সিলেটটুডে ডেস্ক

১৩ মার্চ, ২০২১ ১৩:৩৯

প্রাণনাশের শঙ্কায় কাদের মির্জা, একরাম-সেলিমের বিরুদ্ধে অভিযোগ

প্রাণনাশের শঙ্কায় রয়েছেন নোয়াখালীর কোম্পানীগঞ্জের বসুরহাট পৌরসভার মেয়র আবদুল কাদের মির্জা। তার অভিযোগ, তাকে হত্যা করতে নোয়াখালী-৪ আসনের সংসদ সদস্য একরামুল করিম চৌধুরীর বাড়িতে দফায় দফায় বৈঠক হচ্ছে। শনিবার সকাল সাড়ে ১০টায় বসুরহাট পৌরসভার নিজ কার্যালয়ে সংবাদ সম্মেলন করে এসব অভিযোগ করেন তিনি।

নোয়াখালী জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতির বিরুদ্ধেও অভিযোগ করেন কাদের মির্জা। তিনি বলেন, খায়রুল আনম সেলিম একজন মেরুদণ্ডহীন প্রাণি। তার কারণে একরাম চৌধুরী আকাম-কুকাম করছেন। দুর্নীতি ও অনিয়ম করে একরাম টাকা বেশি খান, আর সেলিম কম হলেও খান।

সংবাদ সম্মেলনে তিনি অভিযোগ করে আরও বলেন, গত মঙ্গলবার রাতে নির্বিচারে প্রতিপক্ষ আমার পৌরসভা কার্যালয়ে গুলিবর্ষণ ও ককটেল বিস্ফোরণ করে। আমাকে হত্যার উদ্দেশ্যে ৫০০ গুলি ছুড়েছে। এসময় আমি শুয়ে প্রাণে রক্ষা পাই। তবে আমার সঙ্গে থাকা দলীয় কর্মী গুলিবিদ্ধ হয়।

কাদের মির্জা বলেন, যতক্ষণ দেহে একফোটা রক্ত আছে, আমি এখান থেকে সরবো না। আমি অন্যায়ের বিরুদ্ধে কথা বলবো। আমি সাহস করে সত্য কথা বলবো। আমি অন্যায়, অবিচার, জুলুমের বিরুদ্ধে প্রতিবাদ করে যাবো। এটা কার বিপক্ষে গেল, এটা আমার জানার বিষয় নয়।

তিনি বলেন, গতকাল থেকে আবার নতুন করে আমার অনুসারী নেতাকর্মীদের মামলা, হামলা গ্রেপ্তার করা হচ্ছে। সারারাত আমার প্রত্যেকটা নেতাকর্মীর বাড়িতে পুলিশ হামলা করছে। অনেক পরিবারকেও লাঞ্ছিত করেছে তারা।

জননেত্রী শেখ হাসিনার কাছে আমার আবেদন, আপনি দলীয়ভাবে এখানে জেলা কমিটিকে তদন্তভার দিয়েছেন। এদের তো কমিটিই অনুমোদন হয়নি। এরা একপেশে। তারা তো সন্ত্রাসীদেরকে মদদ দিচ্ছে। তাদের থেকে সঠিক তথ্য দল পাবে না। সেজন্য আমি প্রস্তাব করছি, আমাদের তথ্যমন্ত্রী হাছান মাহমুদ এবং আমাদের এ অঞ্চলের নেতা সুজিত রায় নন্দীকে তদন্তভার দেন। এতে যদি আমি দোষী সাব্যস্ত হই বা আমার নেতাকর্মী দোষী সাব্যস্ত হয় তাহলে তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হোক। এছাড়া ঘটে যাওয়া সকল ঘটনার জন্য ঢাকা থেকে বিচার বিভাগীয় তদন্তের ব্যবস্থা করতে হবে। যদি নোয়াখালী থেকে করে তাহলে প্রভাবিত হবে। আর না হলে ডিজিএফআই ও এনএসআই আছে তাদেরকে দিয়ে তদন্ত করে যদি আমি এবং আমার অনুসারী যারা আছে অপরাধারের সাথে জড়িত থাকে তাহলে আমার দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি হোক।

কাদের মির্জা বলেন, আমি সুষ্ঠু, অবাধ ও নিরপেক্ষ নির্বাচনের মাধ্যমে ইভিএমে কাস্টিং ভোটের ৭৭ ভাগ ভোট পেয়েছি। এই জনপ্রিয়তায় ঈর্ষাম্বিত হয়ে প্রতিপক্ষরা নিজাম হাজারি ও একরাম চৌধুরীর সঙ্গে এক হয়ে আমার বিরোধিতা করছে।

আপনার মন্তব্য

আলোচিত