সিলেটটুডে ডেস্ক

২০ মার্চ, ২০২১ ০০:২৫

বিদেশি অতিথিদের স্বাগত জানানোর কর্মসূচিতে মারামারি করল ছাত্রলীগ

জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের জন্মবার্ষিকী ও বাংলাদেশের স্বাধীনতার সুবর্ণজয়ন্তী উদযাপনে বিদেশি অতিথিদের স্বাগত জানাতে বাংলাদেশ ছাত্রলীগের কর্মসূচিতে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রলীগ ও ঢাকা মহানগর দক্ষিণ ছাত্রলীগের নেতাকর্মীদের মধ্যে সংঘর্ষের ঘটনা ঘটেছে। এই ঘটনায় এক পক্ষ অন্য পক্ষের বিরুদ্ধে সাংগঠনিক ব্যবস্থা নেওয়ার দাবি জানিয়েছে।

জানা যায়, শুক্রবার বিকেলে কেন্দ্রীয় শহীদ মিনার প্রাঙ্গনে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক সাদ্দাম হোসেন ও তার অনুসারী এবং ঢাকা মহানগর দক্ষিণ ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক জুবায়ের আহমেদ ও তার অনুসারীদের মধ্যে এই সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে। এতে জুবায়ের আহমেদসহ দুই পক্ষের বেশ কয়েকজন নেতাকর্মী আহত হয়েছেন।

প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, বিদেশি অতিথিদের স্বাগত জানাতে ছাত্রলীগের আনন্দ মিছিল ও সমাবেশ কর্মসূচি উপলক্ষে শুক্রবার দুপুর থেকেই কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে হাজির হতে থাকেন সংগঠনটির বিভিন্ন পর্যায়ের নেতা–কর্মীরা। সমাবেশস্থলের সাউন্ড সিস্টেমে দুপুর থেকে বাজছিল দেশাত্মবোধক গান। বিকেল চারটার দিকে সাউন্ড সিস্টেম বন্ধ করে স্লোগান শুরু করেন ঢাকা মহানগর দক্ষিণ শাখা ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক জুবায়ের আহমেদের অনুসারীরা। সাউন্ড সিস্টেমের দায়িত্বে থাকা দুজন কর্মী ছাত্রলীগের কেন্দ্রীয় সাধারণ সম্পাদক লেখক ভট্টাচার্য ও ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় শাখা ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক সাদ্দাম হোসেনের বরাত দিয়ে বলেন, তারা গান চালু রাখতে বলেছেন। এ নিয়ে মহানগরের নেতা–কর্মীদের সঙ্গে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় শাখা ছাত্রলীগের নেতা–কর্মীদের বাগ্‌বিতণ্ডা শুরু হয়। একপর্যায়ে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় শাখা ছাত্রলীগের নেতা–কর্মীদের মারধর শুরু করেন মহানগরের নেতা–কর্মীরা। এ সময় ৩০-৪০ জন আহত হন।

এসময় শহীদ মিনারে থাকা রাষ্ট্রীয় অতিথিদের ছবি সহ ফেস্টুন-প্ল্যাকার্ড ছিঁড়ে ফেলা হয়।

সাদ্দাম হোসেন বলেন, তারা (মহানগর দক্ষিণ ছাত্রলীগের নেতাকর্মীরা) বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের গায়ে হাত তুলেছে। শহীদ মিনারের মর্যাদা ক্ষুণ্ন করেছে। সাউন্ড সিস্টেম ধ্বংস করেছে তথা সাংগঠনিক নিয়ম লঙ্ঘন করেছে। আমরা কেন্দ্রকে বিষয়টি অবহিত করেছি। আশা করবো তারা দোষীদের বিরুদ্ধে সাংগঠনিক ব্যবস্থা নেবে।

জুবায়ের আহমেদ বলেন, আমি স্লোগান দেয়ার জন্য সাউন্ড বক্স বন্ধ করতে বলেছিলাম। সাউন্ড বক্স বন্ধ করার পর ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের দু'জন ছেলে এসে শ্রমিকদের সঙ্গে বাজে ব্যবহার করেছে। পরে আমি একটু বন্ধ রাখতে বললে আমাকে আঘাত করে। তখন আমি তাদের সরিয়ে দেই। আমি সরিয়ে দেয়ার পর তারা পেছন থেকে আবার আঘাত করে। তখন আমরা সেখান থেকে সরে যাই। তাদের হামলার কারণে আমি মুখে এবং হাতে আঘাতপ্রাপ্ত হই। পরে ছাত্রলীগের সভাপতি আল-নাহিয়ান খান জয় এবং লেখক ভট্টাচার্য এসে পরিস্থিতি সামাল দিলে আমি আমার নেতাকর্মীদের নিয়ে একপাশে সরে যাই।

ঘটনার বিষয়ে ছাত্রলীগের সভাপতি আল নাহিয়ান খান জয় বলেন, আমরা ঘটনাটি শুনেছি। খোঁজ-খবর নিয়ে দোষীদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।

আপনার মন্তব্য

আলোচিত