সিলেটটুডে ডেস্ক

২৯ মার্চ, ২০২১ ০০:২৫

৩ দিনে ১৩ মৃত্যু, হেফাজতের দাবি ১৭

বাংলাদেশের স্বাধীনতার সুবর্ণজয়ন্তী ও জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের জন্মশতবার্ষিকীর অনুষ্ঠানে অংশ নিতে ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির বাংলাদেশ সফরের প্রতিবাদে গত তিন দিনের বিক্ষোভ ও হরতাল কর্মসূচিতে সংঘর্ষে ১৩ জন নিহত হয়েছে। তবে কওমি মাদ্রাসাভিত্তিক সংগঠন হেফাজতে ইসলাম ১৭ জন নিহত হয়েছে বলে দাবি করেছে।

২৬ মার্চ নরেন্দ্র মোদি বাংলাদেশ সফরে আসেন, এবং পরেরদিন তিনি ভারত ফিরে যান।

রোববার (২৮ মার্চ) ঢাকায় হেফাজতের সংবাদ সম্মেলনে দাবি করা হয়— ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কের সাইনবোর্ড এলাকায় একজন, চট্টগ্রামে চারজন এবং ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় ১২ জন নিহত হয়েছেন। হেফাজতের যুগ্ম মহাসচিব মামুনুল হক হরতাল শেষে পল্টনে বাংলাদেশ খেলাফত মজলিশের কার্যালয়ে সংবাদ সম্মেলনে এই তথ্য দেন।

তবে গত তিন দিনে গণমাধ্যমে প্রকাশিত খবরে এই ঘটনায় সারাদেশে ১৩ জনের মৃত্যুর ঘটনা নিশ্চিত হওয়া গেছে।

শুক্রবার হাটহাজারীতে পুলিশের সঙ্গে হেফাজতের নেতা-কর্মীদের সংঘর্ষে ৪ জন নিহত হন। পুলিশ জানায়, শুক্রবার দুপুরে হাটহাজারীতে সংঘর্ষের পর আহতদের চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে আসা হলে চারজনকে মৃত ঘোষণা করেন চিকিৎসক। নিহতরা হলেন— হাটহাজারী মাদ্রাসার শিক্ষার্থী রবিউল ইসলাম, মেহরাজ, মো. জামিল এবং আবদুল্লাহ নামের অপর এক ব্যক্তি।

শনিবার ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় হেফাজতে ইসলামের বিক্ষোভ মিছিলের সঙ্গে পুলিশ ও বিজিবির সংঘর্ষে ৪ জন নিহত হন। এ ছাড়া শহরের কান্দিরপাড়া এলাকায় ছাত্রলীগ ও মাদ্রাসার শিক্ষার্থীদের মধ্যে সংঘর্ষে গুলিবিদ্ধ এক শিক্ষার্থী হাসপাতালে মারা যায়। পুলিশ ও বিজিবির সঙ্গে সংঘর্ষের ঘটনায় আহত আরেকজন আজ মারা যান। নিহতরা হলেন—ব্রাহ্মণবাড়িয়া সদর উপজেলার হারিয়া গ্রামের ওয়ার্কশপ শ্রমিক জোহর আলম, মজলিশপুর ইউনিয়নের মৈন্দ গ্রামের সুজন মিয়া, বুধল ইউনিয়নের কাউসার মিয়া, সুনামগঞ্জের দিরাই উপজেলার শ্রমিক বাদল মিয়া, জুবায়ের ও নুরুল আমিন (২২)।

রোববার ব্রাহ্মণবাড়িয়ার সরাইলে হরতালের সময় হাইওয়ে থানায় হেফাজতে ইসলামের নেতা-কর্মীদের সঙ্গে পুলিশের সংঘর্ষে গুলিবিদ্ধ হয়ে দুজন মারা যান। এ ছাড়া জেলা শহরের পীরবাড়ি এলাকায় পুলিশ লাইনে হেফাজতের নেতা-কর্মীদের হামলার পর সেখানে গুলিবিদ্ধ আরেকজনের হাসপাতালে মৃত্যু হয়েছে। ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেনারেল হাসপাতালের জরুরি বিভাগে কর্তব্যরত চিকিৎসক সৈয়দ আরিফুল ইসলাম গুলিবিদ্ধ তিনজনের মৃত্যুর কথা নিশ্চিত করেছেন। নিহতরা হলেন— ব্রাহ্মণবাড়িয়া সদর উপজেলার খাঁটিহাতা গ্রামের হাদিস মিয়া ও উপজেলা সদরের কুট্টাপাড়া গ্রামের আল আমীন।

অন্যদিকে ব্রাহ্মণবাড়িয়া শহরের পীরবাড়ি এলাকায় পুলিশ লাইনে হেফাজতের নেতা-কর্মীরা হামলা করলে গুলির ঘটনা ঘটে। সেখানে একজন গুলিবিদ্ধ হওয়ার খবর পাওয়া যায় যিনি পরে হাসপাতালে মারা যান। তার পরিচয় সম্পর্কে নিশ্চিত হওয়া যায়নি।

আপনার মন্তব্য

আলোচিত