নিউজ ডেস্ক

২৩ ফেব্রুয়ারি , ২০১৫ ১৩:২২

মান্নার ষড়যন্ত্রমূলক অডিও ফাঁস: লাশ চান, জেনারেলদের সাথে কথা বলতে চান

সংলাপ না করলে ওয়ান-ইলেভেনের হুমকি দিয়ে আলোচিত রাজনীতিক মাহমুদুর রহমান মান্না সেনা হস্তক্ষেপে ভূমিকা রাখতে আগ্রহ প্রকাশ করেছেন বলে ফাঁস হয়ে যাওয়া একটি অডিও ক্লিপের কথোপকথনে স্পষ্ট হয়ে উঠেছে।

অডিও ক্লিপসগুলো নিয়ে রিপোর্ট করেছে বিডিনিউজ২৪ ডট কম। এরপর এই সংবাদটি টক অব দ্যা কান্ট্রিতে রূপ নেয়। অনলাইন-অফলাইনে বইছে সমালোচনার ঝড়। অনেকেই একে রাষ্ট্রদ্রোহিতার সমতূল্য আখ্যা দিয়ে মান্নাকে গ্রেফতারের দাবি জানিয়েছেন।

এর আগে অন্য এক অডিও কথোপকথনে মান্না বিশ্ববিদ্যালয়ে লাশ ফেলার বিষয়ে সাদেক হোসেন খোকার সঙ্গে আলাপ করে বলেন আন্দোলনের এই পর্যায়ে বিশ্ববিদ্যালয়ে লাশ ফেলতে হবে।  

অজ্ঞাত এক ব্যক্তির সঙ্গে ফোনালাপে এই আগ্রহ প্রকাশ করেন তিনি, যে ব্যক্তি নিজেকে এক/এগারোর সঙ্গে ঘনিষ্ঠভাবে যুক্ত বলে দাবি করেন। সংলাপে সেনাবাহিনীর উচ্চপদস্থ দুই কর্মকর্তার সঙ্গে বৈঠকের পরিকল্পনাও করা হয়। কথোপকথনের অডিও বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমের হাতে রয়েছে। এ বিষয়ে জানতে চাইলে সরাসরি অস্বীকার না করে মান্না বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেন, ‘আমি ঠিক মনে করতে পারছি না।’

চলমান রাজনৈতিক পরিস্থিতি নিয়ে জাতীয় সংলাপের অন্যতম উদ্যোক্তা রাজনীতিবিদ মাহমুদুর রহমানকে একটি অডিও ক্লিপে বিএনপি নেতা সাদেক হোসেন খোকাকে বিশ্ববিদ্যালয়ে হত্যাকাণ্ড ঘটানোর কথা বলতে শোনা গেছে বলেও বিডিনিউজের অন্য একটি খবরে দাবি করা হয়েছে। ২৩ ফেব্রুয়ারি সোমবার বিকেলে রাজধানীতে মান্না নেতৃত্বাধীন নাগরিক ঐক্য আয়োজিত গণমিছিলের পরিকল্পনা নিয়ে দুই নেতার মধ্যে কথা হয়েছে বলে ওই অডিও টেপে শোনা যায়।

বিএনপি-জামায়াত জোটের চলমান আন্দোলন নিয়ে দুই নেতার দীর্ঘ কথোপকথন রয়েছে ওই টেপে। বিএনপি নেতা খোকা আট মাস ধরে যুক্তরাষ্ট্রে রয়েছেন। টেপ বিষয়ে মান্নার কাছে জানতে চাইলে তিনি বিষয়টি সরাসরি অস্বীকার না করে বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেন, ‘খোকা ভাইয়ের সঙ্গে আমার মাঝে মাঝে কথা হয়। তিনিই আমাকে ফোন করেন।’

