সিলেটটুডে ডেস্ক

২৫ মে, ২০২৩ ২০:১০

ভোটের ফলাফল আটকে রাখার অভিযোগ জাহাঙ্গীরের

গাজীপুর সিটি করপোরেশনে ভোটের ফলাফল আটকে রাখার অভিযোগ তুলেছেন সাবেক মেয়র জাহাঙ্গীর আলম।

বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় তিনি রিটার্নিং কার্যালয়ে এসে এ অভিযোগ করেন। জাহাঙ্গীর দাবি করে বলেন, তার মা বিজয়ী হয়েছেন। কোনো ষড়যন্ত্র মানা হবে না বলেও জানান তিনি।

জাহাঙ্গীর বলেন, ‘ফলাফল নিয়ে যদি ছিনিমিনি খেলা হয় তাহলে আমরা মানব না। আমি গাজীপুরের গার্মেন্টস কর্মী মালিক ও জনগণকে বলব যদি ছিনিমিনি হয় তাহলে আপনারা প্রতিবাদ করবেন।’

প্রত্যেক আসনে তারা জয় লাভ করেছেন বলেও জানান জাহাঙ্গীর। তিনি বলেন, ‘ইভিএমে ভোট শেষ হয়েছে ৪টায়। এতক্ষণ ফলাফল দিতে লাগে না। অনেক কেন্দ্রের কাউন্সিলরদের ফলাফল দেওয়া হয়েছে।’

জাহাঙ্গীর বলেন, ‘মেশিনের সফট কপি আমাকে দিতে হবে। দরকার হলে সিসিটিভির ফুটেজ দেখব। আমি নির্বাচন কমিশনকে সহায়তা করতে চাই।’

সরকারের লোকদের আহ্বান জানিয়ে জাহাঙ্গীর বলেন, ‘এই জায়গায় নির্বাচন নিয়ে যেন কোন ছিনিমিনি খেলা না হয়। প্রধানমন্ত্রীর কাছে আমি ন্যায় বিচার পাব বলে আশা করছি। আজ জনগণ তার প্রমাণ দিয়েছে।’

এবার গাজীপুর সিটি করপোরেশন নির্বাচনে ভোটযুদ্ধে অংশ নেন ৩৩৩ জন প্রার্থী। এরমধ্যে মেয়র পদে ৮ জন, সাধারণ কাউন্সিলর পদে ২৪৬ জন ও সংরক্ষিত ওয়ার্ড কাউন্সিলর পদে ৭৯ জন প্রার্থী রয়েছেন।

মেয়র পদে আওয়ামী লীগের প্রার্থী হিসেবে নৌকা প্রতীক নিয়ে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেন অ্যাডভোকেট মো. আজমত উল্লা খান, জাতীয় পার্টির প্রার্থী হিসেবে লাঙ্গল প্রতীকে এম এম নিয়াজ উদ্দিন, গণফ্রন্টের প্রার্থী হিসেবে মাছ প্রতীকে আতিকুল ইসলাম, ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের প্রার্থী হাতপাখা প্রতীকে গাজী আতাউর রহমান ও জাকের পার্টির প্রার্থী হিসেবে গোলাপ ফুল প্রতীক নিয়ে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেন মো. রাজু আহম্মেদ।

এছাড়া তিনজন স্বতন্ত্র প্রার্থী রয়েছেন। তারা হলেন- টেবিলঘড়ি প্রতীকে সাবেক মেয়র জাহাঙ্গীর আলমের মা জায়েদা খাতুন, ঘোড়া প্রতীকে মো. হারুন-অর-রশীদ ও হাতি প্রতীক নিয়ে লড়েন সরকার শাহনুর ইসলাম।

গাজীপুর সিটি করপোরেশনে মোট ভোটার ১১ লাখ ৭৯ হাজার ৪৬৩ জন। এর মধ্যে পুরুষ ভোটার ৫ লাখ ৯২ হাজার ৭৪৭ জন, নারী ভোটার ৫ লাখ ৮৬ হাজার ৬৯৮ জন ও তৃতীয় লিঙ্গের ভোটার আছে ১৮ জন।

আপনার মন্তব্য

আলোচিত