সিলেটটুডে ডেস্ক:

০৯ মার্চ, ২০২২ ২০:৫২

সরকারকে পদত্যাগে বাধ্য করতে হবে: মির্জা ফখরুল

রাজপথে নেমেই সরকারকে পদত্যাগে বাধ্য করতে হবে বলে মন্তব্য করেছেন বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর।

আজ বুধবার জাতীয় প্রেসক্লাবের সামনে জাতীয়তাবাদী স্বেচ্ছাসেবক দলের উদ্যোগে অনুষ্ঠিত বিক্ষোভ সমাবেশে তিনি এ মন্তব্য করেন।

'তেল, গ্যাস, বিদ্যুৎ, পানিসহ নিত্যপ্রয়োজনীয় দ্রব্যমূল্যের ঊর্ধ্বগতির প্রতিবাদ ও বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার মুক্তি দাবিতে' এ সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়।

মির্জা ফখরুল বলেন, 'শুধু চাল, ডাল ও তেলের দাম কমালেই চলবে না। আমাদের জীবনকে জীবনের মতো করে চলতে দিতে হবে। আমাদের কথা বলতে দিতে হবে, আমাদের লেখার স্বাধীনতা দিতে হবে, বিচার ব্যবস্থাকে ন্যায়বিচার ব্যবস্থা করতে হবে এবং পুলিশ ও প্রশাসনকে জনগণের সেবক হতে হবে।'

তিনি বলেন, 'সেই লক্ষ্যে এই সরকারকে বাধ্য করি, অবিলম্বে ব্যর্থতার দায় নিয়ে তাদেরকে পদত্যাগ করতে হবে, নিরপেক্ষ সরকারের হাতে ক্ষমতা হস্তান্তর করতে হবে, নিরপেক্ষ নির্বাচন কমিশনের পরিচালনায় একটা নিরপেক্ষ ও সুষ্ঠু নির্বাচন দিয়ে জনগণের সরকার ও সংসদ প্রতিষ্ঠিত করতে হবে। এই হোক আজকের দিনে আমাদের শপথ, প্রতীজ্ঞা ও প্রত্যয়। আসুন, রাজপথে নেমে সেটাকে আমরা আদায় করি।'

সরকার জিনিসপত্রের দাম কমাতে পারবে না মন্তব্য করে মির্জা ফখরুল বলেন, এখান থেকে তারা ভাগ নেন। তাদের নেতারা সিন্ডিকেট করে। সিন্ডিকেট করে তারা সেখান থেকে ভাগ নেন। দুর্নীতিতে তারা সমস্ত দেশকে ভরিয়ে দিয়েছেন।

আমাদের মা, ভাই ও বোনদেরকে টিসিবির ট্রাকের পেছনে দৌঁড়ানো বন্ধ করতে হবে বলেও এসময় মন্তব্য করেন বিএনপি মহাসচিব।

সমাবেশের কারণে জাতীয় প্রেসক্লাবের (হাইকোর্টের কদম ফোয়ারা থেকে পল্টন মোড়) সামনের একপাশ রাস্তা বন্ধ হয়ে যায়। এসময় গাড়ি চলাচল পুরোপুরি বন্ধ হয়ে যায়।

এর আগে দুপুর ১টা থেকে ব্যানার ও ফেস্টুন নিয়ে স্বেচ্ছাসেবক দলের নেতাকর্মীরা ছোট ছোট মিছিল নিয়ে সমাবেশস্থলে আসতে থাকেন। মিছিল ও সমাবেশ থেকে নেতাকর্মীরা 'খালেদা জিয়ার ভয় নাই, রাজপথ ছাড়ি নাই'সহ দ্রব্যমূল্যের ঊর্ধ্বগতির প্রতিবাদে বিভিন্ন স্লোগানে প্রেসক্লাব প্রাঙ্গণ মুখরিত করেন। এ সময় পুলিশ সদস্যরা সমাবেশস্থলের আশপাশে অবস্থান নেন। পাশাপাশি সাদা পোশাকে আইনশৃঙ্খলার বাহিনীসহ অতিরিক্তি পুলিশ সদসদেরও মোতায়েন করা হয়।

আয়োজক সংগঠনের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি মোস্তাফিজুর রহমানের সভাপতিত্বে সমাবেশে বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য গয়েশ্বর চন্দ্র রায়, চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা আমান উল্লাহ আমান, আবদুস সালাম, স্বেচ্ছাসেবক বিষয়ক সম্পাদক মীর সরাফত আলী সপু, তথ্য ও গবেষণা বিষয়ক সম্পাদক আজিজুল বারী হেলাল, ঢাকা মহানগর উত্তর বিএনপির সদস্য সচিব আমিনুল হক, স্বেচ্ছাসেবক দলের সাধারণ সম্পাদক আব্দুল কাদির ভূইয়া জুয়েল, সহ-দপ্তর সম্পাদক নাজমুল হাসান প্রমুখ বক্তব্য দেন।

আপনার মন্তব্য

আলোচিত