কথোপকথনের অংশ বিশেষ

অজ্ঞাত: জি ভাইয়া শুনতে পাচ্ছেন এবার?
মান্না: আমিতো শুনতে পাচ্ছি। আমি বলছি, তোমার এটাতে ভাইবার আছে না?
অজ্ঞাত: জি জি আছে ভাইয়া, ভাইবার আছে।
মান্না: তাহলেতো আমি ভাইবার থেকেই করেছি। আমার ভাইবারেইতো যাবে।
অজ্ঞাত: জি জি, বলেন ভাইয়া।
মান্না: আছো কেমন তুমি?
অজ্ঞাত: জি আমি ভালো আছি। আপনার শরীর কেমন ভাইয়া?
মান্না: আমি ভালো আছি, থ্যাংক ইউ।
অজ্ঞাত: বলেন ভাইয়া, কি খবর? কোন দিকে যাচ্ছে?
মান্না: রিলেটিভলি পাবলিকের সাপোর্টের দিকে বিএনপি এগিয়ে আছে। কিন্তু এগুচ্ছে না কোনদিকে।
অজ্ঞাত: মেরুকরণ দিতে পারছে নাতো ভাইয়া।
মান্না: হ্যাঁ সেটা পারবেও না বোধহয়।
অজ্ঞাত: পারবেও না। বাট ওই যে ওইদিকে কিন্তু উত্তরপাড়া কিন্তু গরম হচ্ছে।
মান্না: আর কি, গরম আর কবে হবে? যা হয়ে গেছে দেশে এর থেকে বেশি কিছুতো আর হতে পারবে না।
অজ্ঞাত: সাপোর্টটা ছিল না যে।
মান্না: এখনতো আছেই।
অজ্ঞাত: এখন মনে হয়, একটা দিকে... আপনার সাথে যোগাযোগগুলো আছে না ভাইয়া?
মান্না: না আমার সাথেতো কারো কোন যোগাযোগ নেই।
অজ্ঞাত: উড ইউ লাইক টু?
মান্না: হু?
অজ্ঞাত: উড ইউ লাইক টু? ডু ইউ ওয়ান্ট কল ইউ?
মান্না: আমারতো অন্তত বুঝতে হবে বিষয়টা। সেটাতো আমি চাই।
অজ্ঞাত: আপনি যদি কথাবার্তা না বলেন তাহলে কিভাবে বুঝবেন ভাইয়া? কথাবার্তা বলে আপনার কিছু একটা তাদের কিছু একটা দেখেন। ইউ হ্যাভ সিন দ্য ওয়ার্ল্ড। ইউ হ্যাভ সবার সব কিছু দেখছেন। আমি আপনার অনেক ছোট। বাট দেশে পরিবর্তন আসতে চাইলে আমার মনে হয়, আপনার কথা বলা দরকার। উনারাই আপনার সঙ্গে যোগাযোগ...
মান্না: হ্যাঁ করলেতো আমি করবো।
অজ্ঞাত: ওকে ঠিক আছে। আমি তাহলে আপনাকে একজনকে দিয়ে কল করাবো। আপনি জিওসি লেভেলে কল করাবো? না আরেকটু সিনিয়র?
মান্না: বুঝিনি, কথাটা শুনতে পাইনি।
অজ্ঞাত: জিওসি লেভেল থেকে কল করাবো? দুই চার পাঁচজনের মধ্যে? না আরেকটু সিনিয়র কাউকে দিয়ে করাবো?
মান্না: জুনিয়র সিনিয়রতো একটা ব্যাপার আছে। তার চেয়ে বড় কথা হচ্ছে ইফেক্টিভ যারা। এন্ড হু আন্ডারস্ট্যান্ড হু নোজ, এ রকম হলে ভালো। মানে যার সাথে শেয়ার করা যাবে। যিনি আমাকে এনলাইটেন করতে পারবেন। মে বি আমিও তাকে বুঝতে পারবো। বোঝাতে পারবো।
অজ্ঞাত: আচ্ছা ঠিক আছে ভাইয়া।
মান্না: আর এটাতো সবাই সবাইকে বলতেও চায় না। সে রকম হতে হবে।
অজ্ঞাত: ভাইয়া আমার সম্বন্ধে নাম বদনাম অনেক কিছু শুনেছেন।...আপনি আমাকে ট্রাস্ট করেছেন। আই লাইক টু থ্যাংক ইউ ফর দ্যাট। আমার সঙ্গে আপনার কখনো দেখা হয়নি কখনো। ইনশাআল্লাহ আপনাকে একজন কল করবে। হি ইজ নট সার্ভিং, মানে রিটায়ার্ড। কিন্তু এখানে দুইজন সার্ভিং থাকবে, আপনার সাথে কথা বলার জন্য। ঠিক আছে ভাইয়া।
অজ্ঞাত: সার্ভিং দে আর. একজন ইনটেন্ডিং টু বি লেফটেন্যান্ট জেনারেল। আর আরেকজন অলরেডি লেফটেন্যান্ট জেনারেল। আপনি কথা বলে দেখেন, আপনার কি চান, কি শেয়ার করেন, কথা বলে দেখেন কোথায় যায়।
অজ্ঞাত: ভাইয়া ইউ মাস্ট টেক সাম স্টেপস। গৎবাঁধা বিএনপি-টিএনপি এগুলো দিয়ে কিছু হবে না ভাইয়া।
মান্না: এখন তুমি যার কথা বললে, উনি কি তোমার ওই এলাকার দিকে ছিলেন?
অজ্ঞাত: আপনি আরেকবার বুঝিয়ে বলেন দেখি
মান্না: মানে তুমি এখন যেখানে আছ বা মাঝে মাঝে যাও-আসো। ও রকম কোনো জায়গায় ছিলেন তিনি? বা আছেন?
অজ্ঞাত: অস্ট্রেলিয়াতে তিনি ছিলেন। ওই ভাইয়াটা, আপনাকে বলছিলাম নাম। উনিতো থাকবেনই। উনার সঙ্গে যারা একদম সার্ভিং আছেন, দুইজন জিওসি থাকলো। প্রয়োজনে ওনারা ওখান থেকে আপনার সাথে চিফের সাথে কথা বলায়া দিবে।
