সিলেটটুডে ডেস্ক

২৬ মে, ২০২৩ ০১:১৪

গাজীপুর সিটিতে স্বতন্ত্র প্রার্থী জায়েদা নির্বাচিত

ছবি: সংগৃহীত

গাজীপুর সিটি করপোরেশন নির্বাচনে মেয়র নির্বাচিত হয়েছেন স্বতন্ত্র প্রার্থী জায়েদা খাতুন।

বৃহস্পতিবার রাতে গাজীপুর জেলা পরিষদের ভবনের বঙ্গতাজ মিলনায়তনে এ নির্বাচনের ‘ফলাফল সংগ্রহ ও পরিবেশন কেন্দ্র’ থেকে রিটার্নিং কর্মকর্তা মো. ফরিদুল ইসলাম জায়েদা খাতুনকে নির্বাচিত ঘোষণা করেন।

মোট ৪৮০টি ভোটকেন্দ্রের প্রাপ্ত ফলাফলে জায়েদা খাতুন পান ২ লাখ ৩৮ হাজার ৯৩৪ ভোট। তাঁর নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী আওয়ামী লীগের প্রার্থী আজমত উল্লাহ খান পান ২ লাখ ২২ হাজার ৭৩৭ ভোট।

ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের প্রার্থী গাজী আতাউর রহমান পেয়েছেন ৪৫ হাজার ৩৫২ ভোট।

আওয়ামী লীগের মনোনয়ন না পেয়েই মূলত জাহাঙ্গীর তার মা জায়েদা খাতুনকে প্রার্থী করেন। অবশ্য তিনি নিজেও মনোনয়নপত্র জমা দিয়েছিলেন। কিন্তু ঋণখেলাপির জামিনদার হওয়ায় তাঁর প্রার্থিতা শেষ পর্যন্ত বাতিল হয়ে যায়। পরে আওয়ামী লীগ থেকেও বহিষ্কৃত হন তিনি।

এরআগে বৃহস্পতিবার (২৫ মে) সকাল ৮টা থেকে বিরতিহীন ভাবে চলে ভোটগ্রহণ। নির্বাচনে কারচুপি কিংবা কোনোধরনের অপ্রীতিকর ঘটনার অভিযোগ করেনি প্রতিদ্বন্দ্বী কোনো পক্ষ।

নির্বাচনে ভোটার ছিল ১১ লাখ ৭৯ হাজার ৪৭৬ জন। এদের মধ্যে পাঁচ লাখ ৯২ হাজার ৭৬২ জন পুরুষ ও পাঁচ লাখ ৮৬ হাজার ৬৯৬ জন নারী এবং ১৮ জন রয়েছে তৃতীয় লিঙ্গের ভোটার।

নির্বাচনে ৫৭টি ওয়ার্ডে ৪৮০টি ভোট কেন্দ্রের ৩ হাজার ৪৯৭টি কক্ষে ভোট গ্রহণ কার্যক্রম চলে। কেন্দ্রে কেন্দ্রে ছিল সিসি ক্যামেরা। এগুলো ঢাকা থেকে মনিটরিং করা হয়। মোট ৪ হাজার ৪৩৫টি সিসি ক্যামেরার মাধ্যমে নির্বাচন পর্যবেক্ষণ করা হয়।

এবার গাজীপুর সিটি করপোরেশন নির্বাচনে ভোটযুদ্ধে অংশ নেন ৩৩৩ জন প্রার্থী। এরমধ্যে মেয়র পদে ৮ জন, সাধারণ কাউন্সিলর পদে ২৪৬ জন ও সংরক্ষিত ওয়ার্ড কাউন্সিলর পদে ৭৯ জন প্রার্থী রয়েছেন।

মেয়র পদে আওয়ামী লীগের প্রার্থী হিসেবে নৌকা প্রতীক নিয়ে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেন অ্যাডভোকেট মো. আজমত উল্লা খান, জাতীয় পার্টির প্রার্থী হিসেবে লাঙ্গল প্রতীকে এম এম নিয়াজ উদ্দিন, গণফ্রন্টের প্রার্থী হিসেবে মাছ প্রতীকে আতিকুল ইসলাম, ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের প্রার্থী হাতপাখা প্রতীকে গাজী আতাউর রহমান ও জাকের পার্টির প্রার্থী হিসেবে গোলাপ ফুল প্রতীক নিয়ে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেন মো. রাজু আহম্মেদ।

এছাড়া তিনজন স্বতন্ত্র প্রার্থী রয়েছেন। তারা হলেন- টেবিলঘড়ি প্রতীকে সাবেক মেয়র জাহাঙ্গীর আলমের মা জায়েদা খাতুন, ঘোড়া প্রতীকে মো. হারুন-অর-রশীদ ও হাতি প্রতীক নিয়ে লড়েন সরকার শাহনুর ইসলাম।

যেকোন ধরনের অপ্রীতিকর ঘটনা মোকাবিলায় প্রস্তুত ছিল আইনশৃঙ্খলা বাহিনী। ৫৭টি ওয়ার্ডে ৭৪ জন ম্যাজিস্ট্রেট। র‌্যাবের ৩০টি টিম ও বিজিবির প্রায় ১৩টা প্লাটুন সদস্য। এছাড়া স্ট্রাইকিং ফোর্স পুলিশের ১৯টি ও মোবাইল টিম হিসেবে ৫৭টি টিম তৈরি ছিল। তবে নির্বাচনে বড় ধরনের কোনো সহিংসতার খবর পাওয়া যায়নি।

রিটার্নিং অফিস সূত্রে জানা গেছে, গাজীপুর সিটি করপোরেশন নির্বাচন সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তা এবং আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্য মিলিয়ে প্রায় ২০ হাজার সদস্য নির্বাচনী কাজে নিয়োজিত ছিল। নির্বাচনে একজন মেয়র, ৫৭টি সাধারণ ওয়ার্ডে ৫৭ জন সাধারণ কাউন্সিলর ও ১৯টি সংরক্ষিত ওয়ার্ডে ১৯ জন নারী কাউন্সিলর নির্বাচিত হবে। অবশ্য এদের মধ্যে একজন সাধারণ কাউন্সিলর বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় নির্বাচিত হয়েছেন।

আপনার মন্তব্য

আলোচিত