নিউজ ডেস্ক

২৪ মার্চ, ২০১৫ ০০:৫৪

ডিসিসি নির্বাচন: খোকন-আনিসুলের প্রতিদ্বন্দ্বী সেলিম-কবরী

শেষ হইয়াও শেষ হইল না জটিলতা। ঢাকা সিটি কর্পোরেশনের উত্তরে ব্যবসায়ি আনিসুল হক আর উত্তরে সাঈদ খোকনকে আওয়ামিলীগ মৌখিকভাবে সমর্থন দিলেও বাঁধ সাধছেন উত্তরে সারাহ বেগম কবরী আর দক্ষিণে হাজী সেলিম। ফলে বিএনপি নির্বাচনে আসুক আর নাই আসুক শক্ত প্রতিদ্বন্দ্বিতার আভাস পাওয়া যাচ্ছে এখন থেকেই।

দক্ষিণে একটাই প্রশ্ন-হাজী সেলিম কি নির্বাচনে দাঁড়াচ্ছেন? ডিসিসি দক্ষিণে আওয়ামী লীগ সমর্থিত প্রার্থী সাঈদ খোকনের ঋণ জটিলতা দূর হওয়ার পর দলের ভেতরে-বাইরে অনেকের মনেই এখন এমন প্রশ্ন।

এদিকে দক্ষিণ নিয়ে সমাধান না হওয়ার আগেই উত্তরে নির্বাচন করার ইচ্ছা পোষণ করে নতুন করে আলোচনার জন্ম দিয়েছেন আওয়ামী লীগের আরেক নেতা সারাহ বেগম কবরী।

উত্তরে আওয়ামী লীগের সমর্থন পাওয়া ব্যবসায়ী নেতা আনিসুল হক সোমবার মনোনয়ন ফরম সংগ্রহ করেছেন। মঙ্গলবার মনোনয়ন ফরম সংগ্রহ করবেন কবরী। আওয়ামী লীগ সভাপতি প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সমর্থিত প্রার্থী সাঈদ খোকন ও আনিসুল হকের সঙ্গে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করার ঘোষণা দিয়ে এখন নির্বাচনের মাঠে আলোচনায় রয়েছেন হাজী সেলিম ও কবরী।

অন্যদিকে উত্তরে আনিসুল হককে সমর্থন দেয়ার পর তার রাজনৈতিক দক্ষতা নিয়ে কেউ কেউ প্রশ্ন তুলতে চাইলেও শেষ পর্যন্ত তেমন কোনো সমস্যা হয়নি। জানা গেছে, ঢাকা মহানগরের নেতা কামাল আহমেদ মজুমদার এমপি এখানে নির্বাচন করার ইচ্ছা পোষণ করলেও বর্তমানে তিনি নির্বাচন থেকে সরে যাচ্ছেন বলে তার ঘনিষ্ঠ সূত্র জানিয়েছে।

সূত্রটি জানায়, প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে কামাল আহমেদ মজুমদারের যোগাযোগ হওয়ার পরই তিনি এমন সিদ্ধান্ত নিয়েছেন। এখনও আনুষ্ঠানিক ঘোষণা না দিলেও তিনি নির্বাচন করবেন না বলে নিশ্চিত করেছে তার ঘনিষ্ঠ ওই সূত্র।

তবে ডিসিসি উত্তরে নতুন করে আলোচনার সূত্রপাত করেছেন ২০০৮ সালে আওয়ামী লীগের মনোনয়নে নির্বাচিত এমপি সারাহ বেগম কবরী। ২০১৪ সালের নির্বাচনে তিনি দল থেকে মনোনয়ন পাননি। এ অবস্থায় ডিসিসি উত্তরে প্রতিদ্বন্দ্বিতার ঘোষণা দিয়ে আবারও আলোচনায় আসেন তিনি।

আন্তঃদলীয় রাজনীতির কারণে ঢাকা মহানগরের অনেকেই চাচ্ছেন না সাঈদ খোকন দলের সমর্থন পাক। মূলত এ কারণেই একটি গ্রুপ ঋণসংক্রান্ত জটিলতা সামনে এনে দলীয় সমর্থন প্রত্যাহার করতে প্রধানমন্ত্রীকে বোঝানোর চেষ্টা করেছিল। কিন্তু শেষ পর্যন্ত তারা সফল হতে পারেনি।

এমনকি গণভবনে প্রধানমন্ত্রীর সামনে এ বিষয়টি উত্থাপন করেন মন্ত্রিপরিষদের সদস্য ও মহানগর আওয়ামী লীগের এক নেতা। তিনি দলীয় প্রধানকে বোঝানোর চেষ্টা করেন, সাঈদ খোকন ঋণখেলাপি। তার মনোনয়ন বাতিল হয়ে যাবে; এক্ষেত্রে হাজী সেলিম ভালো প্রার্থী হবেন। প্রতিউত্তরে প্রধানমন্ত্রী তা প্রত্যাখ্যান করে দেন।

উপরন্তু মেয়র নিয়ে কথা না বলে একক কাউন্সিলর নির্ধারণ করতে কাজ করার পরামর্শ দিয়েছেন তিনি। আমির হোসেন আমু, তোফায়েল আহমেদ, মতিয়া চৌধুরী, কামরুল ইসলাম, এমএ আজিজ ও মায়া সমন্বয়ে গঠিত কমিটিকে কাউন্সিলর পদে একক প্রার্থী নির্ধারণ করার দায়িত্ব দিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।

উল্লেখ্য, ঢাকা সিটি কর্পোরেশন (উত্তর ও দক্ষিণ) এবং চট্টগ্রাম সিটি কর্পোরেশনের নির্বাচনের তারিখ ঘোষণা করেছে নির্বাচন কমিশন। ঘোষিত তফসিল অনুযায়ি আগামি ২৮ এপ্রিল অনুষ্ঠিত হবে এ নির্বাচন।

আপনার মন্তব্য

আলোচিত