নিউজ ডেস্ক

০৩ জানুয়ারি, ২০১৫ ১৪:১২

ডিএমপি কমিশনার ব্যস্ত: আটকে আছে বিএনপির সমাবেশ ভাগ্য

বিএনপির হাতে আছে মাত্র এক দিন। এদিকে ডিএমপি কমিশনারের সাক্ষাৎ পাচ্ছে না তারা। তবে বিএনপি ঘোষণা দিয়ে রেখেছে যে কোন মূল্যে সমাবেশ করবেই


 অনুমতি চাওয়ার দুই সপ্তাহ পরও বিএনপির সমাবেশের অনুমতি দেয়নি ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশ। ফলে ঝুলে আছে বিএনপির সমাবেশ অনুমতি। এদিকে দুই দফা পুলিশ কার্যালয়ে গিয়েও দেখা পাননি পুলিশ কমিশনারের। এদিকে অনুমতি না পেলেও সমাবেশের ঘোষণা দিয়েছে বিএনপি। বাড়ছে উত্তাপ, উত্তেজনা, আতংকে জনগণ।



দশম সংসদ নির্বাচনের বর্ষপূর্তির দিনটি গণতন্ত্র হত্যা দিবস হিসেবে পালনের ঘোষণা দেওয়া বিএনপি ৫ জানুয়ারি পুলিশের অনুমতি না পেলেও সমাবেশের ঘোষণা দিয়েছে। এদিকে  একই দিন রাজপথে থাকার ঘোষণা দিয়ে ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগের নেতাদের বক্তব্যে এক বছর পর বাংলাদেশে আবার রাজনৈতিক সংঘাতের আশঙ্কা দেখা দিয়েছে।



জানা যায়, ডিএমপি কমিশনার বেনজীর আহমেদ নতুন আইজিপির সাথে টুঙ্গিপাড়া ছিলেন। তিনি আবার র‍্যাবের মহাপরিচালক হিসেবে নিয়োগ পেয়েছেন। বেনজীরের জায়গায় নিয়োগ পেয়েছেন আছাদুজ্জামান মিঞা কিন্তু তিনি এখনও দায়িত্ব গ্রহণ করেননি। ফলে তার পক্ষে সম্ভব না সমাবেশের অনুমতি সংক্রান্ত সিদ্ধান্ত দেওয়া। 



১ জানুয়ারিতে ডিএমপি কার্যালয়ে গিয়ে ফেরত আসতে হয়েছিল বিএনপি প্রতিনিধি দলকে কারণ কমিশনার ব্যস্ত ছিলেন আইজিপির প্রটোকলে। ৩ জানুয়ারিতে তাদের বিফল হতে হয় তখনকার অজুহাত ইজতেমার প্রস্তুতি। 



এদিকে সমাবেশের অনুমতি না পেলেও বিএনপি সোহরাওয়ার্দি উদ্যানে মহাসমাবেশ করবে বলে ঘোষণা দিয়েছে। ২ জানুয়ারি মরহুম জিয়াউর রহমানের মাজার জিয়ারত শেষে সাংবাদিকদের সাথে আলাপকালে মঈন খান বলেন- পাঁচ তারিখে মহাসমাবেশ হবে। আওয়ামীলীগ জন্মলগ্ন থেকেই রাজপথে নেতিবাচক কর্মসূচি পালন করে আসছে। বর্তমানঅবস্থা তারই ধারাবাহিকতা।



সোহরাওয়ার্দী উদ্যান, নয়া পল্টনের কার্যালয়ের সামনের সড়ক অথবা মতিঝিলের শাপলা চত্বর- এই তিন স্থানের যে কোনো একটিতে জনসভার জন্য গত ২২ ডিসেম্বর বিএনপির পক্ষ থেকে অনুমতি চেয়ে ডিএমপিতে আবেদন করা হয়। 



একই দিন গণতন্ত্র রক্ষা দিবস উপলক্ষে রাজধানীর ১৬টি স্থানে সমাবেশ করার ঘোষণা দিয়েছে আওয়ামীলীগের নেতৃত্বাধীন ১৪ দল।

 

আপনার মন্তব্য

আলোচিত