অজ্ঞাত: দিজ আর দ্য গাইস, আই ট্রাস্ট ভাইয়া, হু? দে আর বিং মাই এল্ডার ব্রাদার ফর লং টাইম। ওয়ান ইলেভেন গতবারের একটা পর্যন্ত বের হওয়ার ব্যাপারে আমরা সাহায্য করেছিলাম। বাট রুমী ভাই... মধ্যে একটু ডিফারেন্স হয়ে গেলো, আর ওখানে বারী সাহেবের সাথে আমার ডাইরেক্ট একটা কনফ্লিক্ট ছিল। ওই সময়ে আমি অসুস্থ হয়ে পড়লাম, আমার সার্জারি হলো। ওই সময়ে আমার এসব ঘটনাতে গেমটা অন্য দিকে চলে গেলো। বাট ইট ইজ এ.. স্টোরি অল টুগেদার।
অজ্ঞাত: এদের সাথে আমার সম্পর্কটা ডাইরেক্ট ছোট ভাই বড় ভাই। আমার সাথে কোনো লেনদেন.. সম্পর্ক নাই। এরা দেশে পরিবর্তন আনতে চায়, চেষ্টা করতে চায়। একটা সময়ে. আমি ইউজড হয়েছি। টেকনাফ থেকে তেঁতুলিয়া, পাহাড় থেকে নিয়ে সব জায়গায় আমি কাজ করেছি। এদের একটা রং ধারণা ছিলো আমার সাথে।
অজ্ঞাত: একটা ব্যাপারে আমার দুইটা ছেলে বলছে.. আমার দুইটা ছেলে বারী সাহেবের ওখানে..আমি বল্লাম দেখেন, যখন বর্ডারে আপনারা কিছু করেন, তখন নেক্সট ডে পেপারে আসে। ইউ আর ন্যাশনাল হিরো।
অজ্ঞাত: সেম আমিও একটা প্যারালাল গবর্নমেন্ট চালানোর চেষ্টা করেছিলাম। অনেক বছর ধরে। অন্তত কর্পোরেট ওয়েতে একটা ছাতির নিচে আমি নিয়ে আসছিলাম। ধরে রাখতে পারিনি হয়তো, আমার পারদর্শিতা, দূরদর্শিতার অভাবে। বাট আই ট্রাইড।
অজ্ঞাত: তখন ৪০-৫০টা এমপি নিয়ে আমি অনেক কিছু ম্যানিপুলেট করছি। আমি তাদের নমিনেশন থেকে নিয়ে সব ব্যবস্থা করেছি। আমি কিছু করলে.. আর আপনারা কিছু করলে বা র‌্যাবের একটা অফিসার কিছু করলে..
অজ্ঞাত: আপনাদের ভিশন ক্লিয়ার করতে হবে। ইউ সি হোয়াট আই ডিড। ইফ ইউ লাইক ইট, ইউ ক্যান গো অলং। আপনারা আমাকে ইউটিলাইজ করেন, দেশের পারপাসে। অন্য কোনো পারপাসে নয়। আই এম নট দেয়ার ফর মানি। তারপর থেকে একটা রিলেশনশিপ গ্রো হইছে।
অজ্ঞাত: এখন ইনশাল্লাহ রানিং ১৯ জনের মধ্যে ১২ জনের সঙ্গে আমি সরাসরি কথা বলি। অ্যাটলিস্ট ইউ ক্যান টক টু দেম। আপনি কথা বললে ক্লিয়ার হবে। ইফ ইউ আর ক্লিয়ার তাহলে আমি নাম্বার দিয়ে দিবো আপনাকে। দিলে আপনি কথাবার্তা বলেন ওনাকে। ইউ উইল রিসিভ এ কল বাই টুমোরো টুয়েলভ। ঠিক আছে ভাইয়া?
অজ্ঞাত: একটা রেস্টুরেন্ট-টেস্টেুরেন্টে গিয়ে কথা বললেন। ওনাদের কোন কনফিডেন্সিয়াল জায়গায় গেলেন, কথা বললেন বা আপনি কোথাও ডাকলেন, সেখানে আসলো।
মান্না: কল দিতেতো আমি ভয় পাই।
অজ্ঞাত: জি জি আপনাকে তাহলে ভাইবারেই আপনাকে আমি যেখানে থাকি, এখানকার অস্ট্রেলিয়ার একটা নাম্বার থেকে ভাইবারে কথা হবে। ঠিক আছে ভাইয়া?
মান্না: ওকে।
অজ্ঞাত: আর ভাইয়া, পাশের দেশের সাথে আপনার একটা যোগাযোগ মনে হয় আছে, ওটা কতটুকু রাখছেন ধরে, ভাইয়া ওটা।
মান্না: ওইটা সলিড কিছু না। ওইদিক থেকে এসেছিলো, আই হ্যাভ লিসেন টু দেম। ২০০১ এর এইটুকুই।
অজ্ঞাত: একাডেমির?
মান্না: ইয়াহ, পলিটিকাল একাডেমির।
মান্না: কিন্তু একটা জিনিস হয়েছে, আমি বলেছিলাম, দ্য ওয়ে ইট ইজ বিং এডমিনিস্টার্ড, ইট ইজ বিয়িং রান, ফান্ডামেন্টালিস্ট অ্যান্ড এই টাইপের এরা, দে উইল সারফেস, দে উইল গেইন মোস্টৃ। বিকজ যে রকম করে সাপোর্ট দিচ্ছে। এটা এই দিকেই যাবে। তখন তারা মানে নাই। কিন্তু পরের দিকে তাদের মনে হয়েছে, এই কথাটাই ঠিক। এইটুকুই
অজ্ঞাত: আমাকে গত চারদিন আগে হঠাৎ করে ইন্দোনেশিয়ায় ডাকছিলো। আমি গেলাম ওখানে। অনেকদিন পরে মানে এখন যারা সেখানে পাওয়ারে তাদের সঙ্গে আমার একটা পার্সোনাল সম্পর্ক ছিল, দুই তিন জনের সাথে। যখন আই টুক স্কলারশিপ ফ্রম ইন্ডিয়া আমি আমেরিকা গেলাম। কিন্তু আমিতো ইন্ডিয়া ছিলাম। তখন আমার কিছু বন্ধু ছিলো। তাদের বাবারাওনাদের মাধ্যমেই এদের সাথে সম্পর্কটা হইছে আর কি।

