সিলেটটুডে ডেস্ক

১৫ ডিসেম্বর, ২০২১ ০২:৩৭

বঙ্গবন্ধুকে অবমাননার মামলার আবেদন আওয়ামী লীগের সাংসদের বিরুদ্ধে

বঙ্গবন্ধুর ছবি অবমাননার অভিযোগে পটুয়াখালীর আদালতে আওয়ামী লীগ দলীয় সংসদ সদস্য আ স ম ফিরোজের নালিশি মামলা হয়েছে।

১৯৭৫ সালের ১৫ আগস্ট রাতে সপরিবার বঙ্গবন্ধু খুন হওয়ার পর তার প্রতিকৃতি রাস্তায় ফেলে পদদলিত করার অভিযোগে আনা হয় পটুয়াখালী-২ (বাউফল) আসনের এই সাংসদের বিরুদ্ধে।

মঙ্গলবার (১৪ ডিসেম্বর) পটুয়াখালীর সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট দ্বিতীয় আমলি আদালতে নালিশি মামলাটি করেন বাউফল ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের শ্রমবিষয়ক সম্পাদক মো. জাহিদুল হক।

নালিশি মামলায় সাক্ষী করা হয়েছে ছাত্রলীগের বরিশাল জেলা শাখার তৎকালীন সাধারণ সম্পাদক ও বর্তমান আওয়ামী লীগের প্রেসিডিয়াম সদস্য জাহাঙ্গীর কবির নানক, বরিশাল জেলা ছাত্রলীগের তৎকালীন সাংগঠনিক সম্পাদক খান আলতাফ হোসেনসহ ১০ জনকে।

আদালতের বিচারক মো. জামাল হোসেন নালিশি মামলাটির আদেশের জন্য ১৯ ডিসেম্বর দিন ধার্য করেছেন।

আরজিতে উল্লেখ করা হয়, বরিশাল ব্রজমোহন কলেজ ছাত্র সংসদের সাবেক ভিপি আ স ম ফিরোজ ১৯৭৫ সালের ১৫ আগস্ট রাতে জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান সপরিবার খুনি মোশতাক গংয়ের গুলিতে শাহাদাতবরণের খবর বরিশালে পৌঁছালে বঙ্গবন্ধুর ছবিতে জুতা, ঝাঁটা, লাঠি নিয়ে আনন্দ মিছিল, বরিশাল আওয়ামী লীগের দলীয় কার্যালয় ভাঙচুর, বঙ্গবন্ধুর ছবি রাস্তায় এনে ভাঙচুর, ব্রজমোহন কলেজের অধ্যক্ষের কক্ষ থেকে বঙ্গবন্ধুর ছবি রাস্তায় এনে মাটিতে ফেলে পদদলিত করেন।

মামলা প্রসঙ্গে সাংসদ আ স ম ফিরোজ বলেন, ‘যে দল আমাকে নয়বার মনোনয়ন দিয়েছে, আমাকে চিফ হুইপ বানিয়েছে, মাননীয় প্রধানমন্ত্রী নিশ্চয়ই আমার সম্পর্কে ইতিমধ্যে অনেক খোঁজখবর নিয়েছেন; এগুলো যারা করেন, তারা বাউফলবাসী, যারা বারবার ভোট দিয়ে আমাকে নির্বাচিত করছেন, তাদের অসম্মান করছেন।’

বীর মুক্তিযোদ্ধা আ স ম ফিরোজ বরিশালে পড়াশোনা করার সময় রাজনীতিতে জড়ান। তিনি ১৯৭৯ সালে জিয়াউর রহমানের সেনা শাসনের বিরুদ্ধে নৌকা প্রতীক নিয়ে পটুয়াখালী-৬ আসন থেকে সংসদ সদস্য নির্বাচিত হন। দেশের দ্বিতীয় সেই সংসদ নির্বাচনে আওয়ামী লীগ থেকে কেবল ৩৯ জন নির্বাচিত হতে পেরেছিলেন।

১৯৮৬ সালে ফিরোজ স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে আবার সংসদ সদস্য হন পটুয়াখালী-২ আসন থেকে। পরে নিজ দল আওয়ামী লীগেই ফিরে আসেন। ১৯৯১ থেকে ২০১৮ সাল পর্যন্ত আওয়ামী লীগ এই আসনে প্রতিবারই ফিরোজের হাতে নৌকা তুলে দেয়। এর মধ্যে কেবল ২০০১ সালে একবারই তিনি বিএনপির কাছে হেরে যান। বাকি প্রতিটি নির্বাচনেই জয় পান তিনি।

আপনার মন্তব্য

আলোচিত