সিলেটটুডে ডেস্ক

২৩ মে, ২০১৬ ২৩:০০

‘শেখ মুজিবের কবর টুঙ্গিপাড়ায় নিয়ে যাওয়া অন্যায় হয়েছে’

বিএনপি ঘরানার পেশাজীবী হিসেবে পরিচিত গণস্বাস্থ্য কেন্দ্রের প্রতিষ্ঠাতা পরিচালক জাফরুল্লাহ চৌধুরী জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানকে তাঁর গ্রামের বাড়ি গোপালগঞ্জের টুঙ্গীপাড়ায় কবর দিয়ে ‘অন্যায়’ করা হয়েছে বলে মনে করছেন।

বঙ্গবন্ধুর কবর রাজধানীতে স্থানান্তরের যৌক্তিকতা তুলে ধরে সোমবার জাতীয় প্রেস ক্লাবের ভিআইপি লাউঞ্জে সদ্যপ্রয়াত সাংবাদিক সাদেক খান স্মরণে আয়োজিত সভায় তিনি বলেন, “আমার মনে হয় ৭৫ সালে সামরিক বাহিনীর যারা ক্ষমতার নিয়ন্ত্রণ নিয়েছিলেন, তারা অত্যন্ত একটা ভুল করেছিলেন, তারা অন্যায় কাজও করেছিলেন।

“তা হচ্ছে শেখ মুজিবুরকে টুঙ্গীপাড়ায় নিয়ে যাওয়া। আজকে যদি এখানে তাঁর (শেখ মুজিবুর রহমান) কবর থাকতো তাহলে হাজার হাজার মানুষের জিয়ারত পেতেন। আর তা না হলে কী হয়, দলীয় লোকের লোক দেখানো হাজিরা পায়।”

১৯৭৫ সালের ১৫ অগাস্ট রাজধানীর ধানমণ্ডির বাড়িতে হামলা চালিয়ে বঙ্গবন্ধুকে সপরিবারে হত্যা করে সেনাবাহিনীর একদল কর্মকর্তা ও সৈনিক। তাকে দাফন করা হয় টুঙ্গীপাড়ায়।

সভায় জাফরুল্লাহ বলেন, “একজন জাতীয় নেতাকে ছোট করার অধিকার আমাদের কারও নাই। আমার কাছে মনে হয়, এসব জায়গাতে বরঞ্চ খুব সহজে সবাই যাতে তার দর্শন পায়, সেরকম জায়গাতে কবর ... ।

“ঢাকা থেকে অন্য জায়গায় কবর নেওয়ার প্রয়োজনীয়তা আমি দেখি না। বরং এখানে নিয়ে আসাটা হবে যুক্তিসঙ্গত কাজ।”

বঙ্গবন্ধুর কবর ঢাকায় নিয়ে আসার যৌক্তিকতা তোলে ধরে বক্তৃতা করলেও তিনি শেখ মুজিবুর রহমানকে জাতির জনক কিংবা বঙ্গবন্ধু বলে উল্লেখ করেন নি।

এ প্রসঙ্গে শবে বরাতে বনানী কবরস্থানে এক আত্মীয়র কবর জিয়ারত করতে যাওয়ার কথাও বলেন তিনি।

“গতকাল শবে বরাতের রাতে বনানী কবরাস্থানে আমরা এক আত্মীয়র কবর জিয়ারত করতে গিয়েছিলাম। এরপর সাদেক ভাইয়ের (সদ্যপ্রয়াত সাংবাদিক) কবরের সামনেও গিয়ে দাঁড়ালাম।

“ফেরার পথে ১৯৭৫ সনে শেখ মুজিবুর রহমানের সঙ্গে যারা মারা গেছেন, তাদের কবরের সামনেও গিয়ে দাঁড়ালাম। নজরুল ইসলাম (প্রয়াত অস্থায়ী রাষ্ট্রপতি), তাজউদ্দিন আহমদ (প্রয়াত প্রধানমন্ত্রী), মনসুর আলী (প্রয়াত স্বরাষ্ট্র মন্ত্রী) কবরের পাশে দাঁড়ালাম। হাজার হাজার লোক জিয়ারত করছেন।”

আপনার মন্তব্য

আলোচিত