উল্লেখ্য, একসময়ের বামধারার ছাত্রনেতা ডাকসুর সাবেক ভিপি মাহমুদুর রহমান মান্না আশির দশকে যোগ দেন আওয়ামী লীগে।

২০০৭ সালে ওয়ান-ইলেভেন পরবর্তী সেনা সমর্থিত তত্ত্বাবধায়ক সরকারের সময় আওয়ামী লীগের সংস্কারপন্থী হিসেবে পরিচিতি পান। ওই সময় তিনি ছিলেন দলের সাংগঠনিক সম্পাদক।

২০০৮ সালে নির্বাচনের পর দল থেকে পদ হারান মান্না। এরপর গত মহাজোট সরকার আমলে তিনি নাগরিক ঐক্য গঠন করেন।

গত ০৫ জানুয়ারি নির্বাচনের আগ পর্যন্ত মান্নার উল্লেখযোগ্য কোন রাজনৈতিক কর্মকাণ্ড দেখা না গেলেও গতবছরের মাঝামাঝি সময়ে এক অনুষ্ঠানে ড. কামাল হোসেনকে সঙ্গে নিয়ে ‘মাঠে নামার’ ঘোষনা দেন তিনি।

ওই অনুষ্ঠানে তিনি বলেছিলেন, “বিএনপি রোজার পর আন্দোলন করবে। রোজার পর আমরাও মাঠে থাকব। আমাদের অভিভাবক ড. কামাল হোসেন আমাদের সাথে থাকবেন।”

মূলত ওই সময় থেকেই গণফোরামের সভাপতি ড. কামাল হোসেন, জাতীয় সমাজতান্ত্রিক দল (জেএসডি) এর সভাপতি আ স ম আব্দুর রব, কৃষক শ্রমিক জনতা লীগের সভাপতি কাদের সিদ্দিকী, বিকল্পধারা বাংলাদেশ ও সিপিবি-বাসদের সঙ্গে জোট করে তৃতীয় শক্তি গঠনের উদ্যোগের কথা জানিয়েছিলেন মান্না।

সম্প্রতি বিএনপির টানা হরতাল অবরোধের মধ্যে সুশীল সমাজের একাংশকে নিয়ে ‘উদ্বিগ্ন নাগরিক’ নামের একটি মঞ্চ গঠন করেন কামাল-মান্না ।

এই মঞ্চ থেকে বিএনপির সঙ্গে আগাম নির্বাচন বিষয়ে সংলাপের চিঠি প্রদানসহ একাধিকবার সংবাদ মাধ্যমে আহ্বান জানান মান্না, কামাল ও কাদের সিদ্দিকী।

 

 

ভিডিও :

আপনার মন্তব্য

আলোচিত