্জার কথিত ‘সত্যবচন’ সংঘাতের রূপ নেয় গত ১৯ ফেব্রুয়ারি। এদিন তার অনুসারীরা উপজেলা আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক মিজানুর রহমানের (বাদল) সমর্থকদের সঙ্গে সংঘর্ষে জড়িয়ে পড়েন। এ সময় গুলিবিদ্ধ হয়ে নিহত হন দৈনিক বাংলাদেশ সমাচার পত্রিকার নোয়াখালী প্রতিনিধি সাংবাদিক বুরহান উদ্দিন মুজাক্কির। এরপর কেন্দ্র থেকে কোম্পানীগঞ্জে আওয়ামী লীগ ও সহযোগী সংগঠনের কার্যক্রম স্থগিত করা হয়। তিন সপ্তাহের ব্যবধানে কোম্পানীগঞ্জে আওয়ামী লীগের দুই পক্ষের সংঘর্ষে আরও একজন নিহত হন। গত মঙ্গলবারের সংঘর্ষে নিহত হন আলাউদ্দিন (৩২) নামের এক ব্যক্তি। তাকে নিজের অনুসারী দাবি করেছেন মিজানুর।

মিজানুরকে গতকাল বৃহস্পতিবার গ্রেপ্তার করা হয়েছে। অন্যদিকে, পৌরভবন ঘিরে রেখেছে পুলিশ। ভেতরে আছেন ওবায়দুল কাদের ছোটভাই পৌরসভার মেয়র আবদুল কাদের মির্জা।

আপনার মন্তব্য

আলোচিত