নিজস্ব প্রতিবেদক

২৩ ফেব্রুয়ারি , ২০১৫ ১৬:১৩

মান্নার ষড়যন্ত্রমূলক অডিও: ফেসবুকে আত্মপক্ষ সমর্থন

আত্মপক্ষ সমর্থন করে নিজের বক্তব্য ফেসবুকে প্রকাশ করলেও টেলিফোনে কথোপকথনটি তাঁর নয় এমন কথা বলেননি মাহমুদুর রহমান মান্না।

এক ফেসবুক স্ট্যাটাসে মান্না জানান- এ আন্দোলনে এখনও ছাত্ররা অগ্রণী ভূমিকা পালন করতে পারে। এ জন্যই বিশ্ববিদ্যালয় গুলোতে ছাত্র আন্দোলন প্রতিষ্ঠিত ও বিস্তৃত করতে হবে। এটা করতে গিয়ে যদি পুলিশি বা সন্ত্রাসী হামলায় দু’চার জনের জীবনও যায় কিছু করার নেই। এমনিতেই তো মানুষ মরছে।

বিডিনিউজ২৪ ডট কমে প্রকাশিত ফাঁস হওয়া এক অডিওবার্তায় দেখা যায় মাহমুদুর রহমান মান্না সাদেক হোসেন খোকার সঙ্গে আলাপকালে বিশ্ববিদ্যালয়ে লাশ ফেলার ইঙ্গিত দিয়েছেন এবং অপর এক অডিওতে দেখা যায় অজ্ঞাত এক ব্যক্তির সঙ্গে আলাপকালে তিনি জেনারেলদের সঙ্গে কথা বলতে চান, যেখানে সরকার উৎখাতের পরিকল্পনা ছিল। এ নিয়ে ফেসবুকসহ সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ব্যাপক সমালোচনার ঝড় বইছে।

মাহমুদুর রহমান মান্না ছিলেন এক সময়কার বামপন্থী রাজনীতিবিদ। পরে আওয়ামিলীগে যোগ দিয়ে দলের সাংগঠনিক সম্পাদক হন। 

২০০৭ সালে ওয়ান-ইলেভেন পরবর্তী সেনা সমর্থিত তত্ত্বাবধায়ক সরকারের সময় আওয়ামী লীগের সংস্কারপন্থী হিসেবে পরিচিতি পান মান্না, যিনি ওই সময় দলের সাংগঠনিক সম্পাদক ছিলেন। নির্বাচনের পর দলীয় পদ হারিয়ে গত মহাজোট সরকারের সময়ে তিনি নাগরিক ঐক্য গঠন করেন।

মাহমুদুর রহমান মান্না তাঁর ফেসবুক স্ট্যাটাসে লিখেন-
সামগ্রিক ঘটনায় আমি বিস্মিত, দুঃখিত, মর্মাহত। এ পর্যন্ত আমার রাজনীতি জীবনে কখনও সহিংসতা, ষড়যন্ত্রকে প্রশ্রয় দেই নি। আমার অতীত ইতিহাস সাক্ষ্য দেবে। যে দুটো সাক্ষাৎকার ছেপেছে পাঠকদের অনুরোধ করবো যেন ভালো করে সেটা শোনা এবং পড়ে দেখার। কোথাও কোনো ষড়যন্ত্রের গন্ধ নেই, উস্কানি নেই। সাদেক হোসেন খোকার সঙ্গে কথা হয়েছে আলাপচারিতার মতো আন্দোলনের প্রসঙ্গ এসেছে আমি বলেছি, গণতন্ত্রের দাবিতে আমি আন্দোলনে সমর্থন করি। সহিংসতা সমর্থন করিনা। এ থেকে বেড়িয়ে আসার জন্যে ব্যাপক জনগণকে সংযুক্ত করার চেষ্টা করা উচিত। সহিংসতা দায়িত্ব নিয়ে বর্জন করা উচিত। এ আন্দোলনে এখনও ছাত্ররা অগ্রণী ভূমিকা পালন করতে পারে। এ জন্যই বিশ্ববিদ্যালয় গুলোতে ছাত্র আন্দোলন প্রতিষ্ঠিত ও বিস্তৃত করতে হবে। এটা করতে গিয়ে যদি পুলিশি বা সন্ত্রাসী হামলায় দু’চার জনের জীবনও যায় কিছু করার নেই। এমনিতেই তো মানুষ মরছে। আমার এই বক্তব্যকে বিকৃতভাবে ব্যাখ্যা করা হয়েছে। যেন আমি লাশ চাই। একইভাবে সেনাবাহিনীর কোনো কোনো কর্মকর্তা আমার সাথে কথা বলতে আগ্রহী হলে বলব কি না সে কথা জানতে চাইলে, আমি বলেছি রাজি আছি। আমি রাজনীতি করি সবার সঙ্গে কথা বলতে হয়। এটা থেকে এক এগারো বা সামরিক কু’য়ের ষড়যন্ত্রের আবিষ্কার হয় কিভাবে? যেখানে এরকম কোনো বৈঠকই হয়নি।

দেশের এই যুগসন্ধিক্ষণে কারও চরিত্র হননের কাজ সংকটকে আরও ঘণিভূতই করবে। আমি আশা করি সবাই শুভ বুদ্ধিতে জাগ্রত হবেন এবং এই সংকটকে ইতিবাচকভাবে মোকাবিলা করবেন।

 

 

 

আপনার মন্তব্য

আলোচিত